সোমবার, ২৯ ডিসেম্বর, ২০১৪ ০০:০০ টা

জ্যোতিষ ড. কে.সি. পাল-এর দৃষ্টিতে ভাগ্যচক্র ২০১৫

ড. কে.সি. পাল- যুগ্ম মহাসচিব, বাংলাদেশ অ্যাস্ট্রোলোজার সোসাইটি কেন্দ্রীয় কমিটি স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত [ভারত] পৌরোহিত্য, আয়ুর্বেদ [পঞ্চতীর্থ]-ঢাকা, জ্যোতিষ শাস্ত্রী, জ্যোতিষ ভাস্কর জ্যোতিষ অর্ণব- ভারত

জ্যোতিষ ড. কে.সি. পাল-এর দৃষ্টিতে ভাগ্যচক্র ২০১৫

অনেকেই আছেন যারা ভাগ্যচক্রে বিশ্বাস করেন। আবার অনেকে বিশ্বাস করতে চান না। বিশ্বাস-অবিশ্বাসের বিষয়টি শেষ পর্যন্ত যার যার ব্যক্তিগত বিষয়। এর পরও বিশ্বজুড়ে রাশিচর্চা বা ভাগ্যচক্র নিয়ে আলোচনা-গবেষণা হয়। মানুষ নিজের ভবিষ্যৎ জানার জন্য উন্মুখ থাকে। জ্যোতিষীরা মানুষের সেই জানার ইচ্ছা নিবারণের আপ্রাণ চেষ্টা করেন। এক্ষেত্রে কারও কারও সাফল্য ঈর্ষণীয়। এর পরও একটি কথা বলে রাখা ভালো রাশি কখনোই ভাগ্য নিয়ন্তা নয়। মানুষের কর্মই তার ভাগ্য নির্ধারণ করে। জ্যোতিষ শাস্ত্র কেবল কিছু সূত্র ধরে সম্ভাবনার পথ বাতলে দেয়। আজকের আয়োজন সেরকমই একটা কিছু।

 

