শনিবার, ২৫ অক্টোবর, ২০১৪ ০০:০০ টা

মোগল হেরেমের দুনিয়া কাঁপানো প্রেম (৩৮তম পর্ব)

গোলাম মাওলা রনি

মোগল হেরেমের দুনিয়া কাঁপানো প্রেম (৩৮তম পর্ব)

শব্দ শুনে রোকশানা পেছনে ফিরে তাকালো, বিস্ময়ে তার চক্ষুদ্বয় ছানাবড়া হওয়ার উপক্রম। ভোরের সোনালি রোদের বর্ণিল আভা গাছগাছালির ফাঁক দিয়ে ঝরনার পানির প্রবাহের ওপর পড়ে চিকচিক করছিল। সেই রোদেলা আলো একটার পর একটা ঢেউয়ের আঘাতে এমনভাবে বিকরিত হচ্ছিল যেন পানির ভেতর থেকে কাঁচা সোনা বের হচ্ছে। ঝরনার পানির কল কল প্রবাহ এবং স্বর্ণালি রৌদ্র কিরণের সঙ্গে হাজার হাজার পাখপাখালির ডাকতো ছিলই। তার ওপর যোগ হলো সম্পূর্ণ ভিন্ন একটি শব্দমালা। রোকশানা দেখল একপাল হরিণ এসেছে পানি পানের জন্য। তারা পানি খাচ্ছে এবং মনের আনন্দে ডাকাডাকি-লাফালাফি করছে। দলের মধ্যে কয়েকটি বাচ্চা হরিণও ছিল। বাচ্চাগুলো অতিরিক্ত কৌতূহলবশত বারবার পানির মধ্যে নেমে যেতে চাইছিল আর গোত্রের মুরুবি্বরা বাচ্চাগুলোকে গুঁতো দিয়ে সতর্ক করছিল এবং অদ্ভুত শব্দমালার মাধ্যমে শাসাচ্ছিল।

রাজপ্রাসাদের বাঁধাধরা নিয়ম, বিত্তবিলাস এবং চার দেয়ালের মধ্যে বন্দী থাকতে থাকতে আরও অনেকের মতো রাজকুমারী রোকশানা হাঁফিয়ে উঠছিল। তার মন চাইতো ঘোড়া ছুটিয়ে দূর দেশের কোনো এক ফসলি জমিতে গিয়ে কিষানির সঙ্গে কাজ করার জন্য। সে চাইত বনবাদাড়ে, নদী-সমুদ্রে কিংবা পাহাড়-পর্বতে ঘুরে বেড়াতে। দিন শেষে কোনো একটি গ্রামের প্রান্তঃসীমায় নদীর কিনারায় একটি কুটিরে রাত যাপনের স্বপ্ন তাকে তাড়া করত। আকাশে চাঁদ উঠলে রোকশানার মন খারাপ হয়ে যেত। চাঁদের আলোতে অবগাহন করার জন্য রাজপ্রাসাদের পরিবর্তে নির্জন বনভূমি বা নিবিড় কোনো গ্রামের ফসলি মাঠের কোনাটুকুই তার কাছে বেশি উপযুক্ত মনে হতো। বহুদিনের সেই পুঞ্জীভূত স্বপ্নসাধকে নাগালের মধ্যে পেয়ে কিশোরী রাজকুমারী সব কিছু ভুলে গেল। সে কেন এলো, কিভাবে এলো, কিভাবে ফিরে যাবে, কখন ফিরে যাবে, খাবেইবা কি- এসব কোনো কথাই তার মনে এলো না। সে দুচোখ ভরে প্রকৃতি দেখতে লাগলো।

