দীর্ঘক্ষণ কাজের শেষে সবচেয়ে আরামদায়ক মুহূর্ত কোনটি? এর উত্তরে অনেকেই হয়তো বলবেন, ‘হেড ম্যাসাজ’। অসংখ্য জরিপের তথ্যমতে, স্পা অথবা সেলফ কেয়ারের বিশেষ অংশ হলো হেড ম্যাসাজ। শুধু শরীর প্রফুল্ল করে না, দেয় প্রশান্তিও। বাড়ায় ত্বকের সৌন্দর্য। জেনে নেওয়া যাক বিস্তারিত-
চুলের বেড়ে ওঠায় : স্ক্যাল্প ম্যাসাজ মানেই চুল টানা- ধারণাটি ভুল। যত্নের অভাবে যাদের চুলের গোড়ায় পুষ্টি পৌঁছাতে পারে না, তাদের জন্য দারুণ কাজের এটি। এর অসাধারণ দিক হলো এতে চুলের গোড়ায় রক্তসঞ্চালন বাড়ে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, নিয়মিত এ ম্যাসাজ চুলের গোড়ায় রক্তসঞ্চালন বাড়ায়, চুল মজবুত হয়। যাতে চুল পড়ার পরিমাণও কমে আসে।
স্ট্রেস কমাতে : হেড ম্যাসাজ শুধু স্ক্যাল্প হেলদি রাখার জন্য নয়, বরং স্ট্রেস কমিয়ে দিতে পারে দারুণ এ ফিলিং। আর ম্যাসাজ যদি নেওয়া যায় ভালোবাসার মানুষের কাছ থেকে, তাহলে তো কথাই নেই! স্ট্রেস হরমোনগুলো কমাতে এবং হার্টবিট রেট স্বাভাবিক রাখতে কাজ করবে।
হেলদি স্ক্যাল্প নিশ্চিতে : যাদের চুলে বেশি ময়লা হয়, খুশকি দেখা দেয় বা অ্যালার্জিজনিত সমস্যায় ভুগতে হয় তাদের জন্য স্ক্যাল্প ম্যাসাজ সেরা সমাধান। এতে মাথার ত্বকে জমে থাকা ফ্লেকি ডেড স্কিন উঠে আসে। ফলে বাড়তি সিবামও চুলকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে না। চুলের গোড়া এক্সফোলিয়েট করতেও এর বিকল্প নেই। এ ছাড়া এ ম্যাসাজ স্ক্যাল্পের ভিতর পর্যন্ত অক্সিজেন পৌঁছে দিতে পারে।
টাইমফ্রেম : অনেক গুণ আছে বলেই যে সুযোগ পেলে স্ক্যাল্প ম্যাসাজ নিতে হবে, তা কিন্তু নয়। এ ক্ষেত্রে মানতে হবে নিয়মকানুন। চুলের ধরন ও লেন্থ বুঝে সপ্তাহে ৪ থেকে ২৫ মিনিট নেওয়া যেতে পারে স্ট্রেস রিলিফিং স্ক্যাল্প ম্যাসাজ। এ সময় কেমন প্রসাধনী ব্যবহার করা হচ্ছে, সেদিকে খেয়াল রাখাটাও জরুরি।
এসেনশিয়াল অয়েল : স্ক্যাল্প ম্যাসাজের পুরো কার্যকারিতা উপভোগে নেওয়া যেতে পারে এসেনশিয়াল অয়েল। ঘরোয়া স্ক্যাল্প ম্যাসাজের ক্ষেত্রে চুলের ধরন, স্ক্যাল্পের অবস্থা বুঝে তবেই নিজের জন্য এসেনশিয়াল অয়েল বাছাই করে নিতে হবে। এ ক্ষেত্রে অল্প পরিমাণ জোজোবা বা রোজমেরি অয়েল হাতের তালুতে নিয়ে ঘষে স্ক্যাল্প ম্যাসাজ করা যেতে পারে। উপকারিতা মিলবেই, সতেজতাও অনুভূত হবে।
তথ্যসূত্র : লাইফস্টাইল ডেস্ক