বাংলাদেশ

গ্রহাবস্থান পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর ২০১৫ পর্যন্ত গোটা বছরের দেব সেনাপতি মঙ্গলের প্রভাবে বিরোধী দলসমূহ বছরের শুরুতেই সরকারবিরোধী আন্দোলন জোরদার করার ডামাডোল পেটালেও বিশেষ সফল হবে না। দেশের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার দৃঢ়তা র‌্যাব, পুলিশ, বিজিবি, সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর স্বদেশপ্রেম জনসাধারণের মনে প্রশান্তি ছড়াবে। দেশে একাধিক প্রাকৃতিক দুর্যোগ ছাড়াও একদিকে শীতের প্রকোপ, অন্যদিকে দাবদাহ প্রভৃতি কারণে জানমালের ক্ষতি অতীতের রেকর্ড ভেঙে দিতে পারে। বাস, ট্রেন, জলযান দুর্ঘটনার মাত্রা সীমা ছাড়িয়ে যাবে। বিমান দুর্ঘটনার আশঙ্কা। ধর্মীয় উগ্রগোষ্ঠী, সাম্প্রদায়িক শক্তি ও জঙ্গিগোষ্ঠীর সম্মিলিত তৎপরতা বৃদ্ধি পাবে। সেই সঙ্গে চোরাচালান, অবাঞ্ছিত অনুপ্রবেশ, সীমান্ত বিরোধ, হত্যাযজ্ঞ, হরতাল, অবরোধ, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও ধর্মীয় উপাসনালয়ে ভাঙচুর, অগি্নকাণ্ডের সঙ্গে সঙ্গে চোর, ডাকাত, রগকাটা পার্টি, ছিনতাইকারী, অজ্ঞান পার্টি, ধর্ষক, চাঁদাবাজ, মাদক ব্যবসায়ী, মাদক সেবনসহ সমাজবিরোধী কর্মকাণ্ডের রমরমা বাণিজ্য, নারী ও শিশু পাচার প্রভৃতি বৃদ্ধি পাওয়ায় সাধারণ মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা বিঘি্নত হবে। কৃষি সংশ্লিষ্ট পণ্য সংকট, জীবন রক্ষাকারী ওষুধে ভেজাল, চিকিৎসাসেবা নিয়ে রাজনীতি, আন্দোলন, ফল, মাছ, মাংসসহ সিংহভাগ খাদ্যদ্রব্যে বিষাক্ত কেমিক্যালের সংমিশ্রণ, কিছু দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি প্রভৃতি সামাল দিতে সরকারকে বেগ পেতে হবে। আন্তর্জাতিক জঙ্গিগোষ্ঠীর আগ্নেয়াস্ত্র, অর্থ, বোমাসহ বোমা তৈরির সরঞ্জাম আমদানি ও তৈরি, বিভিন্ন নকল দ্রব্য ছাড়াও জালনোট তৈরির বহু কারখানার প্রকাশ ঘটবে কিন্তু সব বন্ধ করা কঠিন হবে। দেশের বিভিন্ন ধর্মীয় উপাসনালয় ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দেশ ও সরকারবিরোধী ষড়যন্ত্রের নীলনকশা এক্ষেত্রে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে পারে। এ বছর যুদ্ধাপরাধী, রাজনীতিবিদ, সন্ত্রাসীসহ বেশ কয়েকজনের ফাঁসির রায় কার্যকর হওয়ায় রাজনৈতিক উত্তেজনা সৃষ্টি হতে পারে। যানবাহন ভাঙচুর, ঘরবাড়ি, শিল্প-কলকারখানা, অফিস আদালতে অগি্নকাণ্ড, মুক্তিপণ আদায়, গুম, অপহরণ, রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নাশকতা, বেশ কয়েকজন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানপ্রধান, সাংবাদিক, সাহিত্যিকসহ গুণীজনের ওপর আচমকা হামলা হতে পারে। দেবগুরু বৃহস্পতি, দেব সেনাপতি মঙ্গলসহ অন্যান্য শুভ গ্রহযোগে দেশের শিল্পবাণিজ্য, জনশক্তি রপ্তানিসহ সব ধরনের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য আলোর মুখ দেখবে। যার ফলে দেশে বেকারত্ব কমে আসবে। