শনিবার, ৩১ জানুয়ারি, ২০১৫ ০০:০০ টা
খুলনা

পর্যটকশূন্য সুন্দরবন

পর্যটকশূন্য সুন্দরবন

অবরোধের প্রভাব পড়েছে সুন্দরবনভিত্তিক পর্যটন শিল্পে। ভরা মৌসুম চললেও গত ২৪ দিনে সুন্দরবন এক প্রকার পর্যটকশূন্য হয়ে গেছে। এতে করে সরকারের রাজস্ব আয় যেমন কমেছে, তেমনি ট্যুর অপারেটরদের ব্যবসা লোকসানে পড়েছে।


অবরোধের প্রভাব পড়েছে সুন্দরবনভিত্তিক পর্যটনশিল্পে। ভরা মৌসুম চললেও গত ২৪ দিনে সুন্দরবন এক প্রকার পর্যটকশূন্য হয়ে গেছে। এতে সরকারের রাজস্ব আয় যেমন কমেছে, তেমনি ট্যুর অপারেটরদের ব্যবসা লোকসানে পড়েছে।


জানা যায়, নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি মাস সুন্দরবনে পর্যটক আগমনের ভরা মৌসুম। কিন্তু গত ৫ জানুয়ারি থেকে ২০-দলীয় জোটের অবরোধ শুরু হওয়ায় দেশি- বিদেশি পর্যটকরা সুন্দরবন ভ্রমণে আসতে পারছে না। ফলে গোটা সুন্দরবন এখন পর্যটকশূন্য বলা যায়।


সুন্দরবন বন বিভাগ সূত্রে জানা যায়, গত বছর সুন্দরবনে পর্যটন খাত থেকে রাজস্ব আদায় হয়েছে প্রায় দুই কোটি টাকা। ওই বছর দেশি-বিদেশি মিলে পর্যটক আগমন ঘটেছে এক লাখ দশ হাজারেরও বেশি। কিন্তু এ বছর ভরা মৌসুমেও পর্যটকের দেখা নেই।




দি বেঙ্গল ট্যুর লিমিটেডের জেনারেল ম্যানেজার শাহ জামান খান পপুল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ছোট-বড় মিলে ৩০-৩৫টি ট্যুর অপারেটর প্রতিষ্ঠান


সুন্দরবনে পর্যটকদের ভ্রমণ কাজে নিয়োজিত আছে। সব মিলে প্রতি বছর সেল হয় প্রায় ৪০ কোটি টাকার বেশি। কিন্তু টানা অবরোধের কারণে এ বছর ট্যুর ব্যবসা লোকসানের মুখে পড়েছে। আমাদের বেঙ্গল ট্যুর লিমিটেড প্রতিষ্ঠানেরই জানুয়ারি মাসেই চারটি এবং আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে চারটি মিলে আটটি ট্যুর প্যাকেজ বাতিল হয়েছে। এর মধ্যে বিদেশিদের ট্যুর প্যাকেজও ছিল। এতে ক্ষতি হয়েছে আনুমানিক ৫০ লাখ টাকা। তিনি বলেন, সুন্দরবনের পর্যটনকে ঘিরে উপকূলের বেশ কিছু মানুষ ব্যবসা করে। তারাও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।


সুন্দরবন পশ্চিম বিভাগের ডিএফও জহির উদ্দিন আহমেদ বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, গত বছর পর্যটক খাত থেকে রাজস্ব আদায় হয়েছিল প্রায় দুই কোটি টাকা। কিন্তু অবরোধের প্রভাবে এবার টার্গেট পূরণ হওয়া অনিশ্চয়তায় পড়েছে। সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের ডিএফও আমীর হোসেন চৌধুরী বলেন, প্রতি বছর জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে দেশি ও বিদেশি পর্যটকদের আগমন বেশি ঘটে। এ দুই মাসে শুধু সুন্দরবন পূর্ব বিভাগে ৬০ থেকে ৭০ হাজার পর্যটক আসেন। কিন্তু অবরোধের কারণে চিত্রটা পাল্টে গেছে। খুলনা, সাতক্ষীরা ও বাগেরহাটের স্থানীয় পর্যটক ছাড়া দেশের অন্যান্য জেলার ও বিদেশি পর্যটক নেই বললেই চলে।

* সামছুজ্জামান শাহীন, খুলনা

সর্বশেষ খবর