বৃহস্পতিবার, ২৯ জানুয়ারি, ২০১৫ ০০:০০ টা

সুদান-দক্ষিণ সুদান

সুদান-দক্ষিণ সুদান

২০০৫ সালে ২২ বছরব্যাপী নিজেদের ভিতরে চলতে থাকা যুদ্ধের সমাপ্তি ঘটায় সুদান ও দক্ষিণ সুদান। জন্ম নেয় নতুন এক দেশ। তবে বিবিসির দেওয়া তথ্যমতে এর ভিতরেই ১.৫ মিলিয়ন মানুষ মারা যায় এখানে। তবে একের পর এক শান্তি প্রতিষ্ঠার পদক্ষেপের কারণে একসময় থামতে বাধ্য হয় তারা। ৯ জুলাই নিজের সীমানা এঁকে নিয়ে স্বাধীন এক দেশ হিসেবে কার্যক্রম চালাতে থাকে দক্ষিণ সুদান। হঠাৎ করেই দক্ষিণ সুদানকে অবৈধ বলে দাবি করেন সুদানের রাষ্ট্রপতি ওমর হাসান আল বশির। তিনি নতুন সুদানকে পৃথক দেশ হিসেবে না মানার কথা বলেন যদি দেশটি দক্ষিণ কোর্দোফানের আবেই অঞ্চল দাবি করে থাকে। জুনের ৫ তারিখে দক্ষিণ সুদান তার মিলিটারি বাহিনীকে নিয়ে তৈরি আছে এবং ওত পেতে আছে শিকারের জন্য- এই অজুহাতে খার্তুম দক্ষিণ কোর্দোফানে নিজেদের ঘাঁটি গাড়েন। শুরু হয় আবেই অঞ্চলে জমি দখল ও প্রচুর পরিমাণে গোলাবর্ষণ। প্রাণের ভয়ে প্রায় ১ লাখ ১৩ হাজার মানুষ নিজেদের ঘরবাড়ি ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হয়। সুদান মুক্তিযুদ্ধ পার্টি, যেটা কিনা এতদিন যাবৎ দক্ষিণ সুদানের হয়ে উত্তর সুদানের সঙ্গে লড়ে এসেছিল এবং এরপরেও বেশ ভালো ভূমিকা রেখেছিল পুরো ব্যাপারটাতে, এগিয়ে আসে নিজেদের সব শক্তি নিয়ে। একটা সময় গিয়ে জুনের ২০ তারিখে খার্তুম কিছু ইথিওপিয়ান শান্তিরক্ষীকে আবেই অঞ্চলের ভিতরে আসতে দেওয়ার জন্য সম্মত হন। তবে এখন জাতিসংঘ ও আফ্রিকান সংঘের সাহায্যে তিনি নীল নদ ও দক্ষিণ কোর্দোফান অঞ্চলকে নিজের আয়ত্তে রেখেছেন।

 

সর্বশেষ খবর