মঙ্গলবার, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

এক কক্ষের সরকারি প্রাইমারি স্কুল

রাহাত খান, বরিশাল

এক কক্ষের সরকারি প্রাইমারি স্কুল

বরিশাল পলিটেকনিক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কার্যক্রম চলছে ১৮ ফুট বাই ১২ ফুট আয়তনের একটি ছোট কক্ষে। কক্ষের একপাশে চলে পাঠদান, অন্যপাশে দাফতরিক কার্যক্রম। একটি ভবনের অভাবে গত চার বছর ধরে চলছে এই দুরবস্থা। গত চার বছরে ভবন নির্মাণের উদ্যোগ শুধু চিঠি চালাচালির মধ্যেই সীমাবদ্ধ। নিজস্ব জমি না থাকায় নতুন ভবনও বরাদ্দ পাচ্ছে না স্কুলটি। এসব কারণে অস্তিত্ব হুমকির মুখে স্কুলটির। আগে ওই স্কুলে ২৫২ জন শিক্ষার্থী থাকলেও এখন রয়েছে মাত্র ২৫ জন। নগরীর সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ক্যাম্পাসের মধ্যে শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আবাসিক কোয়ার্টারের একটি ভবনের নিচ তলায় এই বিদ্যালয়ের কার্যক্রম চলছে ২০১৪ সাল থেকে। এর আগে পলিটেকনিক ক্যাম্পাসের পুকুরের উত্তর পাড়ে জরাজীর্ণ চার কক্ষের একটি পাকা ভবনে কার্যক্রম চলত স্কুলটির। ২০১৪ সালে ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণার পর স্কুলের কার্যক্রম পলিটেকনিকের আবাসিক কোয়ার্টারে স্থানান্তর হয়।

স্কুলের প্রধান শিক্ষক আবিদা সুলতানা জানান, বিদ্যালয়টি প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের অধীনে। কিন্তু পুরনো ভবনের জমির মালিক পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট। গত চার বছরে সরকারি দফতরে ঘুরে বুঝতে পেরেছেন বিদ্যালয়ের নিজস্ব জমি না হলে নতুন ভবন বরাদ্দ হবে না। 

বরিশাল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ সৈয়দ নুরুন্নবী পদাধিকার বলে এই প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি। তিনি জানান, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পুরনো ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে স্কুলের কার্যক্রম চালানোর জন্য আবাসিক কোয়ার্টারের একটি ফ্লোর ব্যবহার করতে দেওয়া হয়েছে। নতুন ভবন বরাদ্দ পেতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নিজস্ব জমি থাকতে হবে। পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের জমি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নামে দেওয়ার বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের ব্যাপার।

সর্বশেষ খবর