শ্রাবণের বৃষ্টিতে মন চায় অন্যরকম কিছু খেতে। একেবারে হালকা খাবার হলেই ভালো হয়। তেমনি দুটি খাবারের রেসিপি দিয়েছেন রন্ধনশিল্পী -সোনিয়া রহমান
চিংড়ি ঝিঙা মাসালা কারি
উপকরণ : ৫০০ গ্রাম মাঝারি সাইজের চিংড়ি মাছ (১৬-২০ পিস হবে), বড় সাইজের একটি পিঁয়াজ কুচি, ময়দা বড় এক চা চামচ, চিকেন স্টক এক কাপ, ক্রিমি নারিকেলের দুধ এক কাপ, ভাজার জন্য তেল আট চা চামচ, রসুন কুচি দুই চা চামচ, এক চা চামচ হলুদ গুঁড়া, দুই চা চামচ লঙ্কার গুঁড়া, একটা দারচিনি, এক চা চামচ লেবুর রস, লবণ স্বাদ অনুযায়ী, দুটি লবঙ্গ ও পরিমাণ মতো চিনি।
প্রণালি : চিংড়ি মাছের খোসা ছাড়িয়ে সামান্য নুন, হলুদ আর হাফ চামচ লেবুর রস মিশিয়ে ম্যারিনেট করে রাখুন। ১৫ মিনিট ম্যারিনেট করবেন। কড়াই গরম করে তাতে আট চা চামচ তেল দিন গুনে গুনে। তেল গরম হলে গ্যাসের আঁচ কমিয়ে ম্যারিনেট করা মাছ ছেড়ে দিন। ২ মিনিট ভেজে তুলে একটি পাত্রে রাখুন। এবার এ তেলেই কুচি করা পিঁয়াজ, রসুন, লবঙ্গ দিয়ে দিন। পিঁয়াজ হালকা রং বদল করতে শুরু করলে তাতে ময়দা, হলুদ ও লঙ্কার গুঁড়া দিয়ে দিন। আঁচ এ সময় কমিয়ে রাখবেন।
কই মাছের তেল কই
উপকরণ : কই মাছ ৩টি বা ৫টি, তেল ও লবণ পরিমাণ মতো, মরিচ গুঁড়া ১ থেকে ২ চা চামচ, জিরা বাটা ২ চা চামচ, হলুদ গুঁড়া ১ চা চামচ, আদা বাটা ১ চা চামচ, কালিজিরা সামান্য, কাঁচা মরিচ ফালি করে কাটা দুটি।
প্রণালি : কই মাছগুলো ভালোভাবে পরিষ্কার করে তাতে হলুদ, লবণ, মরিচ গুঁড়া ও সরিষার তেল দিয়ে মাখিয়ে নিন। প্রয়োজন মতো তেলে মাছগুলো হালকা করে ভেজে নিন। মাছ ভাজা তেলে কালি জিরা দিয়ে তারপর একে একে সব মসলা কষিয়ে নিন। কষানো শেষ পর্যায়ে সামান্য পানি ও ভাজা মাছগুলো দিয়ে ১০ মিনিট ঢাকনা দিয়ে ঢেকে রান্না করুন। চুলা থেকে নামানোর আগে ধনে পাতা দিয়ে কিছু সময় রেখে দিন, এতে ফ্লেভারটা দারুণ হবে।