বুধবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০১৩ ০০:০০ টা

চার্চেভেল এয়ারপোর্ট [ ফ্রান্স ]

চার্চেভেল এয়ারপোর্ট  [ ফ্রান্স ]

বিপজ্জনক রানওয়ের কথা বললে প্রথমেই চলে আসে চার্চেভেল বিমানবন্দরের কথা। বাণিজ্যিক বিমানের চলাচল খুব কম হলেও প্রাইভেট বিমানের আনাগোনা রয়েছে যদিও এ বিমানবন্দরটি হলো একটি স্কি এরিয়া। হলিডের জেমস বন্ড সিনেমাতেও এই বিমানবন্দরটি দেখানো হয়েছিল। তারপর থেকেই সাধারণ মানুষের কাছে বিপজ্জনক রানওয়ে হিসেবে এটি পরিচিতি লাভ করে। এখানে বিমান উঠানো নামানো দুটি কাজই ভীষণ কঠিন। বিমান দুর্ঘটনার জন্য যত রকম কারণ থাকতে পারে তার সবগুলোই রয়েছে এই বিমানবন্দরটিতে। এখানে রানওয়ে অনেক ছোট এবং খুব ঢালু। বিমান অবতরণের ওপর এখানে পাইলটদের খুব কম গতিতে নামতে হয়, টেক অফ করার সময় খুব কম গতিতে রানওয়ের উঁচু প্রান্তের দিকে যেতে হয়। বিমানবন্দরটির রানওয়ে মাত্র ৫২৫ মিটার এবং এর ব্যাসার্ধ ১৮.৫। এ ছোট রানওয়েতে একটি বিমান মাত্র একবারই উড়তে অথবা নামতে পারে। একই সময়ে অন্য কোনো বিমান এয়ারপোর্ট ছেড়ে যেতে চাইলে অথবা বাইরে থেকে এসে এখানে অবতরণ করতে পারে না। এ ছাড়া অনেক সময় অল্প জায়গায় বিমান ঘুরানো খুব কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এখানে বিমান ঘুরাতে বেগ পেতে হয়। এসবের পাশাপাশি যোগ আছে ঘন কুয়াশা এবং মেঘের বাড়াবাড়ি। ঘন কুয়াশায় উড়োজাহাজ অবতরণ বা উড্ডয়ন দুটোই বন্ধু থাকে পুরোপুরি। অনেক সময়ই ভারী মেঘের কারণে বিমান শিডিউল বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। মেঘ এসে রানওয়েতে কুয়াশাচ্ছন্ন করে তোলে বলে রানওয়েতে বিমান উঠানো বা নামানো কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। পাইলটদের কাছে এসব যে প্রাকৃতিক কারণে সমস্যা সৃষ্টি করে তা নয়। অল্প জায়গার কারণে রানওয়ে থেকে ছিটকে বেরিয়ে গেলে দুর্ঘটনার মাত্রাও এখানে বেশি বলেই মনে করেন পাইলটরা।

এ বিমানবন্দরটিকে ভয়ানক বিমানবন্দর বলার আরেকটি কারণ হলো আল্পস পর্বতমালা। অতি উঁচু পর্বতমালা ঘিরে রেখেছে এ বিমানবন্দরটিকে। অনেকবার বহু দক্ষ পাইলটদের কাছেও এয়ারপোর্টের রানওয়ে খুঁজে পেতেই হয়রান হতে হয়। আল্পস পর্বতমালা থেকে মেঘের কুয়াশা রানওয়েতে বিচরণ করে বলে সব সময়ই আলো জ্বালিয়ে রানওয়ে চিহ্নিত করতে হয় পাইলটদের কাছে। এসব ছাড়াও সমস্যার অন্ত নেই এই বিপজ্জনক এয়ারপোর্টে। প্রায়ই জ্বালানি সমস্যা ছাড়াও কারিগরি ত্রুটি সারাতে এ এয়ারপোর্টে কর্তৃপক্ষকে ভুগতে হয়।

 

 

সর্বশেষ খবর