মঙ্গলবার, ১৫ মে, ২০১৮ ০০:০০ টা

সড়কের বুকে ‘উন্নয়নের গর্ত’

রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম

সড়কের বুকে ‘উন্নয়নের গর্ত’

চট্টগ্রাম নগরের পোর্ট কানেকটিং রোড। এ সড়কের নালা ও ড্রেনের সংস্কার কাজ চলমান। কিন্তু নালার সংস্কার কাজ চললেও সড়কের অবস্থা অত্যন্ত বেহাল। গর্ত, কাদামাটি ও মাটির স্তূপে সড়কটি একাকার। পথচারী চলাচল তো দূরের কথা, যানবাহন চলাচলও দায় হয়ে পড়েছে। ফলে স্থানীয় জনগণের ভোগান্তি-দুর্ভোগে প্রাণ ওষ্ঠাগত অবস্থা। নালা-ড্রেনের সংস্কার কাজ হলেও সড়কে এখন নরকযন্ত্রণা। সড়কের বুকেই দেখা দিয়েছে উন্নয়নের গর্ত। 

নগরবাসীর অভিযোগ, নালা-ড্রেন সংস্কারে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) যদি একটু সচেতন, দায়িত্বশীল ও সতর্কতার পরিচয় দেয়, তাহলে সাধারণ মানুষের এই ভোগান্তি হতো না। এখানে ঠিকাদারের যেমন অবহেলা আছে, তেমনি আছে চসিকের। চসিকের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা যদি নিয়মিত মনিটরিং করতেন তাহলে সড়কের এমন শোচনীয় অবস্থা হতো না। উন্নয়ন কাজে কাউকে কষ্ট না দিতে চসিক মেয়রের কঠোর নির্দেশনা থাকলেও তা মানছে না দায়িত্বশীলরা। 

চসিকের প্রকৌশল বিভাগ সূত্রে জানা যায়, নগরের ৪১টি ওয়ার্ডের প্রায় সব কটিতে নালা, ড্রেন ও ফুটপাথ সংস্কার করছে। পৃথক তিনটি প্রকল্পে ৭১৬ কোটি, ৩৮৬ কোটি এবং ১২০ কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ চলমান। এর সঙ্গে আছে জাইকার অর্থায়নে সড়ক ও নালা-ড্রেন সংস্কারের কাজ। কিন্তু এসব কাজ বাস্তবায়ন করতে গিয়ে দায়িত্বশীলদের অবহেলার কারণে জনগণ ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। বর্তমানে চসিকের অর্থায়নে নগরের এক্সেস রোড, পোর্ট কানেকটিং রোড, বহদ্দার হাট, মোমিন রোড, পাথরঘাটা, বৃহত্তর বাকলিয়া, রামপুরসহ প্রায় সব ওয়ার্ডে নালা সংস্কারের কাজ চলছে।     

চসিকের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘পৃথক তিনটি প্রকল্পের অধীনে নালা ও ড্রেন সংস্কারের কাজ চলছে। এর সঙ্গে আছে জাইকার অর্থায়নে কয়েকটি সড়কের উন্নয়ন কাজ। চলমান এসব কাজে নালা-নর্দমা থেকে মাটি  উত্তোলন করে সড়কে রাখা হচ্ছে। তাই সাধারণ মানুষকে হয়তো একটু দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে। তবে ঠিকাদারদের বলে দেওয়া হয়েছে, মানুষের যাতে কোনো সমস্যা না হয় সে বিষয়টি যেন অবশ্যই গুরুত্ব দেওয়া হয়।’        

সরেজমিন খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, সড়কের পাশের নালা-ড্রেনে কাজ করার সময় সেখান থেকে আবর্জনা ও ময়লাযুক্ত কাদামাটি তুলে সড়কেই রাখা হয়। কিন্তু এসব মাটি-আবর্জনা দীর্ঘদিন ধরেই ফেলে রেখা হয়। তাই এগুলো অনেক সময় আবারও নালা-ড্রেনে পড়ে। আবার কখনো সড়কে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে। এতে সড়ক দিয়ে চলাচল করা যানবাহন ও পথচারীদের অন্তহীন ভোগান্তির সম্মুখীন হতে হয়। কিন্তু চসিক যদি একটু সচেতন হয়ে যথাসময়ে মাটিগুলো সরিয়ে ফেলে তাহলে সাধারণ মানুষের এই দুর্ভোগের মুখোমুখি হতে  হয় না।

 

সর্বশেষ খবর