মঙ্গলবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০১৭ ০০:০০ টা

কুমিল্লায় সাংস্কৃতিক চর্চার হালচাল

কুমিল্লা সিটি করপোরেশন

মহিউদ্দিন মোল্লা, কুমিল্লা

কুমিল্লায় সাংস্কৃতিক চর্চার হালচাল

কুমিল্লায় জাগ্রত জনতা মঞ্চের একটি প্রকাশনা উৎসব

সংস্কৃতির রাজধানী বলা হয় কুমিল্লাকে। এখানকার সংস্কৃতি চর্চার সুনাম ছিল দেশজোড়া। অনেকের মতে, কুমিল্লা নগরীর এ অঙ্গন এখন অনেকটা ঝিমিয়ে পড়েছে। তবে এখনো ডজনখানেক সংগঠন সংস্কৃতি সেবার কাজটি চালিয়ে যাচ্ছে। নাটক, আবৃত্তি, নাচ-গান, বিতর্ক ও সাহিত্য নিয়ে কাজ করছে সংগঠনগুলো। কুমিল্লার সাংস্কৃতিক অঙ্গনে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের কিছু সংগঠন অবদান রাখছে।

এ ছাড়া কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগঠনগুলোও তাদের অবস্থান জানান দেওয়ার চেষ্টা করছে।

তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংগঠন হচ্ছে— আমরা জ্যোত্স্নার প্রতিবেশী, অধুনা, বিনয় সাহিত্য সংসদ, শাণিত উচ্চারণ, আবৃত্তি সংসদ, কারুকণ্ঠ আবৃত্তি, বাক ব্যঞ্জনা, কুমিল্লা বিতর্ক পরিষদ, সংলাপ, ভিক্টোরিয়া কলেজ থিয়েটার, ভিক্টোরিয়া কলেজ ক্যাম্পাস বার্তা, ভিক্টোরিয়া কলেজ বিতর্ক পরিষদ, কচিকাঁচার মেলা, যাত্রী, জনান্তিক, নজল্লাল পরিষদ, কুমিল্লা সাংস্কৃতিক উৎসব, রবীন্দ্রসংগীত সম্মিলন পরিষদ, থিওসোফিক্যাল লজ, উদীচী, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, কুমিল্লা সাংস্কৃতিক জোট, খেলাঘর, অরণিমা, রংধনু, জাগ্রত জনতার মঞ্চ, কুমিল্লা থিয়েটার ও মৃত্তিকা। চর্চার স্থান সংকট আর পৃষ্ঠপোষকের অভাবে সংগঠনগুলো নিয়মিত কার্যক্রম চালাতে পারছে না। সচেতনদের মতে, সংস্কৃতিচর্চা কমে যাওয়ায় তরুণ সমাজ অস্থির পথে হাঁটছে। মানবিক বোধ শূন্য হয়ে পড়ছে। কুমিল্লা অঞ্চলের তরুণদের মধ্যে মাদকের প্রভাব কমাতেও সাংস্কৃতিক চর্চা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।

ভিক্টোরিয়া কলেজ ক্যাম্পাস বার্তার সম্পাদক আলাউদ্দিন আজাদ বলেন, আমরা মেধার বিকাশ ঘটাতে একটি প্লাটফর্ম গড়ে তুলেছি। এখানে লেখালেখি করে শিক্ষার্থীরা সৃজনশীল মানুষ হিসেবে গড়ে উঠছে। এ কলেজে একাধিক সংগঠন সাংস্কৃতিক চর্চা করছে।

জাগ্রত জনতার মঞ্চের সংগঠক নিজাম উদ্দিন রাব্বী বলেন, সংস্কৃতিচর্চা হচ্ছে মানবিক বোধ জাগ্রত করার একটা মাধ্যম। এ কাজে সমাজ থেকেই এগিয়ে আসতে হয়। সংগঠকের ইচ্ছাশক্তি প্রবল হলে রাজনৈতিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক কোনো বাধাই প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে পারবে না। কুমিল্লার আবৃত্তি সংগঠনগুলো এখন বেশ সরব। সংস্কৃতিচর্চায় শিল্পকলা একাডেমি আরও বেশি ভূমিকা রাখতে পারে।

আমরা জ্যোত্স্নার প্রতিবেশীর সভাপতি ছড়াকার জহিরুল হক দুলাল বলেন, চর্চার স্থান সংকট আর পৃষ্ঠপোষকের অভাব বড় বিষয় নয়, বড় বিষয় হচ্ছে মুক্ত বুদ্ধিচর্চার আঙিনাকে আরও উন্মুক্ত করে দিতে হবে। কুমিল্লার সাংস্কৃতিক অঙ্গনে একটা ইতিবাচক গতি পাচ্ছে বলেও তিনি মনে করেন।

সর্বশেষ খবর