রোকশানাদের দুর্গের মধ্যে বেশ বড়সড় একটি চিড়িয়াখানা রয়েছে। বাঘ, সিংহ, হরিণ প্রভৃতি প্রাণী সে খুব কাছ থেকে দেখে আসছে সেই শিশুকাল থেকেই। কিন্তু উন্মুক্ত প্রান্তরে, কিংবা বনের কিনারে ঝরনা ধারার পাশে হরিণের ছুটোছুটি, বিচরণ এবং পানি পানের দৃশ্য তার কাছে অদ্ভুত রকম সুন্দর বলে মনে হলো। কিছুক্ষণ পর হরিণেরা চলে গেল। এর পর এলো একদল বন্য মহিষ, আর নীল গাই। কয়েকটি চিতাবাঘও এলো। রোকশানা লক্ষ্য করল যে প্রাণীরা সবাই দলবেঁধে পানি পান করতে আসছে এবং কেউ কারও সঙ্গে ঝগড়া বিবাদ করছে না। প্রকৃতির দেওয়া বিনামূল্যের অথচ মহামূল্যবান নেয়ামত তারা শান্তভাবে নিজেরা যেমন গ্রহণ করছে তেমনি অন্যকেও সুযোগ করে দিচ্ছে। তারা কেউই পানিতে মলমূত্র ত্যাগ করছে না এবং অকারণে জায়গা দখল করে রাখছে না। পানি পান শেষ হওয়া মাত্র সবাই চলে যাচ্ছে যার যার গন্তব্যে। প্রকৃতির এক সুশৃঙ্খল নীতিমালার আবর্তে বন্যপ্রাণীরা কিভাবে ঘুরপাক খায় তা নিজ চোখে দেখার পর রোকশানার জ্ঞানের দরজা খুলে গেল।

বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রোদের তীব্রতাও বেড়ে গেল। পাহাড়ের ওপরে বসবাস করত বিধায় রোকশানা গরম কি জিনিস তা জীবনে টের পায়নি। পাদদেশে এসে টের পেল গরম কাকে বলে। দিনের বেলাতেও মশা ভন ভন করছিল। একগাদা মাছির ঝাঁক তাকে ভীষণ রকম ত্যাক্তবিরক্ত করতে লাগল। এই মুহূর্তে নাকের ওপর বসে তো একটু পর মুখের ওপর। তারপর ঠোঁটের ওপর কিছুক্ষণ নাচানাচি করে চলে যায় কপাল এবং চোখের পাতার ওপর। রোকশানা শত চেষ্টা করেও একটি মাছি মারতে পারল না। ইতোমধ্যে সে কয়েকটি মশার কামড়ের তীব্রতা অনুভব করল এবং সহজেই কয়েকটি পেটুক মশাকে হত্যা করে দুই হাত রঞ্জিত করে ফেলল। তার শরীরের রক্ত খেয়ে একেকটা মশা চোখের সামনে ফুলে ঢোল হয়ে যাচ্ছে এবং একটি ছোটখাটো থাপ্পড় খেয়ে মরে যাচ্ছে, একটু ব্যথা লাগলেও মশা মারতে তার কিন্তু মন্দ লাগছিল না। কিন্তু সমস্যা হলো মাছিদের নিয়ে। তারা দলবেঁধে রোকশানার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় বসে ইচ্ছে মতো সুড়সুড়ি দিচ্ছে এবং বাধা পেয়ে ফুড়ুৎ করে উড়ে গিয়ে অন্য জায়গায় বসছে নয়তো চারদিকে ভন ভন, পোঁ পোঁ শব্দ করে চক্কর দিচ্ছে।

