মঙ্গলবার, ৭ আগস্ট, ২০১৮ ০০:০০ টা
দুর্ভোগ

রাস্তা খোঁড়াখুঁড়িতে দুর্ভোগ

রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম

রাস্তা খোঁড়াখুঁড়িতে দুর্ভোগ

চট্টগ্রাম ওয়াসা নগরের প্রধান প্রধান সড়ক তো কাটছেই। এর সঙ্গে কাটা শুরু হয়েছে অলি-গলির সড়ক উপসড়কও। ওয়াসার এমন খোঁড়াখুঁড়িতে নাভিশ্বাস উঠেছে নগরবাসীর। যানবাহন চলাচল তো দূরের কথা, পথচারীর হাঁটাও দায় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

নগরবাসীর অভিযোগ, ওয়াসা অবশ্যই উন্নয়ন কাজ করবে। কিন্তু তা বর্ষায় কেন? বর্ষায় কেন রাস্তা কেটে পাইপ বসাতে হবে? বছরের শুষ্ক মৌসুমে কেন রাস্তা কাটা হয় না। অথচ বর্ষার সময় কাজ করলে নানা কারণে অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় হয়। এই কাজ শুষ্ক মৌসুমে করা হলে খরচও কম হতো, মানুষের দুর্ভোগও কমত।

ওয়াসা সূত্রে জানা যায়, বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় পাইপলাইন বসানোর কাজ চলছে। একই সঙ্গে কর্ণফুলী পানি সরবরাহ প্রকল্পের আওতায়ও বসানো হচ্ছে পাইপলাইন। কর্ণফুলী পানি সরবরাহ প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ের আওতায় প্রধান সড়কগুলোতে মূল লাইনের পাইপ বসানোর পর এখন দ্বিতীয় পর্যায়ে অলিগলির সড়কগুলোতে চলছে পাইপ বসানোর কাজ। গলির ভিতরের সড়কও মেশিন দিয়ে কেটে পাইপ বসানো হচ্ছে। কিন্তু অধিকাংশ স্থানে কাটা সড়ক সমান করে মেরামত করা হচ্ছে না। তাছাড়া কোথাও রেখে দেওয়া হচ্ছে খোঁড়াখুঁড়ির মাটি। ফলে দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে যানবাহন ও পথচারীদের।       

চট্টগ্রাম ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী একেএম ফজলুল্লাহ বলেন, ‘এখন একসঙ্গে পানি সরবরাহের দুটি প্রকল্পের কাজ চলছে। তাই অনেক স্থানে খোঁড়াখুঁড়ি হচ্ছে। পানি পেতে হলে তো একটু দুর্ভোগ থাকবেই। কারণ রাস্তা কাটা ছাড়া তো পাইপলাইন বসানোর কাজ করা যাবে না। তবে দুর্ভোগ যতটুকু কমিয়ে আনা যায়, সে ব্যাপারে আমরা সবসময় সচেতন আছি।’ তিনি বলেন, ‘আগে সনাতন পদ্ধতিতে রাস্তা কাটা হলেও এখন মেশিন দিয়ে কেটে পাইপ বসানো হচ্ছে। কিছুদূর পরপরই তা কাটা হচ্ছে। ওয়াসার আগের সব পাইপলাইন বাতিল হয়ে যাবে। নতুন এই পাইপলাইন দিয়েই ওয়াসার পানি গ্রাহকদের কাছে যাবে।’ 

জানা যায়, বর্তমানে নগরীর হালিশহর, চৌমুহনী, সদরঘাট, আলকরন, আন্দরকিল্লা, চকবাজার, জামালখান, আসকারদীঘি, জিইসিসহ আশপাশের এলাকার গলিতে পাইপ বসানোর কাজ চলছে। ৪ থেকে ২০ ইঞ্চি পর্যন্ত ব্যাসের এসব পাইপের সঙ্গে যুক্ত থাকবে ওয়াসার প্রধান পাইপলাইন। এই লাইনগুলো থেকে প্রত্যেক বাসায় পানি যাবে। নতুন এই পাইপলাইনগুলোর সঙ্গে মিটার যুক্ত থাকবে। মিটারের মাধ্যমে একটি এলাকায় কি পরিমাণ পানি সরবরাহ করা হয়েছে তা নির্ধারণ করা যাবে। এলাকার মোট পানির সঙ্গে পৃথক পৃথক সংযোগ লাইনের পানির যোগফলে এলাকার মোট পানির পরিমাণ মিলিয়ে নেওয়া যাবে।

সর্বশেষ খবর