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল থাকবে। বিশ্বব্যাংকসহ দাতা সংস্থাগুলোর মানসিকতা পাল্টে যাওয়ায় পদ্মা সেতু নির্মাণ, বিদ্যুৎ উৎপাদন, সামুদ্রিক বন্দর স্থাপন, সুন্দরবন রক্ষার চেষ্টা ও রাস্তাঘাট মেরামতে কিছুটা বিলম্ব ঘটবে। তবে আমেরিকা, ভারত, জাপান, রাশিয়া ব্রিটেন, চীনসহ বেশ কিছু দেশ থেকে বাংলাদেশ প্রচুর সাহায্য-সহানুভূতি পাবে। সরকারের বলিষ্ঠ পদক্ষেপে মন্ত্রী পরিষদের ব্যাপক রদবদল সূত্রে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের দুর্নীতি কমে আসবে। এ বছর সোনা, রুপা, তেল, গ্যাস, বিদ্যুৎ, দুগ্ধজাতদ্রব্য, শিশুখাদ্য, লৌহ, স্টিল, অ্যালুমিনিয়াম, ইমারত দ্রব্য, কয়লা প্রভৃতির দাম বৃদ্ধি পাবে। বিনিয়োগকারীসহ বিদেশি ধনকুবের শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করায় শেয়ারবাজারের মন্দা কাটবে। সরকারবিরোধী রাজনৈতিক জোট, চিকিৎসক, শিক্ষকদের আন্দোলন সরকার কঠোর হাতে দমন করায় এ বছর দেশ প্রধানত শান্ত থাকবে। দেশীয় শিক্ষার মান আন্তর্জাতিক মহলে সুনাম অর্জন করবে। কৃষি খাতে বিনিয়োগের ফলে দেশে খাদ্যে স্বয়ম্ভরতা ফিরে আসবে। পাট, চিংড়ি, কাঁকড়া, চামড়া প্রভৃতি রপ্তানি করে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা আয় হবে। রিজার্ভ বাড়বে কিন্তু কালো টাকা ও মুদ্রাস্ফীতি কমবে না। এ বছর দেশীয় সম্পদ আহরণে সফলতা ছাড়াও বেশ কিছু খনিজ দ্রব্যের সন্ধান মিলতে পারে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নানা কল্যাণমুখী কর্মকাণ্ড বিশেষ করে পররাষ্ট্রনীতিতে অগ্রগতি, পরাশক্তিসমূহের সঙ্গে সুসম্পর্ক জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংসিত হবে। তার জনপ্রিয়তা বাড়বে। তবে তার নিরাপত্তার ব্যাপারে অধিক সতর্কতার আবশ্যকতা রয়েছে। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জন্য বছরটি মোটা দাগে অশুভ। তার মনোবল, জনবল, সাংগঠনিক ক্ষমতা হ্রাস পেতে পারে। মামলা-মোকদ্দমা, শারীরিক অসুস্থতা ছাড়াও দল ও জোটে ভাঙন দেখা দিতে পারে। তারেক রহমান ও কোকোর দেশে ফেরার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদের জন্যও বছরটি তেমন শুভ নয়। রাজনৈতিক অঙ্গন থেকে তার মন উঠে যেতে পারে। সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের শরীরে অস্ত্রোপচার ছাড়াও চিকিৎসার্থে বিদেশ যাওয়ার প্রয়োজন পড়তে পারে। সব মিলিয়ে এ বছর যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন, বেকারত্ব দূরীকরণ, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ, প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা, আইনশৃঙ্খলার উন্নয়ন, বন্ধ শিল্প-কারখানা চালুসহ উল্লেখযোগ্য উন্নতি হওয়ার সম্ভাবনা।