প্রচণ্ড গরম, ঘাম, ক্ষুধা, ক্লান্তি এবং মশা মাছির যন্ত্রণায় রোকশানা অস্থির হয়ে পড়ল। সে উঠে দাঁড়ালো। মনে হচ্ছে মাথাটা ঘুরছে। বমি বমি লাগছে। অদূরে গাছের সঙ্গে বাঁধা ঘোড়াটির দিকে লক্ষ্য করে সে দেখল জন্তুটি পাগলের মতো লাফাচ্ছে এবং বিকট আওয়াজে ডাকাডাকি শুরু করেছে। সম্ভবত ক্ষুধা, ক্লান্তি এবং মশা মাছির যন্ত্রণায় ঘোড়াটি দাঁড়িয়ে থাকতে পারছে না। অন্যান্য রাজকুমার এবং রাজকুমারীদের মতো সেও ঘোড়াকে ভালোবাসতো ভাইবোন কিংবা পিতামাতার মতো কোমল হৃদয় দিয়ে। সে ঘোড়ার কাছে পৌঁছে প্রাণীটির লাগাম খুলো দিল। মুক্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সেটি এক দৌড়ে ঝরনার কিনারে পৌঁছে পানি পান করল এবং তৃষ্ণা মেটানোর পর ঝরনার পানিতে গোসল করার জন্য সেখানে নেমে পড়ল। রোকশানা আর দাঁড়াতে পারছিল না। এই প্রথম সে অনুভব করতে আরম্ভ করল, তার মারাত্মক ভুল হয়ে গেছে। পরিবারের অনুমতি না নিয়ে এ নির্জন বনভূমির গভীরে সম্পূর্ণ একাকী খাদ্যহীন-অর্থহীন অবস্থায় আসা ঠিক হয়নি। দুর্গচূড়া থেকে খালি চোখে সে পাহাড়ের পাদদেশ দেখতো এবং দুরবীণ দিয়ে দেখতো ঝরনাধারার প্রবাহ। তার মনে হতো ঘোড়া ছুটিয়ে ঝরনার কিনারে পৌঁছতে বড়জোর ১৫ মিনিট লাগবে। কিন্তু রাতে বের হওয়ার পর অাঁকাবাঁকা পাহাড়ি পথ বেয়ে কাঙ্ক্ষিত জায়গায় পৌঁছতে কম করে হলেও ৩-৪ ঘণ্টা সময় লেগেছে। যদি এখন উপরে উঠতে হয় তবে প্রথমত দরকার পড়বে খাদ্য ও পানীয় গ্রহণ করে নিজেকে এবং ঘোড়াটিকে শক্তিশালী করা। তারপর ঠাণ্ডা আবহাওয়ার জন্য বিকাল পর্যন্ত অপেক্ষা করা। হঠাৎ তার মনে হলো উপর থেকে নিচে নামা যতটা সহজ ছিল ঠিক ততটাই কঠিন হবে নিচ থেকে উপরে পৌঁছা। পাহাড় থেকে নামার সময় সে নিচের দিকে নজর করে পাদদেশের বনভূমি এবং ঝরনাধারা দেখতে দেখতে সরুপথ বেয়ে নিচে নেমে এসেছিল। কিন্তু এখন উপরে উঠার কথা চিন্তা করতেই তার সামনে দুটো মারাত্মক সমস্যা এসে উদয় হলো। প্রথমত, নিচ থেকে তাদের দুর্গ দেখা যাচ্ছে না। দ্বিতীয়ত, কোনো পথের রেখা না থাকার দরুন কিভাবে কোন পথে ফিরে যাবে তার কূলকিনারা করতে পারছে না। চিন্তা করতে করতে রোকশানা অনুধাবন করল, সে মারাত্মক বিপদের মধ্যে পড়েছে। ভয়ে তার শরীরে কাঁটা দিতে আরম্ভ করল।

