বৃহস্পতিবার, ২৯ জানুয়ারি, ২০১৫ ০০:০০ টা

আমেরিকা-মেক্সিকাে

আমেরিকা-মেক্সিকাে

ঘটনাটির শুরু হয়েছিল ২০০৬ সালে। হুট করেই মেঙ্কিান রাষ্ট্রপতি ফিলিপ ক্যালডেরোন সিদ্ধান্ত নেন মেঙ্কিান সীমান্তের সব ধরনের মাদক চোরাচালান বন্ধের। ফলে তিনি নিয়োগ দেন ফ্রান্সিসকো রেমিরেজ অ্যাকুনাকে। আর এরপর থেকেই পুরো ব্যাপারটা হয়ে দাঁড়ায় রক্তারক্তির। মেঙ্কিান সীমান্ত দিয়ে যেহেতু প্রচুর পরিমাণে মাদক পাচার হতো, একে একে ধরা হয় তাদের সবাইকে। কেবল সীমানার এপারে নয়, রক্ত ছড়ায় ওপারেও। সীমান্তের দুই পাশই মাদক চোরাচালানিদের রক্তে ভিজে ওঠে। এখন পর্যন্ত মাদকদ্রব্যসংক্রান্ত বিষয়ে গত চার বছরের কড়া চাপের মুখে প্রায় ৪৪ হাজার মানুষ মারা গেছেন পুরো মেক্সিকােতে। আর ৪৫ শতাংশই হয়েছে মেঙ্কিান সীমান্তবর্তী দেশ- বাজা ক্যালিফোর্নিয়া, চিহুয়াহুয়া, কোয়াহুইলা, ন্যুয়েভো লিওন, সোনোরা এবং তামাউলিপাস। সংঘর্ষের মুখে পড়ে হাজার হাজার মেঙ্কিানকে প্রাণভয়ে পালাতে হয় আমেরিকায়। কেবল তামাউলিপাস ও চিহুয়াহুয়া থেকেই ২০১০ সালে সর্বোচ্চ ২ লাখ ১১ হাজার মানুষ ঘরছাড়া হয়েছেন। যদিও এতদিন খুব কম মানুষই মেক্সিকাের ওপারে মারা যেত, এবার থেকে সেটাও অনেকটা কমে গেছে। এখন কেবল মেক্সিকাের সীমান্তই নয়, প্রচুর পরিমাণে মানুষ মারা যাচ্ছে এল পাসো, টেক্সাসেও। যার মাধ্যমে মেক্সিকাের সরাসরি সীমান্তের যোগাযোগ আছে আমেরিকার সঙ্গে।

 

সর্বশেষ খবর