প্রতিদিনের ত্বকের রূপ-রুটিনে টোনার, ফেসওয়াশ এমনকি ময়েশ্চারাইজারের গল্প সবারই জানা। তবে ত্বকের সুরক্ষায় সেরামের গুণ সম্পর্কে অনেকেই জানেন না। অনেকে আবার সেরামকে লাক্সারি প্রসাধনী ভেবে দূরে রাখেন, যা মোটেও ঠিক নয়।
সেরাম ত্বককে নানা রকমের সমস্যা থেকে মুক্ত রাখে। বলিরেখা, শুষ্ক ত্বক, দাগছোপ বা অ্যাকনের সমস্যায় সেরামের কয়েক ফোঁটা কখনো কখনো ম্যাজিকের মতো কাজ করে। সেরাম আসলে অত্যন্ত লাইট ওয়েট। খুব বেশি মাত্রায় অ্যাকটিভ উপাদান থাকায় ত্বককে আরও প্রাণবন্ত করে তোলে। সব ধরনের ত্বকের জন্য একই রকম সেরাম যেমন কার্যকরী নয়, তেমনি ভুল সেরামের ব্যবহারে ফল হিতে বিপরীত হতে পারে।
ত্বকের ধরনভেদে ব্যবহার :
► যত্নের অভাবে সাধারণ ত্বক অনেক সময় নিষ্প্রাণ হয়ে যায় বা অকালে বার্ধক্যের ছাপ পড়ে। এ ধরনের ত্বকে ভিটামিন সি, রেটিনল সমৃদ্ধ সেরাম ব্যবহার করতে পারেন।
► শুষ্ক ত্বকের আর্দ্রতা পুনরায় ফিরিয়ে আনতে হায়ালুরোনিক অ্যাসিড ও গ্লিসারিন সমৃদ্ধ অ্যাসিড অত্যন্ত কার্যকরী।
► ব্রণ আছে এমন ত্বকে স্যালিস্যালিক অ্যাসিড অনেক সময় ম্যাজিকের মতো কাজ করে। এটি ত্বকের রোমকূপে প্রবেশ করে ডেড সেলস, ধুলোবালি পরিষ্কার করে। স্কিনকে এক্সফলিয়েট করে। অতিরিক্ত সিবাম উৎপাদনে বাধা দেয়, ফলে ব্যাকটেরিয়া জন্মাতে পারে না।
► ব্রণ, বলিরেখার মতো সমস্যা যে কোনো ত্বকেই হতে পারে। সেক্ষেত্রে এমন কিছু সেরাম ব্যবহার করুন যেগুলোতে নিয়াসিনামাইড, আরবুটিন এবং ভিটামিন সির মতো উপকারী উপাদান আছে।
ব্যবহারের সঠিক উপায় :
অনেকে মাসের পর মাস সেরাম ব্যবহার করছেন। অথচ চোখে পড়ার মতো কোনো ফল পাচ্ছেন না। এর কারণ- সম্ভবত ভুল ব্যবহার। ত্বকে সেরাম লাগানোর সঠিক পন্থা রয়েছে। মনে রাখবেন, সেরাম লাইটওয়েট হলেও বেশ গাড় প্রসাধন। তাই খুব বেশি ব্যবহার করবেন না। ড্রপারের সাহায্যে দুই থেকে তিন ফোঁটা যথেষ্ট। সেরাম প্রথমে হাতে নিয়ে তারপর ড্যাব করে ফেসে লাগান। দিনে দুবার ব্যবহারই যথেষ্ট। যদি প্রথম ব্যবহার করেন তবে, কম মাত্রায় অ্যাকটিভ ইনগ্রেডিয়েন্স আছে এমন সেরাম ব্যবহার করুন। ত্বক অতি মাত্রায় সংবেদনশীল হলে, মুখ ধোয়ার পর ১৫ মিনিট অপেক্ষা করুন। অনেকেই দুটি সেরাম একসঙ্গে ব্যবহার করে থাকেন। তা সাধারণত না করাই শ্রেয়।
লেখা : সাদিয়া সারা