মঙ্গলবার, ২২ মে, ২০১৮ ০০:০০ টা

বেহাল দশা গাজীপুর রাস্তাঘাটের

আফজাল, টঙ্গী

বেহাল দশা গাজীপুর রাস্তাঘাটের

নগরজুড়ে ময়লা আবর্জনা, রাস্তাঘাটের বেহাল দশায় এক বিশৃঙ্খল শহর হিসেবে পরিচিত গাজীপুর। গুটিকয়েক সড়ক ছাড়া নগরীর বিভিন্ন এলাকায় রাস্তাঘাট খানাখন্দে বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে। এতে করে জনগণের চলাচলে চরম দুর্ভোগ দেখা দিয়েছে। মানুষ পাচ্ছে না কোনো নাগরিক সেবা। তাছাড়া এই সিটির আয় দিয়ে নগরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কোটি কোটি টাকা বেতন দেওয়ার পর রাস্তাঘাটসহ অন্যান্য উন্নয়ন করা মোটেও সম্ভয় নয়। যার ফলে আধুনিক ও ময়লা আবর্জনামুক্ত শহর গড়তে দরকার সরকারি সহযোগিতা বললেন সংশ্লিষ্টরা।সরেজমিন ঘুরে জানা যায়, ৩২৯ দশমিক ৫৩ বর্গকিলোমিটার আয়তনে ৫৭টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত গাজীপুর সিটি করপোরেশন। অপর্যাপ্ত ফান্ড, অফিস কর্মকর্তাদের ঘুষ বাণিজ্যে ব্যস্ত থাকাসহ বিভিন্ন কারণে নগরের হ-য-ব-র-ল অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। টেন্ডার থাকা সত্ত্বেও ঠিকাদাররা ঠিকমতো কাজ করছেন না। এতে করে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় রাস্তাঘাট খানাখন্দে বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে, টঙ্গী দেওড়া, মুদাফা, আরিচপুর, মিলগেইট, চেরাগআলী, দত্তপাড়া বড়বাড়ি, বোর্ডবাজার, পুবাইল, মিরেরবাজার, মালেকের বাড়ি, জয়দেবপুর, কোনাবাড়ি, কাশিমপুর, সালনা, হাতিমারাসহ বিভিন্ন এলাকার রাস্তায় চোখে পড়বে খানাখন্দের চিত্র। ২২ নম্বর ওয়ার্ড গজারীপাড়া এলাকার এক বাসিন্দা আলমাছ বলেন, গতবার মেয়র মান্নানকে ভোট দিয়ে কোনো সুফল পাইনি। নাগরিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত ছিলাম। তাই এবার এমন ব্যক্তিকে ভোট দিয়ে নগর পিতা বানাবো যাকে দিয়ে নগর উন্নয়ন হয়। গাজীপুর সিটি করপোরেশনের নির্বাহী প্রধান কেএম রাহাতুল ইসলাম বলেন, সিটি করপোরেশন ফান্ডে কোনো টাকা নেই। ফলে ঠিকাদাররা কাজ করছেন না। এজন্য রাস্তাঘাট খানাখন্দে ভরা। আগামী মাসে শিল্প ট্যাক্স আদায়ের পর ফান্ডে টাকা জমবে। তখন হয়তো ঠিকাদারদের বকেয়া বিল পরিশোধ করলে আবার কাজ শুরু হবে। এত বড় সিটি করপোরেশন উন্নয়নে পর্যাপ্ত ফান্ড প্রয়োজন বলে জানান তিনি।

সর্বশেষ খবর