অবরোধে সহিংসতার শিকার হয়ে বার্ন ইউনিটের পোস্ট অপারেটিভ ইউনিটে পর্যবেক্ষণে আছেন স্বপ্না বেগম (২৮)। গত ১৪ জানুয়ারি বাবার বাড়ি রংপুর থেকে ঢাকায় ফেরার পথে বগুড়ায় দুর্বৃত্তদের ছুড়ে দেওয়া পেট্রলবোমায় দগ্ধ হন তিনি। এতে তার শরীরের মুখ ও হাতসহ ৫ ভাগ পুড়ে যায়। ডানদিকের চোখটি এখনো মেলতে পারছেন না তিনি। কথা হলে বলেন, 'নিজের ভাগ্যকে দোষ দেই। অথচ যা অবস্থা এতে সরকার-বিরোধী দলের দায়িত্ব দেশে শান্তি ফিরাইয়া আনা। কিন্তু দোষ করছে হেরা আর পুড়ছি আমরা। ওই ঘটনা মনে করলে খালি ভয় লাগে, আমার দুই বাচ্চা, যাদের বাসায় রাইখ্যা আসছিলাম আমার কিছু হইলে তাগোরে কে দেখতো?' স্বপ্না বলেন, 'এ ঘটনায় আমার মেয়ের জামাই আঘাত পায়। কিন্তু তার আঘাত তুলনামূলক কম হওয়ায় বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা দিয়ে বাসায় পাঠাই দিছি। ভাগ্য ভালো যে, আমার সন্তানদের সঙ্গে নিয়া বাইর হই নাই। আল্লাহ তাদের বাঁচাইছে।' স্বপ্নার পাশে থাকা তার স্বামী জানান, যারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে আমরা অবিলম্বে তাদের শাস্তি চাই।