মঙ্গলবার, ২৪ অক্টোবর, ২০১৭ ০০:০০ টা

কবে দূর হবে জলাবদ্ধতার দুর্ভোগ?

মহিউদ্দিন মোল্লা, কুমিল্লা

কবে দূর হবে জলাবদ্ধতার দুর্ভোগ?

একটু বৃষ্টিতেই তলিয়ে যায় কুমিল্লা নগরী। চলতি সপ্তাহের বর্ষণেও কুমিল্লা নগরীর অধিকাংশ এলাকা পানিতে ডুবে যায়। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েন হাজার হাজার কর্মজীবী, স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ নগরবাসী। নগরবাসীর প্রশ্ন, জলাবদ্ধতার দুর্ভোগ থেকে তাদের কবে মুক্তি মিলবে? নগরীর ডিসি রোড, কালিয়াজুরী মাজার রোড, নজরুল এভিনিউ, স্টেশন রোড, লাকসাম রোড, ইপিজেড এলাকা, ছাতিপট্টি, হাউজিং এস্টেট, কাটাবিল, রেসকোর্স, স্টেডিয়াম মার্কেট, বিসিক শিল্পনগরী, সংরাইশ, জগন্নাথপুর, পাথুরিয়াপাড়া, শুভপুর, সুজানগর, ধর্মপুর, টমছমব্রিজ, শাকতলা ও ঠাকুরপাড়ার বিভিন্ন নিচু এলাকা হাঁটু সমান পানিতে তলিয়ে যায়। যানবাহন চলাচলসহ স্বাভাবিক চলাফেরা বিঘ্নিত হয়। এ ছাড়া কোথাও বাসায় ড্রেনের ময়লা পানি ঢুকে পড়ে। খুব প্রয়োজন না পড়লে লোকজন বাসা থেকে বের হন না। অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও বন্ধ ছিল। জলাবদ্ধতার বিষয়ে স্টেডিয়াম মার্কেট এলাকার একাধিক ব্যবসায়ী জানান, সামান্য বৃষ্টিতে মার্কেট এলাকা হাঁটু পানিতে তলিয়ে যায়। এতে দোকানের ভিতরে মালামালে পানি লেগে ইলেকট্রনিক জিনিসপত্র নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। নগরীর ব্যবসায়ী মোস্তাফিজুর রহমান বিপু বলেন, সিটি করপোরেশনের পাশাপাশি নগরবাসীরও দায়িত্ব কম নয়। ড্রেনে ময়লা ফেলে ভরাট করা, ড্রেন দখল করে বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নির্মাণ করা হচ্ছে। এগুলো বন্ধের সঙ্গে নগরীর পুকুর ভরাটও বন্ধ করতে হবে। সুজন কুমিল্লার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মায়মুনা আক্তার রুবী বলেন, জলাবদ্ধতা কুমিল্লা নগরবাসীর নিয়তি হয়ে দাঁড়িয়েছে। শুধু ড্রেনের ময়লা তুললে হবে না, এজন্য ব্যাপক পরিকল্পনা নিতে হবে। তা না হলে কুমিল্লা নগরবাসী এ অভিশাপ থেকে মুক্তি পাবে না। কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা অনুপম বড়ুয়া বলেন, জলাবদ্ধতা নিরসনে আমরা ড্রেনের রুটিন ওয়ার্কগুলো করছি। এ ছাড়া টমছমব্রিজের দিকের বড় খালও পরিষ্কার করছি। জলাবদ্ধতা নিরসনে আরও বড় প্রকল্প হাতে নেওয়া হবে।

সর্বশেষ খবর