তিন নদী পরিষদ। সংগঠনটি কুমিল্লা নগর উদ্যানের জামতলায় ৩৫ বছর ধরে নতুন প্রজন্মকে ভাষা আন্দোলনের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস শুনিয়ে আসছে। ১৯৮৪ সাল থেকে তিন নদী পরিষদ ২১ দিনব্যাপী আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করছে।
মেঘনা, তিতাস ও গোমতী নদীর পাড়ের সংস্কৃতি চর্চার উদ্দেশ্যে ১৯৮৩ সালে তিন নদী পরিষদ গঠিত হয়। প্রবীণ শিক্ষাবিদ অধ্যক্ষ আমীর আলী চৌধুরী বলেন, অমর একুশ নিয়ে ২১ দিনব্যাপী ৩৫ বছর ধরে তিন নদী পরিষদের অনুষ্ঠানমালা বাংলাদেশের ইতিহাসে ব্যতিক্রম ঘটনা। তিন নদী পরিষদের সভাপতি আবুল হাসানাত বাবুল জানান, তারা ভাষার গৌরব আর সংগ্রামের ইতিহাস জাগ্রত রাখতে কাজ করে যাচ্ছেন। ৩৫ বছর ধরে ২১ দিনব্যাপী অনুষ্ঠান করতে গিয়ে অনেক দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে। শুরুতে তেমন সাড়া পেতেন না। পরবর্তীতে সুধীজনের ব্যাপক সাড়া পাওয়া যায়। তিন নদী পরিষদের কার্যক্রম এগিয়ে নিতে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক জমির উদ্দিন খান জম্পি ও সদস্য পারভীন হাসানাতের অবদানের কথা তিনি বিশেষভাবে উল্লেখ করেন। একুশ নিয়ে অনুষ্ঠান করার জন্য নগর পার্কের জামতলার মঞ্চটি ১৯৮৪ সালে তৎকালীন ডিসি সৈয়দ আমিনুর রহমান পৌরসভার মাধ্যমে পাকা করে দেন। এ মঞ্চে আলোচনা হয় কুমিল্লার কৃতী সন্তান ভাষাসৈনিক ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত, অজিত কুমার গুহ, মেজর গনি, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের উপস্থাপক রফিকুল ইসলামসহ সব ভাষা শহীদ ও সৈনিকের কথা। ভাষাসৈনিকদের মধ্যে এ মঞ্চে কথা বলেছেন-অ্যাডভোকেট আহমেদ আলী, অধ্যাপিকা লায়লা নূর, আলী তাহের মজুমদার ও আবদুল জলিল প্রমুখ। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক জমির উদ্দিন খান জম্পি বলেন, সভাপতি আবুল হাসানাত বাবুল বর্তমানে অসুস্থ।