মঙ্গলবার, ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০ টা

ব্যবসায়ীদের দখলে ফুটপাথ

রেজাউল করিম মানিক, রংপুর

ব্যবসায়ীদের দখলে ফুটপাথ

রংপুর নগরীর বিভিন্ন সড়ক ও ফুটপাথ দখল করে ব্যবসা চালাচ্ছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। ঝুঁকিপূর্ণভাবে হোটেলের চুলাও ফুটপাথের ওপর রেখে রান্না করা হচ্ছে। স্থায়ী দোকানিরা তাদের দোকানের মালপত্র ফুটপাথে রাখায় পথচারী চলাচলে সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। তাই বেশির ভাগ পথচারী হাঁটছেন সড়ক দিয়ে। ফলে যে কোনো মুহূর্তে ঘটতে পারে প্রাণহানিসহ বড় দুর্ঘটনা। এ নিয়ে নগর কর্তৃপক্ষ ও মেট্রোপলিটন পুলিশ কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে না।

রংপুর নগরীর কাচারীবাজার এলাকায় ফুটপাথ দখল করে বসেছে চা-পান ও ফলের দোকান। সুরভি উদ্যানের সামনে থেকে পাবলিক লাইব্রেরি মাঠ পর্যন্ত একপাশের ফুটপাথে শীতের পুরনো কাপড়ের দোকানের সারি। রংপুর পুলিশ হলের বিপরীতে ফুটপাথের একাংশ দখল করে বসেছে ফুলের গাছ বিক্রির দোকান। রংপুর সিটি পার্ক মার্কেটের সামনের ফুটপাথ রয়েছে সাইকেলের পার্টস দোকানিদের দখলে। তাদের স্থায়ী দোকান থাকলেও ফুটপাথ দখল করে রেখেছে তাদের মালামাল দিয়ে। এছাড়া নগরীর মেডিকেল মোড় এলাকায় ফলের দোকান, সেই সঙ্গে রাস্তা দখল করে রয়েছে ভিআইপিদের গাড়ি পার্কিং। সিটি করপোরেশন ভবন থেকে লালবাগ এবং রেল স্টেশন পর্যন্ত সড়ক ও ফুটপাথ দখল হয়ে আছে ব্যবসায়ীদের কাছে। এসব এলাকায় রড-সিমেন্টের দোকান, সাইকেল-পার্টস, পানির পাম্প, পাওয়ার ট্রিলার, ফার্নিচার, ওয়েল্ডিং ওয়ার্কশপ, জুতা-স্যান্ডেলের দোকান, বেতপট্টি এলাকায় বিভিন্ন হার্ডওয়ারের দোকান, স্যানিটারি ফিটিংকস, ঢাকা হোটেলের গলিতে ক্রোকারিজ, লেপ-তোশকের দোকান, এ ছাড়াও নগরীর বিভিন্ন জায়গায় ফুটপাথ দখল করে বিভিন্ন হোটেলের চুলা তৈরি, সাইকেল মেরামতসহ বিভিন্নভাবে দখল হয়ে গেছে। ফলে ভোগান্তির শিকার হচ্ছে পথচারীরা। বাধ্য হয়েই তারা ফুটপাথ ছেড়ে রাস্তা দিয়ে হাঁটছে। লায়ন্স স্কুল মোড়, সালেক পাম্প ও শাপলা যাওয়ার পথে শ্যামাসুন্দরী খালের ব্রিজ সংলগ্ন সড়কগুলোতে অবৈধভাবে গড়ে উঠেছে, মাইক্রোবাস ও পিকআপ ভ্যান স্ট্যান্ড।

সচেতন মহল মনে করেন, ফুটপাথ অবৈধ দখলমুক্ত করে যানবাহন ও পথচারী চলাচলের জন্য অবারিত করে দিতে হবে। সেই সঙ্গে হকার বা অস্থায়ী দোকানদারদের পুনর্বাসনের উদ্যোগ নিতে হবে। এসব পুনর্বাসন কার্যক্রম একটা বড় পরিকল্পনার আওতায় আনতে হবে। নগরীর সড়ক-ফুটপাথ অবৈধ দখলমুক্ত করতে হলে উচ্ছেদ অভিযানের সঙ্গে সঙ্গে হকার ব্যবস্থাপনাকেও সমন্বিত করে কাজ করতে হবে।

তবে এর আগে সাবেক সিটি করপোরেশনের মেয়র এ কে এম আবদুর রউফ মানিক নগরীর হনুমানতলায় একটি হকার্স মার্কেট নির্মাণ করেন। ওই সময় নগরীর ফুটপাথের দোকানদারদের তালিকা করে ওই হকার্স মার্কেটে দোকান বরাদ্দ দেওয়া হয়। এরপরও যারা ওই মার্কেটে দোকান মালিক তারাও অনেকে সেই দোকান ভাড়া দিয়েছেন, আবার কেউ নিজে ব্যবসা করছেন। তারাই আবার অনেকে এখনো ফুটপাথে ব্যবসা চালিয়ে আসছেন। হকার্স মার্কেটের দোকান বরাদ্দ নিয়ে সুবিধাও ভোগ করছেন। রংপুর সিটি করপোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল মান্নান ফুটপাথে দোকান সম্পর্কে বলেন, ফুটপাথে দোকান উচ্ছেদ করতে হলে সঙ্গে অনেক ফোর্স লাগে। এসব সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ আছে, বিভাগীয় কমিশনার আছে, জেলা প্রশাসক আছে। তারা আমাকে নির্দেশ দিলে আমি ব্যবস্থা নেব।

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর