রবিবার, ২৬ অক্টোবর, ২০১৪ ০০:০০ টা

মাছ, সবজিতে ফরমালিন

মাছ, সবজিতে ফরমালিন

শুধু ব্যবসায়িক ফায়দা লুটতেই ইউরিয়া, ফরমালিনসহ নানা কেমিক্যাল মিশিয়ে মাছকে বিপজ্জনক-বিষে পরিণত করা হচ্ছে। হাট-বাজার ঘুরে কেমিক্যাল মুক্ত মাছ মেলে না কোথাও। এর মধ্যেই ক্ষতিকর পিরানহা মাছ, রাক্ষুসে মাগুর, জীবনহানিকর পটকা মাছের দেদার বাজারজাত চলে। বাধা দেওয়ার যেন কেউ নেই। মাঝে মাঝে র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালতের ঝটিকা অভিযানে বিষাক্ত মাছ জব্দ ও বিনষ্ট করা হয়। কিন্তু মাছে ক্ষতিকর কেমিক্যাল প্রয়োগ মোটেও বন্ধ করা যাচ্ছে না। সবুজ সবজিতেও ক্ষতিকারক কেমিক্যাল মেশানো হচ্ছে অবাধে। পাইকারি আড়তসমূহে মাছের স্তূপ দিয়ে তার ওপর প্রকাশ্যেই ফরমালিন ছিটানো হতো অথবা স্প্রে করা হতো কেমিক্যাল মিশ্রিত পানি। প্রশাসনের নজরদারির ভয়ে এখন আড়তে কেমিক্যাল মেশানোর ঝুঁকি নেয় না কেউ। মাছ আহরণস্থল থেকেই প্রয়োগ করা হয় ফরমালিন। অপেক্ষাকৃত বড় আকারের মাছগুলোতে তাজা থাকাবস্থায় ইনজেকশনের মাধ্যমে ফরমালিন পুশ করা হয়। মাছগুলো মৃত থাকলে সেগুলোর ওপর শুধু ফরমালিন ছিটিয়ে দিয়ে থাকে। অন্যদিকে ছোট আকারের মাছগুলো শুধু ফরমালিন মিশ্রিত পানির ড্রামে চুবিয়ে তুললেই চলে। ব্যবসায়ীরা বাজারে ফরমালিন ব্যবহারের ব্যাপারটি অস্বীকার করলেও পুরান ঢাকার সোয়ারিঘাট বাজারে বেশির ভাগ দোকানেই ফরমালিনের অবাধ ব্যবহার করতে দেখা যায়। আড়তগুলোতে ফরমালিন মিশ্রিত বরফ দ্বারা মাছের গায়ে কেমিক্যাল প্রয়োগ করছেন অভিনব স্টাইলে। এক্ষেত্রে ফরমালিন মেশানো পানি দিয়েই বরফের পাটা বানানো হয়। সেই ফরমালিন বরফের মধ্যেই দিনভর চাপা দিয়ে রাখা হয় মাছ। সাধারণ পানি দিয়ে বানানো বরফ পাটাগুলো ধবধবে সাদা থাকে, ফরমালিন বরফ পাটার রং থাকে হালকা ব্রাউন।

 

 

সর্বশেষ খবর