 

বিশ্বপরিস্থিতি

সমগ্র বিশ্বব্রহ্মাণ্ডে এ বছর সৃষ্টি এবং প্রলয়ের যজ্ঞ সাধিত হবে। বিপরীতে স্থিতির গ্রাফ ক্রমশ নিচের দিকে নামতে থাকবে তাতে সন্দেহ নেই। হাতেগোনা কয়েকটি দেশ যেমন ডেনমার্ক, সুইডেন, নরওয়ে, মেক্সিকাে, হল্যান্ড, পোল্যান্ড, ইতালি, রোমানিয়া, বুলগেরিয়া, আয়ারল্যান্ড, জার্মানি বাদে বাকি প্রায় সিংহভাগ রাষ্ট্রে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংকট হবে প্রায় নিত্যদিনের ঘটনা। আইএস জঙ্গি গোষ্ঠী দমনে গোটা বিশ্ব সোচ্চার হওয়ায় অগণিত লোক হত্যাসহ রক্তের বন্যা বয়ে যাবে। গোটা বিশ্বে দ্রব্যমূল্য লাগামহীনভাবে বেড়ে উঠবে। সেই সঙ্গে জীবনরক্ষাকারী ওষুধসহ প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির দুষ্প্রাপ্যতা, রাজনৈতিক সংঘর্ষ, সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা, বেশ কিছু ক্ষমতাধর রাষ্ট্রের নেতৃবর্গের অদূরদর্শিতা, আশুলাভের আশায় হটকারী সিদ্ধান্ত গ্রহণ, ধর্মের নামে নাস্তিকবাদের দৌরাত্দ্য, খুন, জখম, লুণ্ঠন, গুপ্তহত্যা, নারী-শিশু পাচার ও নির্যাতন; অবৈধ অস্ত্রশস্ত্রের আমদানি-রপ্তানি, দেশি-বিদেশি জঙ্গি গোষ্ঠীর অনুপ্রবেশ, মাদকদ্রব্যাদির ফলাও করবার, খাদ্যদ্রব্যে ভেজাল ও বিশাক্ত কেমিক্যালের সংমিশ্রণ, সীমান্ত সংক্রান্ত বিরোধ, শুধু ইবোলা ক্যান্সার ছাড়াও নিত্যনতুন দুরারোগ্য ব্যাধিপীড়ার প্রকোপ, শিক্ষা ও ধর্মক্ষেত্রে চরম নৈরাজ্যতা, অগি্নকাণ্ডের পসরা, আগ্নেয়গীরির অগ্ন্যুৎপাত, বিস্ফোরণসহ গোলাবারুদের প্রয়োগ, জল, স্থল আকাশযান দুর্ঘটনা তথা আকাশযান ভূপাতিত; বন্যা, ভূমিকম্পন, ঘূর্ণিঝড়, তুষারপাত প্রভৃতির কারণে মানুষের জীবনযাত্রা বিপর্যস্ত হয়ে পড়বে বলে মনে হয়। আমেরিকা, ইউরোপ, অস্ট্রেলিয়া, রাশিয়াসহ মধ্যপ্রাচ্যের প্রায় দেশে অর্থনৈতিক মন্দাভাব ক্রমশ বৃদ্ধি পাবে। যার প্রভাবে পাকিস্তান, ইরাক, ইরান, আফগানিস্তান, মিসর, লিবিয়া, নেপাল, মালয়েশিয়া, ভুটান, মালদ্বীপ, কোরিয়া, সিরিয়া, কুয়েত, তুরস্ক, মরক্কো, কাতার, দুবাই, ওমান, প্যালেস্টাইন, লেবানন ও বাংলাদেশেও ওই মন্দার প্রভাব পড়বে। প্রায় সমগ্র বিশ্বে চলা অর্থনৈতিক মন্দার প্রভাবে দাতা দেশসহ বিশ্বব্যাংক তাদের মনোভাব পাল্টে ফেলায় আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যসহ আন্তর্জাতিক যোগাযোগ মুখ থুবড়ে পড়ার প্রবল সম্ভাবনা। বিশ্বের অনেক দেশে শুধু মহাদুর্যোগ নয়, খাদ্যাভাবও দেখা দেবে। অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র ও জালনোটের রমরমা বাণিজ্য ঠেকাতে গোটা বিশ্ব একেবারে হিমশিম খাবে। এতদসত্ত্বেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, রাশিয়া, ইসরায়েল, জাপানসহ বেশ কয়েকটি শক্তিশালী রাষ্ট্র তাদের পররাষ্ট্রনীতিতে অটল থেকে বিশ্বব্যাপী চলমান মহাদুর্যোগের মধ্য দিয়েও তাদের আধিপত্য বিস্তার ছাড়াও বিভিন্ন রাষ্ট্রকে উসকানি দিয়ে যুদ্ধ বাধিয়ে