বুধবার, ৯ এপ্রিল, ২০১৪ ০০:০০ টা

কালো পাখি বিচিত্রা...

কালো পাখি বিচিত্রা...

ব্ল্যাক স্টিল্ট

ব্ল্যাক স্টিল্ট পাখির লম্বা লম্বা পা দেখলে প্রথমেই রণ-পা-র কথাই মনে পড়বে। মজার ব্যাপার হলো পাখিটার নামও তাই রণ-পা। স্টিল্ট মানে কি রণ-পা? এদের আরও একটা নাম আছে, সেই নামটা আবার বেশ মজার- 'কাকি'! এই পাখিটি আবার শুধু নিউজিল্যান্ডেই বাস করে। সেখানেও খুব বেশি নেই। বলা হয়, পৃথিবীর বিলুপ্তপ্রায় পাখিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি হুমকির মুখে আছে এই লম্বা-ঠ্যাঙে ব্ল্যাক স্টিল্ট। প্রায় ২০ বছর ধরে বিজ্ঞানীরা এদের সংরক্ষণ করার চেষ্টা করছেন। তারপরও এদের খুব একটা পাওয়া যাচ্ছে না। এর প্রধান কারণ হচ্ছে পানিদূষণ। ওরা আবার থাকে নদীর কাছাকাছি পলিমাটিতে। আর নদীর পানি দূষিত হলে ওরা সেখানে থাকবে কি করে? এ ছাড়া কুকুর, বিড়াল আর অন্যান্য শিকারি প্রাণীদের আক্রমণেও ওরা প্রচুর মারা যায়।

 

বোয়ার বার্জ

অস্ট্রেলিয়ায় রয়েছে বোয়ার বার্জ। বিশ্বের সবচেয়ে মজার বাসা বানানো পাখি এটি। বোয়ার বার্জ বা কুঞ্জপাখি। দেখতে খুবই সুন্দর। অস্ট্রেলিয়ানদের খুব প্রিয় এই পাখিটি। এটি ঘর বানানোর কাজে খুব পটু। পাখির বাসা বানানোর অসামান্য দক্ষতা রয়েছে এটির। তারা সুন্দর ইউ আকৃতির কুঞ্জসদৃশ বাসা বানায় বলে এই পাখি বেশি সুখ্যাতি অর্জন করেছে। নীল রঙের পুরুষ পাখি লম্বা লম্বা চিকন গাছের ডাল মাটিতে পুঁতে ঊর্ধ্বমুখী ইংরেজি 'ইউ' আকৃতির ঘর বানায়। এই দুই পাশের ডালের সংযোগস্থলে খড়কুটা, নীল কাচ, নীল ফুলসহ বিভিন্ন নীল রঙের জিনিস কুড়িয়ে এনে এরা বাসা সাজায়। বাসা সাজানোর ক্ষেত্রে এদের নীল রংপ্রীতি এতই বেশি যে, পাখি পর্যবেক্ষকরা বোয়ার বার্ডে বাসায় নীল রঙের চশমা, চাবির রিংও খুঁজে পেয়েছে। তাদের বাসায় এই দ্রব্যসামগ্রী খুঁজে পেয়ে অবাক হওয়ার কিছু নেই। মানুষের ফেলে দেওয়া নীল জিনিসের প্রতি তাদের আগ্রহ সবাই বেশ উপভোগ করে।

 

হাওয়াইন ক্রো

এই বিশেষ জাতের কাক একমাত্র হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জেই থাকে। অন্য কোথাও এরা থাকতেই চায় না। তাই ওদের নামের সঙ্গে 'হাওয়াই' দ্বীপের নামও সেঁটে দেওয়া হয়েছে। তবে এই হাওয়াইন ক্রো-এর কিন্তু আরেকটা নামও আছে- 'আলালা'। ওদের এই অদ্ভুত নাম দিয়েছে হাওয়াইয়ের প্রাচীন অধিবাসীরা। অন্যান্য কাকের মতোই হাওয়াইয়ান ক্রো-এর রংও কালো। আর লম্বায় প্রায় ২০ ইঞ্চি পর্যন্ত হয়। ২০০২ সালেই এই পাখি পৃথিবীর বন-জঙ্গল থেকে বিলুপ্ত হয়ে যেতে শুরু করে। কী একটা কঠিন রোগে আক্রান্ত হয়ে এক-এক করে সব হাওয়াইন ক্রো মারা যেতে থাকে। তাই ২০০৫ সালে অনেক টাকা খরচ করে হাওয়াইয়ান এই কাকদের বাঁচানোর জন্য পদক্ষেপ নেওয়া হয়। লাভ খুব একটা হয়েছে বলা যাবে না। এখন পৃথিবীতে প্রায় ৭৮টি 'আলালা' সংরক্ষিত অবস্থায় বেঁচে আছে।

 

 

সর্বশেষ খবর