শনিবার, ৩১ জানুয়ারি, ২০১৫ ০০:০০ টা
বান্দরবান

ব্যবসায়ীদের মাথায় হাত

ব্যবসায়ীদের মাথায় হাত

রাজনৈতিক দলগুলোর অবরোধ-হরতালের মতো কর্মসূচির কারণে বান্দরবানের আবাসিক হোটেল-মোটেল ও রেস্তোরাঁ মালিকরা প্রতিদিন লাখ লাখ টাকা লোকসান গুনছে। এতে ব্যবসায়ীদের মাথায় হাত। অন্যদিকে পর্যটনকে কেন্দ্র করে চলাচলরত বান্দরবানে প্রায় পাঁচ হাজার মিনিবাস, মাইক্রোবাস ও চাঁদের গাড়ির ১০ হাজার শ্রমিক বেকার হয়ে পড়েছে।

পার্বত্য জেলা বান্দরবানে ধসের মুখে পড়েছে পর্যটনশিল্প। রাজনৈতিক দলগুলোর অবরোধ-হরতালের মতো কর্মসূচির কারণে বান্দরবানের আবাসিক হোটেল-মোটেল ও রেস্তোরাঁ মালিকরা প্রতিদিন লাখ লাখ টাকা লোকসান গুনছে।

এতে ব্যবসায়ীদের মাথায় হাত। অন্যদিকে পর্যটনকে কেন্দ্র করে চলাচলরত বান্দরবানে প্রায় পাঁচ হাজার মিনিবাস, মাইক্রেবাস ও চাঁদের গাড়ির ১০ হাজার শ্রমিক বেকার হয়ে পড়েছে। পর্যটনের এই ভরা মৌসুমে বান্দরবানে হাজার হাজার পর্যটকে মুখরিত থাকার কথা ছিল; কিন্তু টানা অবরোধে বিপর্যস্ত এখানকার পর্যটনশিল্প।

আবাসিক হোটেল-মোটেল ও রেস্তোরাঁ মালিকদের মতে, প্রতিদিন কর্মচারীদের বেতন ভাতাসহ প্রায় কোটি টাকার মতো ব্যয় করতে হয়। কিন্তু হরতালের কারণে কোনো আয় রোজগার না থাকায় তাদের বসে বসে বেতন-ভাতা দিতে হচ্ছে। এতে প্রতিদিন এসব প্রতিষ্ঠানে দৈনিক প্রায় কোটি টাকার অধিক ক্ষতি হচ্ছে।

কেবল আবাসিক হোটেলে নয়, নাজুক অবস্থা সব ব্যবসায়ীর। তাদের মতে, রাজনৈতিক দলগুলো একসঙ্গে বসে একটা সমঝোতায় এলে এ পর্যটন শিল্প হয়তো আলোর মুখ দেখবে।

এ ছাড়াও দূরের যাত্রায় ভ্রমণের জন্য জিপ, মাইক্রো গাড়ির শ্রমিকরা এখন বেকার হয়ে পড়েছে। সব মিলিয়ে হরতালের মতো কর্মসূচির কারণে পুরো পর্যটন সংশ্লিষ্ট শিল্পগুলো চরম ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে।

এদিকে হোটেল-মোটেল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম জানান, দেশের অস্থিতিশীল পরিস্থিতির কারণে গত বছর ব্যবসার অবস্থা খারাপ ছিল। এ বছর আশা করেছিলাম ঘুরে দাঁড়াতে পারব। কিন্তু না, দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি আবারও পর্যটন ব্যবসাকে পথে বসাচ্ছে। অনেকেই হোটেলে অগ্রীম বুকিং দিয়ে থাকে।

কিন্তু অবরোধ-হরতালের ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে বুকিং বাদ দিয়ে দেয়। অথচ এ সময় হোটেল-মোটেলে অগ্রীম বুকিং করে রাখতে হতো। কারণ এ সময় হোটেল-মোটেলগুলোতে রুম পাওয়া কষ্টকর ছিল। দেশের স্বার্থে পর্যটনশিল্প বিকাশের ধারাবাহিকতা অক্ষুণ্ন রাখতে পর্যটনকেন্দ্র বান্দরবানকে হরতালের আওতামুক্ত রাখা প্রয়োজন।

অন্যদিকে ব্যবসায়ী সংগঠন চেম্বার অব কমার্সের মতে, রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে পর্যটনশিল্পে কিছুটা প্রভাব পড়েছে। বান্দরবানে রাজনৈতিক কর্মসূচির কোনো ধরনের ছোয়া লাগেনি। তবে দূর-দূরান্ত থেকে পর্যটক আসা সম্ভব হচ্ছে না। যে কারণে বান্দরবানে পর্যটকশূন্য। এ সমস্যা অচিরে কেটে যাবে। জেলা প্রশাসক মিজানুর হক চৌধুরী জানান, টানা অবরোধে বান্দরবান এখন পর্যটকশূন্য। তবে এ মুহূর্তে কোনো পর্যটক বান্দরবান এলে তাদের নিরাপত্তা শতভাগ নিশ্চিত করা হবে।

* কবির হোসেন সিদ্দিকী, বান্দরবান

 

 

সর্বশেষ খবর