মঙ্গলবার, ২৪ এপ্রিল, ২০১৮ ০০:০০ টা
পাঠক প্রতিবেদন

মাদকমুক্ত গেন্ডারিয়ার স্বপ্ন

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) পুরান ঢাকার অন্তর্গত গেন্ডারিয়া রাজধানীর অন্যতম প্রসিদ্ধ এলাকা বলে খ্যাত। ব্রিটিশ আমলে অভিজাত জনগোষ্ঠীর বসবাসের সুবাদে এই এলাকা ‘গ্র্যান্ড এরিয়া’ নামে খ্যাতি পায়। কিন্তু দুঃখের বিষয়, গেন্ডারিয়া এলাকা সময়ের পরিক্রমায় তার প্রসিদ্ধি ও নামডাক দুটোই হারিয়েছে। বর্তমান গেন্ডারিয়া অন্তহীন সমস্যা আর ভোগান্তির পাশাপাশি মাদকের আখড়ায় পরিণত হয়েছে। গেন্ডারিয়ার রেলবস্তি এলাকা ইতিমধ্যে ‘ক্রাইম জোন’ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। রেলবস্তি ও এর আশপাশের এলাকায়  ২০টিরও বেশি মাদকের স্পট রয়েছে। রেললাইন ও এর আশপাশের অলিগলিতে গেলেই বিভিন্ন মাদকের কেনাবেচা চোখে পড়ে। এখানকার এলাকায় বেশি পাওয়া যায় ইয়াবা, গাঁজাসহ অন্যান্য সহজদ্রব্য মাদক। মাদকদ্রব্য সরবরাহের সঙ্গে জড়িতরা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে এলাকায় দিনের পর দিন ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে ধরা পড়লেও তারা কোনো না কোনোভাবে বেরিয়ে এসে পুনরায় ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। অনেক মাদক ব্যবসায়ী প্রভাবশালী ব্যক্তিদের ছত্রচ্ছায়ায় থেকে নির্বিঘ্নে মাদক কার্যক্রম চালাচ্ছেন। মাদকদ্রব্য সেবনকারী ও এর সঙ্গে জড়িত ব্যবসায়ীদের কারণে এলাকায় ছিনতাইসহ অন্যান্য অপরাধের বিস্তার ঘটছে। অনেকে আবার অপরাধ করে ‘মাদকের আখড়া’ বলে খ্যাত রেললাইনের বস্তিতে গা-ঢাকা দিচ্ছেন। মাদকের টাকা সংগ্রহ করতে গিয়ে মাদকসেবীরা নানা অপরাধ কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হচ্ছে। সন্ধ্যা নামলেই মাদকসেবীদের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয় গেন্ডারিয়া রেলবস্তি ও এর আশপাশের এলাকা। এলাকার যুব ও উঠতি বয়সের ছেলেরা মাদক ব্যবসায়ীদের খপ্পরে পড়ে মাদকাসক্ত হয়ে পড়ছে। রেললাইনের এক দোকানদার বলেন, পুলিশ মাঝেমধ্যে মাদকসেবী ও ব্যবসায়ীদের  ধরলেও পরে তারা আবার ছাড়া পেয়ে যায়, এ এলাকায় বহুদিন ধরে অবাধে মাদকব্যবসা চলে আসছে। মাদকসহ নানামুখী অপরাধ থেকে গেন্ডারিয়া এলাকাকে মুক্ত করতে হলে সবার আগে দরকার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর যথাযথ ভূমিকা। মাদকমুক্ত গেন্ডারিয়া গড়তে তরুণ সমাজ ও এলাকাবাসীকে একসঙ্গে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।

সাধন সরকার

[email protected]

সর্বশেষ খবর