মঙ্গলবার, ১০ অক্টোবর, ২০১৭ ০০:০০ টা

খুলনায় ইজিবাইকে যানজট, ভোগান্তি

সামছুজ্জামান শাহীন, খুলনা


খুলনায় ইজিবাইকে যানজট, ভোগান্তি

নিয়ন্ত্রণহীন ইজিবাইকের চাপে খুলনা এখন যানজটের নগরী। এতে ভোগান্তির শেষ নেই নগরবাসীর। এজন্য সিটি করপোরেশনসহ সেবামূলক প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে সমন্বয়হীনতকেই দায়ী করেছেন নাগরিক সমাজ। তবে যানজট নিরসনে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলছে প্রশাসন।

জানা যায়, নগরীতে বর্তমানে প্রায় ২০ হাজার ইজিবাইক চলাচল করছে। যার অধিকাংশ চালকদের কোনো ধরনের প্রশিক্ষণ নেই। ফলে যত্রতত্র পার্কিং, ট্রাফিক আইন ভঙ্গ, যানজটসহ ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা।

সরেজমিনে দেখা যায়, প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত নগরীর খানজাহান আলী রোড, ফুল মার্কেট, শান্তিধাম মোড়, সাত রাস্তার মোড়, ময়লাপোতা, সামছুর রহমান রোড ও আহসান আহমেদ রোডগুলো থাকে ইজিবাইকের দখলে। অসহনীয় যানজট ছড়িয়ে পড়েছে মূল সড়ক থেকে অলিগলিতেও।

ভোগান্তিতে পড়া যাত্রীরা বলেন, যাতায়াতে সাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব হিসেবে ইজিবাইক একসময় পরিচিতি পেলেও এখন তা নগরবাসীর গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। শহরের মধ্যে এসবের চলাচল নিয়ন্ত্রণ করতে না পারার কারণেই যানজট বাড়ছে। এমনকি যানজট সামলাতে ট্রাফিক পুলিশকেও হিমশিম খেতে হয়।

জনউদ্যোগ, খুলনার আহ্বায়ক নাগরিক নেতা অ্যাডভোকেট কুদরত-ই খুদা বলেন, নগরীর সেবামূলক প্রতিষ্ঠানগুলোর সমন্বয়হীনতা যানজটের বড় কারণ। এই ভোগান্তি থেকে উত্তরণ ঘটাতে সমন্বয়ের পাশাপাশি জনপ্রতিনিধিদের আন্তরিক হতে হবে। এদিকে যানজট নিরসনে সম্প্রতি সিটি করপোরেশনের মেয়র, স্থানীয় এমপি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের সমন্বিত বৈঠকে নগরীতে ৫ হাজার ইজিবাইক চলাচলে অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। সিটি করপোরেশনের পূর্বের নিবন্ধিত ১৯৬০টি ইজিবাইকের সঙ্গে নতুন করে ৩০৪০টি ইজিবাইক চলাচলে অনুমতি দেওয়া হবে। তবে কোন প্রক্রিয়ায় এগুলো চিহ্নিত করা হবে তা চূড়ান্ত হয়নি। ফলে প্রক্রিয়াটি বাস্তবায়ন নিয়ে সংশয় রয়ে গেছে।

এদিকে সড়কে যানজট ও ইজিবাইক নিয়ন্ত্রণে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ বেশকিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। এর মধ্যে ব্যস্ততম সড়কগুলো পর্যায়ক্রমে ইজিবাইকমুক্ত করার সিদ্ধান্ত অন্যতম। মেট্রোপলিটন পুলিশের এডিসি (ট্রাফিক) মো. কামরুল ইসলাম বলেন, আমরা শহরের সাতটা পয়েন্টে চেকপোস্ট স্থাপন করেছি। এখানে শহরের বাইরে থেকে আসা ধীরগতির যানবাহনগুলোকে শহরে ঢুকতে বাধা দেওয়া হচ্ছে।

তিনি বলেন, শহরের সব রাস্তা থেকে ইজিবাইক সরানোর মতো জনবল আমাদের নেই। তবে প্রাথমিকভাবে জোড়াগেট থেকে সার্কিট হাউস পর্যন্ত সড়কটিকে ইজিবাইকমুক্ত করা হচ্ছে। খুলনা জেলা প্রশাসক মো. আমিন-উল আহসান বলেন, ইজিবাইক শহরের যানজটের অন্যতম কারণ। মেট্রোপলিটন পুলিশ ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সহযোগিতায় এগুলো নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হচ্ছে।

সর্বশেষ খবর