রোকশানা হাঁটতে হাঁটতে পুনরায় ঝরনার কিনারে চলে এলো। মাছিগুলো আগের মতোই ভন ভন শব্দে ওড়াওড়ি করে তাকে অতিষ্ঠ করতে লাগল। অসহায়ের মতো সে আশপাশে তাকাতে আরম্ভ করল। কান খাড়া করে অধীর আগ্রহ নিয়ে কোনো মানুষের কণ্ঠস্বর বা হাঁকডাক শোনার চেষ্টা করল। নাহঃ কাউকে দেখা যাচ্ছে না, কিংবা কারও শব্দ শোনা যাচ্ছে না। সকালে যেমন অবিরত পাখ পাখালির ডাক শুনতে পেয়েছিল তেমনটি এখন আর নেই। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সব হাঁকডাক কেমন যেন প্রকৃতির সঙ্গে মিলিয়ে গেছে। চারদিকে শুধুই নীরবতা কেবল ঝরনার কুল কুল বয়ে চলার শব্দ এবং মাছির ভনভনানী ছাড়া। রাজ কুমারীর প্রচণ্ড ক্ষুধা পেল। জীবনে এই প্রথম সে টের পেল ক্ষুধা কাকে বলে। তার সারা জীবনের রোগ ছিল ক্ষুধামন্দা। কোনো কিছুতেই রুচি ছিল না। পিতা-মাতার আদেশ-উপদেশ, ডাক্তার কবিরাজের শত অনুরোধ এবং সতর্কতা সত্ত্বেও সে নিয়মিত খেত না। খাবারের দস্তরখানে বসাটাই ছিল তার নিত্যকার সবচেয়ে বড় শাস্তি। মাংস, পোলাও, কাবাব কোরমা, ফলফলাদি কিংবা মিষ্টি-ফিরনি কোনো কিছুতেই তার রুচি ছিল না। দুধ, মাখন, পনির, পিঠা, পায়েস- হালুয়ার নাম শুনলে বমি আসত। কিন্তু আজ ওসবের নাম মনে আসতেই তার জিভে পানি চলে এলো এবং একটু পরে অভাবের তাড়নায় তার ভীষণ কান্না পেল। তৃষ্ণায় তার বুক ফেটে যাচ্ছিল। সে তাড়াতাড়ি পানির দিকে এগিয়ে গেল এবং দুই হাতে করে পানি তুলে মুখে দিতে থাকল।

অতিরিক্ত পিপাসা এবং ক্ষুধার সময় খালি পেটে পানি খেলে যা হয়, রাজকুমারীর ক্ষেত্রেও তাই হলো। সে মাথা চক্কর দিয়ে কাত হয়ে পড়ে গেল। মাথাটি পড়ল ঝরনার তীরের বালুকাবেলায় এবং পায়ের নিম্নাংশ পড়ে রইল পানির মধ্যে। সংজ্ঞা হারানোর আগে রোকশানা স্বপ্ন দেখতে লাগল- এক বস্তা কোরমা, পোলাও, কালিয়া, কোপ্তা, আর খাসির রোস্ট তার সামনে। সে পালঙ্কে শরীর এলিয়ে দিয়ে কাত হয়ে শুয়ে আছে আর তার আম্মা হুজুর সব খাবার সালাদ, চাটনি, আচার এবং লেবু দিয়ে মাখিয়ে বড় বড় লোকমা বানিয়ে তার মুখে পুরে দিচ্ছে। সে শুধু মুখে পুরছে এবং রাক্ষসীর মতো গপাগপ গিলছে। উফ বড্ড বেশি খাওয়া হয়ে গেল মনে হয়। কেমন যেন ঘুম চলে আসছে। সে বড় বড় কয়েকটি হাই তুলল এবং এক বস্তা পোলাও কোরমার সুখ স্বপ্ন নিয়ে সংজ্ঞা হারাল।

