মঙ্গলবার, ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০ টা

ভেস্তে গেছে চসিকের ‘পার্কিং-মার্কিং’

রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম

ভেস্তে গেছে চসিকের ‘পার্কিং-মার্কিং’

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) যানজট নিরসন এবং গণপরিবহনে শৃঙ্খলা ফেরাতে গত বছরের জানুয়ারিতে সড়কে লেন ‘পার্কিং-মার্কিং’ শুরু করে। কিন্তু বছর না যেতেই ভেস্তে গেল সেই পরিকল্পনা। নগরের কোথাও লেন মেনে যানবাহন চলাচল করছে না। উল্টো অস্তিত্বহীন হয়ে পড়েছে রঙ দিয়ে লেন মার্কিংয়ের চতুর্ভুজ আকৃতির চিহ্নগুলো। ফলে চলছে যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং। সৃষ্টি হচ্ছে তীব্র যানজট। যাত্রীদের সঙ্গী হয়েছে দুর্ভোগ-ভোগান্তি।  

চসিক সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রাম মহানগরের গুরুত্বপূর্ণ ২৭টি স্পটে গত বছরের জানুয়ারিতে ‘পার্কিং-মার্কিং’ কার্যক্রম শুরু করা হয়। কিন্তু এসব মার্কিংয়ের কোনোটিরই কোনো চিহ্ন এখন আর অবশিষ্ট নেই।

সরেজমিন দেখা যায়, নগরের আউটার স্টেডিয়াম সংলগ্ন সড়ক, কাজীর দেউড়ি, সাইফুদ্দিন খালেদ সড়ক, ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটের সামনের সড়ক, স্টেডিয়ামের পশ্চিম পাশের সড়ক, লালখান বাজার, জামালখান সড়কসহ বেশকিছু সড়কে মার্কিংয়ের চিহ্ন নেই। তাছাড়া ২০১৬ সালেও সিএমপি গাড়ি পার্কিংয়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সড়কের একটু দূরে ২৪টি স্পট নির্ধারণ করা হয়েছিল। পরে স্পটের সংখ্যাও বাড়ানো হয়েছিল। কয়েকটি স্পটে সিএমপির সিদ্ধান্তটি বাস্তবায়িত হলেও পরে নজরদারির অভাবে সে উদ্যোগও ভেস্তে যায়।

চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সামশুদ্দোহা বলেন, ‘সড়কের নির্দিষ্ট স্পটে পার্কিংয়ের জন্য করা মার্কিংগুলো ধুলাবালিসহ নানা কারণে মুছে যায়। তবে যখন দৃশ্যমান ছিল তখন চালকরা ঠিকই চিহ্নিত স্থানে পার্কিং করত। স্পটের সংখ্যা আরও বৃদ্ধি করে মার্কিংয়ের উদ্যোগ নেওয়া হবে। তাছাড়া নগরের যানজট নিরসনে চসিক নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। পর্যায়ক্রমে তা বাস্তবায়ন করা হবে।’

নগরবাসীর অভিযোগ, যানজটের দিক দিয়ে চট্টগ্রাম নগর ক্রমান্বয়ে ঢাকার ভাগ্য বরণ করছে। নগরে যানজট দিন দিন বাড়ছে। কিন্তু এ নিয়ে দায়িত্বশীল কর্তৃপক্ষগুলো কার্যকর কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে না। মাঝে মাঝে কিছু উদ্যোগ নিলেও তা স্থায়ী হয় না। তাছাড়া অনেক সময় দেখা যায়, সড়কে যানজটের নাকাল অবস্থা। আর তখন দেখা যায় ট্রাফিক পুলিশের কিছু সদস্য সড়কের পাশে অলস সময় পার করছেন। ফলে সড়কে যানজট লেগেই থাকে।      

জানা যায়, চসিক-সিএমপির ট্রাফিক বিভাগ আলোচনা করেই রোড পার্কিংয়ের জন্য জায়গাগুলো নির্ধারিত করে। সড়কে রোড পার্কিংয়ে একটি গাড়ির জন্য ৮ ফুট বাই ১৬ ফুট জায়গা নির্ধারণ করে। সোজাসুজি মার্কিংয়ের ক্ষেত্রে প্রতিটি গাড়ির জন্য সামনে-পেছনে দুই ফুট করে জায়গা খালি রাখা হয়। নগরের যেসব স্থানে সড়কে জায়গা কম সেখানে সোজাসুজি গাড়ি রাখা এবং যেখানে পর্যাপ্ত জায়গা আছে সেখানে আড়াআড়ি গাড়ি রাখার ব্যবস্থা রেখে মার্কিং করা হয়। কিন্তু বছর না যেতেই উদ্যোগটি ভেস্তে যায় বলে জানা যায়।

সর্বশেষ খবর