অস্ত্রশস্ত্র, যুদ্ধবিমান, জাহাজ, ট্যাংক, গোলাবারুদ বিক্রয় তথা নিজস্ব স্বার্থ চরিতার্থ করতে সক্ষম হবে। এ বছর বিশ্বব্যাপী চিকিৎসা বিভ্রাট তথা প্রাণদায়ী ওষুধের অভাব দেখা দেবে। যার ফলে শিশুসহ মৃত্যুর হার লাগামহীনভাবে বৃদ্ধি পাবে। কয়েক বছর ধরে পাকিস্তান, আফগানিস্তান, লিবিয়া, সিরিয়া, ইরাক প্রভৃতি রাষ্ট্রে চলা অগণিত লোকক্ষয়ের সঙ্গে সঙ্গে ঘটে চলা ধ্বংসযজ্ঞের সঙ্গে আরও দুই-তিনটি দেশ যুক্ত হবে বলে মনে হয়। চীন, রাশিয়া, লন্ডন, জাপান, কোরিয়া প্রভৃতি রাষ্ট্রের জনপ্রবৃদ্ধি কমে আসবে। বিশ্বের প্রায় উপসাগরীয় অঞ্চল ও আফ্রিকার ধর্মান্ধ গোষ্ঠীর সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের জন্য মানবিক বিপর্যয় দেখা দিতে পারে। পাকিস্তানে লোকক্ষয়ের মাত্রা অতীতের সব রেকর্ড ভঙ্গ করবে ছাড়াও সেনাঅভ্যুত্থান ঘটতে পারে। এ বছর রাহু মঙ্গলের প্রভাবে গোটা বিশ্বে শিরশ্ছেদ ও ফাঁসির রায় কার্যকরের মাত্রা সীমা ছাড়িয়ে যাবে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দল বিজেপির মধ্যকার অন্তঃকলহ ও কট্টর হিন্দুত্ববাদীদের ধর্মান্তর নীতির কারণে বিশ্বের বুকে তার জনপ্রিয়তা কমে এলেও দেশের সার্বিক উন্নয়ন ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় দেশের জনগণের মন জয় করে দেশকে সামনের দিকে নিয়ে যাবেন তাতে সন্দেহ নেই। প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা, ডেভিড ক্যামেরন, হু জিন তাও, শিনজো আবে ও ভ্লাদিমির পুতিনের জনপ্রিয়তা বাড়বে বৈকি কমবে না। অস্ট্রিয়া, পর্তুগাল, সেনেগাল, স্পেন, কানাডা, কিউবা প্রভৃতি দেশ ক্রমাগত উন্নতির দিকে অগ্রসর হবে। ক্রোয়েশিয়া, যুগোশ্লোভাকিয়া, ভিয়েতনাম, মঙ্গোলিয়া, মরিশাস প্রভৃতি রাষ্ট্রের অবস্থা ক্রমশ খারাপের দিকে ধাবিত হবে, সেই সঙ্গে প্রাকৃতিক দুর্যোগে অগণিত প্রাণহানি ও সম্পদ নষ্ট হবে। সিঙ্গাপুর, দুবাই, তাজিকিস্তান, উজবেকিস্তান, কিরঘিজিস্তান, আজারবাইজান, জর্জিয়া, বসনিয়া, সমরখন্দ, তাসখন্দ, চেচনিয়া, দিয়াগো প্রভৃতি দেশের অবস্থা শুভ অপেক্ষা অশুভই বেশি ঘটবে বলে মনে হয়। তিব্বত, ফিলিপাইন, সুদান, তাইওয়ানসহ সংযুক্ত আমিরশাহী প্রভৃতি রাষ্ট্রে বহু উত্থান-পতনসহ অসংখ্য প্রাণহানি ঘটবে। জঙ্গি গোষ্ঠী ও সন্ত্রাসবাদীরা উন্মাদ হয়ে অগণিত ধ্বংসযজ্ঞ সাধন করবে।

এতদসত্ত্বেও দেবগুরু বৃহস্পতিসহ শুভ গ্রহযোগে বিজ্ঞান, মহাকাশ, প্রযুক্তিগত গবেষণা ছাড়াও চিকিৎসা বিজ্ঞানে প্রাণদায়ী ওষুধ আবিষ্কারে চাঞ্চল্যকর সাফল্য মানবকল্যাণে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে সক্ষম হবে। গোটা বিশ্বে নারী শিক্ষা তথা নারীর ক্ষমতায়নে নবদিগন্ত উন্মোচিত হবে তাতে সন্দেহ নেই। রাহু মঙ্গল ও শনির কুপ্রভাবে বেশ কয়েকজন রাষ্ট্রপ্রধান, বিজ্ঞানী, বিশ্বনন্দিত শিল্পী, তারকা, খেলোয়াড়ের জীবনাবসান ঘটায় গোটা বিশ্ব বারবার কেঁদে উঠবে বলে মনে হয়।

 

 

সর্বশেষ খবর