সংজ্ঞা ফেরার পর রোকশানা নিজেকে দেখতে পেল একটি মাটির ঘরের মেঝেতে শোয়া অবস্থায়। সে চিৎ হয়ে উপরের দিকে তাকাল। আকাশ নেই ছাদ নেই, কেমন যেন খড়কুটো ঝুলছে। ডানে-বামে তাকিয়ে দেখতে পেল কেবল মাটির তৈরি প্রাচীর। কোনো জানালা নেই। শুধু একটি দরজা। কোনোমতে বাইরে থেকে হালকা আলো প্রবেশ করছে। চারদিকে কেমন মাটি মাটি গন্ধ। সে যে বিছানায় শুয়ে আছে সেখান থেকে অদ্ভুত এবং উৎকট গন্ধ বের হচ্ছিল। ঘরটিতে কোনো জনমানব ছিল না। কোনো মশামাছির আলামত ছিল না। রোকশানার মস্তিষ্ক তখনো সচল হয়নি। সে শুধু দেখছিল এবং ঘ্রাণ নিতে পারছিল। সে একটু চেষ্টা করল পাশ ফিরে শোয়ার জন্য। কিন্তু প্রচণ্ড ব্যথার কারণে চিৎকার করে উঠল। শব্দ শুনে বাইরে থেকে মাঝবয়সী এক মহিলা ছুটে এলো। একটি মাত্র কাপড় দিয়ে মহিলাটি তার বুক এবং উরুদেশের মাঝামাঝি পর্যন্ত ঢেকে রেখেছে। শরীরের বাকি অংশ উদোম। এলোমেলো জট পাকানো কোঁকড়ানো চুল। গোল গোল বিশ্রী দুটি চোখ একদম কোটরে ঢুকে পড়েছে। গালে মাংস নেই বললেই চলে। ত্রিভুজ আকৃতির মুখটিতে দুই চোয়ালের হাড্ডি স্পষ্টভাবে দেখা যাচ্ছে। মহিলাটি দেখতে বিশ্রী হলেও তার গায়ের রং ছিল চমৎকার। আর তার চেয়েও চমৎকার ছিল তার কণ্ঠ। কিন্তু ভাষাটি ছিল আলাদা। মহিলাটি মমতাময়ী মায়ের আদর ও স্নেহ নিয়ে রাজকুমারীর শিয়রে বসল এবং তার মাথায় হাত বুলিয়ে কী সব বলার চেষ্টা করল। রাজকুমারী ফ্যাল ফ্যাল দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইল। কিছু বললও না বা কিছু বুঝলও না।

রাজকুমারীর মস্তিষ্ক ধীরে ধীরে সচল হতে লাগল। তার একে একে মনে পড়ে গেল দুর্গের কথা। হররোজ দুর্গ থেকে ক্ষণিকের তরে পাহাড়ের পাদদেশে পালিয়ে এসে ঝরনার তীরে বসা। তারপর গভীর রাতে দুঃসাহসিক পালানোর অভিযান।

সুবেহ সাদিকের সময় ঝরনার তীরে পৌঁছানো। তারপর প্রথম সূর্যের রক্তিম আভা বনভূমি পেরিয়ে ঝরনার জলে প্রতিবিম্বিত হওয়ার দৃশ্য। এরপর হরিণের পাল, মহিষের পালের মনোরম পানি খাওয়ার দৃশ্য। তারপর মনে পড়ল মশামাছির যন্ত্রণা। ঘোড়ার পানি খাবার দৃশ্য এবং সব শেষে নিজের পানি পানের ঘটনা। রাজকুমারী তার নতুন আবাসস্থলের দিকে পুনরায় তাকালেন। অন্ধকারের মধ্যে এর আগে সে হয়তো লক্ষ করেনি; কিন্তু এবার দেখতে পেল যে কয়েকটি ধবধবে সাদা রংয়ের ভেড়া ঘরটির এক কোণে বাঁধা রয়েছে। ভেড়াগুলোর ছটফটানি, গায়ের গন্ধ এবং মলমুত্রের উৎকট দুর্গন্ধ পুরো ঘরটিকে জাহান্নাম বানিয়ে রেখেছে। সে ওঠে বসতে চেষ্টা করল। কিন্তু শরীরের সর্বাঙ্গে বেদনার জন্য পেরে উঠল না। সে ভেবে পেল না, এখানে সে কিভাবে এলো, কখন এলো, জায়গাটি কোথায়, কতদিন যাবৎ সে এখানে আছে, তার শরীরে এত ব্যথা কেন? সে আবার চেষ্টা করল ওঠে বসার জন্য কিন্তু পারল না, বরং কোমর দাঁড়ায় তীব্র ব্যথা অনুভূত হলো। চিৎকার করে কেঁদে উঠল- ওরে আম্মি গো, আম্মি !...। (চলবে)

 

সর্বশেষ খবর