শিরোনাম
মঙ্গলবার, ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০ টা

শালবন বিহারের কূপ সংস্কারে নানা মত

মহিউদ্দিন মোল্লা, কুমিল্লা

শালবন বিহারের কূপ সংস্কারে নানা মত

কুমিল্লার শালবন বৌদ্ধ বিহারে অবস্থিত দেশের অন্যতম প্রাচীন কূপের সংস্কার নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। প্রত্নতত্ত্ব সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অপরিকল্পিত সংস্কারে কূপটি তার স্বাভাবিক সৌন্দর্য হারাবে এবং অস্তিত্ব সংকটে পড়বে। শালবন বিহারের কেন্দ্রীয় মন্দিরের উত্তর-পূর্ব দিকে খননকাজ পরিচালনাকালে ইট ও কাদামাটি দিয়ে নির্মিত দৃষ্টিনন্দন একটি পানির কূপের সন্ধান পাওয়া গেছে। প্রাচীন এ কূপটির উপরিভাগ ১১ ফুট ৪ ইঞ্চি ব্যাসার্ধের গোলাকার। এর খনন করা গভীরতা প্রায় ১০ ফুট।

সূত্র মতে, অষ্টম শতকের কূপ এটি। ১৩০০ বছরের প্রাচীন কূপটি ২০১৫ সালের ৩০ জানুয়ারি খনন করা হয়। সম্প্রতি এটির সংস্কার করা হয়। সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, কূপের মাথায় লোহা গেঁথে ঢাকনা দেওয়া হয়েছে। কূপের চারপাশে লোহার প্রাচীর দেওয়া হলেও তার মধ্যে গেট দেওয়া হয়েছে।

এছাড়া পুরাতর ইট দিয়ে কূপলাগোয়া নতুন করে সিমেন্ট-বালুর সিঁড়ি করা হয়েছে। খনন বিষয়ে অভিজ্ঞরা বলেন, কূপের গায়ে লোহা গাঁথার কোনো প্রয়োজন ছিল না। তা ছাড়া ঢাকনারও প্রয়োজন ছিল না। এছাড়া সিঁড়ি অপ্রয়োজনীয়। লাগোয়া সিঁড়িতে পর্যটক বিভ্রান্ত হবে। কোনটা নতুন আর প্রাচীন তা নির্ণয় করতে পারবে না। শুধু বাইরে লোহার প্রাচীর দিলেই হতো, দরজা দিয়ে ঢুকে দেখার প্রয়োজন নেই। এতে কূপটি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সাদেকুজ্জামান জানান, তিনি পুনঃসংস্কারের প্রথমদিকে কূপটি দেখেছেন। তখন খনন পানির লেয়ার পর্যন্ত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়। তিনি সেটা না করার অনুরোধ করেন। তিনি বলেন, খননের নির্দিষ্ট কোনো নিয়ম নেই। কর্তৃপক্ষ কী উদ্দেশ্যে সিঁড়ি, ঢাকনা ও দরজা দিয়েছে তা তারা ভালো বলতে পারবে। প্রত্নতত্ত্বের স্বাভাবিক সৌন্দর্য নিয়ে যতœবান থাকা উচিত। মূল কূপের ওপর লোহা গেঁথে দেওয়া, লাগোয়া সিঁড়ি কিংবা দরজা দেওয়া ঠিক হয়নি। নতুন স্থাপনা নিয়ে পাশে নির্দেশিকা স্থাপন করা যেতে পারে।

শালবন বৌদ্ধ বিহারের তত্ত্বাবধায়ক আহমেদ আবদুল্লাহ জানান, তিনি বদলির কাজ নিয়ে ঢাকায় ব্যস্ত ছিলেন। কূপ সংস্কারের বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না। এ বিষয়ে তার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ভালো বলতে পারবেন।

সর্বশেষ খবর