শিরোনাম
মঙ্গলবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ ০০:০০ টা

অচল লিফটে হাসপাতালে ভোগান্তি

রাহাত খান, বরিশাল

বরিশাল শেরেবাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় (শেবাচিম) হাসপাতালে লিফট নিয়ে দুর্ভোগে পড়েছেন রোগী ও স্বজনরা। হাসপাতালের ১০টি লিফটের মধ্যে গড়ে ৮টি সবসময় বিকল থাকে। এ কারণে হাসপাতালের প্রায় দুই হাজার রোগী ও তাদের স্বজনের সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। মুমূর্ষু রোগীদের জরুরি বিভাগ থেকে ওয়ার্ডে নিতে লিফটের জন্য দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয়। এমনকি মুমূর্ষুু রোগী বহনের জন্য উেকাচ গ্রহণেরও অভিযোগ রয়েছে লিফট অপারেটরদের বিরুদ্ধে। লিফট তদারকির দায়িত্বে থাকা মো. ফিরোজ জানান, যান্ত্রিক গোলযোগ থাকায় কয়েকটি লিফট বন্ধ রয়েছে। বিকল লিফটগুলো সচল করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হলেও এ পর্যন্ত কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।

জরুরি বিভাগের ট্রলি বহনের কর্মী মো. মিজান ও মো. ইসাহাক অভিযোগ করেন, হাসপাতালের বেশির ভাগ লিফটই বিকল। যেগুলো সচল রয়েছে সেগুলোতে রোগী বহন করতে লিফট অপারেটররা নানা টালবাহানা করেন। অনেক সময় ২০ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত বখশিশ দাবি করেন লিফট অপারেটররা। তবে লিফট অপারেটররা এই অভিযোগ অস্বীকার করে সাংবাদিকদের বলেন, স্বজনরা খুশি হয়ে যা দেন তাই তারা গ্রহণ করেন। লিফট তদারকি, মেরামত ও জনবল সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান কেইসি ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী মো. চুন্নু খান জানান, হাসপাতালের বিভিন্ন ব্লকে লিফট রয়েছে ১০টি। তার মধ্যে প্রশাসনিক ব্লকে থাকা দুটি লিফট দুই মাস ধরে বিকল। অপর ৭টির মধ্যে ইংল্যান্ডের তৈরি দুটি লিফট বিকল এক মাসেরও বেশি সময়। চীনে তৈরি দুটি নতুন লিফট স্থাপন করার পর সরবরাহকারী ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান পাসওয়ার্ড না দেওয়ায় প্রায় দুই মাস বন্ধ ছিল। সম্প্রতি লিফট দুটি চালু করা হয়। কিন্তু কয়েক মাসের ব্যবধানে লিফট দুটি বিকল হয়ে যায়। এ ছাড়া অপর লিফটগুলোতে পর্যায়ক্রমে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেওয়ায় সেগুলো একযোগে সচল থাকে না। শেবাচিম হাসপাতালে লিফট পরিচালনায় দায়িত্বরত প্রতিষ্ঠান গণপূর্ত বিভাগ। বরিশাল গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী রিপন কুমার রায় জানান, রোল নষ্ট হয়ে যাওয়ায় কয়েকটি লিফট বন্ধ রয়েছে। সেগুলো সংস্কারের কাজ চলছে।

 

সর্বশেষ খবর