রবিবার, ২৩ জুন, ২০১৩ ০০:০০ টা

কী ঘটেছিল মীর জাফরের ভাগ্যে?

কী ঘটেছিল মীর জাফরের ভাগ্যে?

পৃথিবীর ইতিহাসের জঘন্যতম বিশ্বাসঘাতকতার সাক্ষী হয়ে আছে পলাশীর যুদ্ধ। এর মূল কুশীলবদের প্রায় সবার অস্বাভাবিক ও করুণ মৃত্যুর কথা জানা গেলেও দুই বিশ্বাসঘাতক রায় বল্লভ এবং ইয়ার লতিফ খানের শেষ পরিণতি বিষয়ে ইতিহাসে স্পষ্টত কিছু উল্লেখ নেই। তবে জানা গেছে, মীর জাফরের মৃত্যুর কথা। পলাশীর যুদ্ধের পর প্রচুর ঘুষের বিনিময়ে রবার্ট ক্লাইভের হাত ধরে মসনদে আরোহণ করেন নবাব মীর জাফর আলী খান। তবে তাকে পুতুল বানিয়ে মূল ক্ষমতা পরিচালনা করেন ইংরেজরা। একপর্যায়ে বনিবনা না হওয়ায় মীর জাফরকে সরিয়ে তারই জামাতা মীর কাশেমকে ক্ষমতায় বসানো হয়। মীর কাশেমের সঙ্গে দ্বন্দ্ব শুরু হলে ইংরেজরা মীর কাশেমকে সরিয়ে দেন। এ সময় বিশ্বাসঘাতক মীর জাফর নির্লজ্জের মতো আবারও ইংরেজদের আজ্ঞাবহ নবাব হিসেবে মসনদে বসেন। নামে নবাব থাকলেও মূলত মীর জাফরকে ইংরেজদের অবজ্ঞা আর দেশীয়দের ঘৃণার পাত্র হিসেবেই বাকি জীবন কাটাতে হয়। ১৭ জানুয়ারি, ১৭৬৫ সালে ৭৪ বছর বয়সে মীর জাফরের জাগতিক মৃত্যু ঘটলেও আসলেই কি মরেছেন মীর জাফর? এর উত্তর জানা যায় মুর্শিদাবাদের মীর জাফরের ধ্বংসপ্রায় প্রাসাদের সামনে গেলে। মীর জাফরের প্রাসাদে ঢোকার প্রধান ফটকটি ইতিহাসে, সরকারি দলিলে এবং ট্যুরিস্ট গাইড বইয়ে 'নেমক হারাম দেউর' বা 'বিশ্বাসঘাতকের গেট' নামে পরিচিত পেয়েছে। আর যে কোনো বেইমান বা বিশ্বাসঘাতককে গালি দিতে ব্যবহৃত হয় 'মীর জাফর' শব্দটি। তাই বলা হয় মরেও বেঁচে আছেন মীর জাফর মানুষের মুখে মুখে। তবে একটি জঘন্য গালি হিসেবে।

 

 

সর্বশেষ খবর