শুক্রবার, ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ ০০:০০ টা

কবিতার ভেতর বাহির

আসাদ চৌধুরী

কবিতার ভেতর বাহির

শিল্পকর্ম : রোকেয়া সুলতানা

স্কুলের নিচের দিকে ক্লাসে ঢুকতেই জব্বার স্যার, আবদুজ জব্বার পণ্ডিত কখনো খোশমেজাজে, কখনো হাতের বেতটি শূন্যে ঘুরিয়ে বলতেন, 'আজকে কী? পদ্য না গদ্য?' আমরা আস্তে বললেও স্যার ঠিকই শুনতে পেতেন- বেশ চেঁচিয়ে বলতাম- গদ্য না, পদ্য। কেন চেঁচিয়ে বলতাম, ব্যাখ্যাটি দিতে পারছি না, তবে প্রাইমারি স্কুলে পড়া পারলে চেঁচিয়ে বলার রেওয়াজ ছিল সেই সময়ে, না পারলে কণ্ঠস্বর খাদে নিয়ে বলতাম। সেই যে শুরু এখনো মাঝেমধ্যে পদ্যের সুবাতাস গায়ে মাখতে ভালো লাগে। রবীন্দ্রনাথের 'লিপিকা', তিনি নিজেই বলেছেন, কবিতা। ফলে কী রকম বিপদে পড়েছিলাম ইন্টারমিডিয়েটে পড়ার সময় সে তো আমি জানি।

সুকুমার রায়ের 'আবোল তাবোল' ছিল প্রিয় বই। আবু সায়ীদ আইয়ুবকে ধন্যবাদ জানাতেই হয়, তিনি তার সম্পাদিত গ্রন্থে সুকুমার রায়কে অন্তর্ভুক্ত করেছিলেন এবং আমার এক সময়ের গুরু বুদ্ধদেব বসু তার সম্পর্কে ছোট্ট কিন্তু প্রথম মূল্যায়নধর্মী একটি রচনা আমাদের উপহার দিয়ে গেছেন। ত্রিশের কবিবৃন্দ আধুনিক কবিতার জন্য যে তালিকা রেখে গেছেন, অর্থাৎ ক্রিয়াপদের মধ্যে গেনু, পেনু এসব এক বাক্যে বর্জনীয়, আর তব সনে মম জাতীয় শব্দ, যা দিয়ে এখনো গানের বাণী রচিত হয়, দীর্ঘদিন ধরে বিনা বাক্যব্যয়ে তরুণ কবিরা শিরোধার্য করে নিয়েছিলেন। যদিও এখনো কোনো কোনো তরুণ কবি এ বিধানকে গুরুত্বহীন মনে করেন। আমি খানিকটা।

ছোটবেলার প্রিয় কবির মধ্যে সুকান্ত ভট্টাচার্য আছেন, মনে নেই 'ছাড়পত্র' দ্বিতীয় সংস্করণ কে যেন আমাকে উপহার দিয়েছিলেন, আর নজরুলের নিষিদ্ধ বই 'বিষের বাঁশি'। রবীন্দ্রনাথের কোনো কবিতার কী ছড়ার বই সে সময় পড়িনি। নিজের এবং অন্যদের পাঠ্যপুস্তকে তার কবিতা পেলেই অত্যন্ত আগ্রহ নিয়ে পড়তাম। আর গ্রামোফোনে পাগলের মতো শুনতাম রবীন্দ্রসংগীত। গীতবিতান, সপ্তম শ্রেণির ছাত্র তখন, আমার প্রিয় একটি বই। দুবার নিজের পয়সায় কিনেছি, দুবার উপহার পেয়েছি। রবীন্দ্র রচনাবলির কথা ধরলে অবশ্য পাঁচবারই বলতে হবে। রবীন্দ্রনাথের কবিতা যত না পড়েছি, অনার্স পড়ার সময় তো পড়তে হয়েছিল বাধ্যতামূলকভাবে। গীতবিতান পড়েছি এবং পড়েছি তার চেয়েও অনেকগুণ বেশি। এবং ভয়ে ভয়েই নিবেদন করি, 'গীতবিতান' ছাড়া আমি চলতে পারিনে।

একটু ভুল হয়ে গেল যে, ব্রজমোহন কলেজে পড়ার সময়েই আমি 'বীরাঙ্গনা কাব্য', 'ব্রজাঙ্গনা কাব্য,' 'দশমী', 'নাম রেখেছি কোমল গান্ধার,' এবং 'ছায়াহরিণ' এই বইগুলো কিনেছিলাম। আর লাইব্রেরি থেকে নিয়ে পড়েছিলাম 'বনলতা সেন', 'তালেব মাস্টার', 'প্রথমা'- না, স্মৃতির ওপর বেশ চাপ পড়ছে। কবুল করছি, সময়ের ব্যবধান উপক্ষোর শিকার হয়েছিল। আমি এসব বই একবার দুবার নয় অনেকবার পড়েছি। মধুসূদনের কঠিন শব্দের অর্থ তো বইতেই ছিল, সুধীন্দ্রনাথের জন্য অভিধান খুঁজে অর্থ বের করেছি, কিন্তু বিষ্ণু দের জন্য এনসাইক্লোপিডিয়া ব্যবহার অনিবার্য হলেও সে শ্রম স্বীকার করিনি। উপরের ক্লাসের কাছ থেকে, কখনোবা স্যারদের কাছ থেকে জেনে নিতাম। আমার একজন প্রিয় শিক্ষক ছিলেন বামপন্থি, অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম। তিনি বিষ্ণু দের কবিতা পড়েছি দেখে কী যে খুশি হয়েছিলেন, তিনি আমাকে সুভাষ মুখোপাধ্যায় পড়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন। ওই সময় তার কোনো বই সংগ্রহ করতে না পারলেও বিভিন্ন সংকলনে তার লেখা পেতাম, পড়তামও। নতুন সাহিত্য, চতুরঙ্গ, সমকাল, উত্তরণ- এসব পড়তে শুরু করেছি তখন, সঙ্গে সঙ্গে, আমার রুচির নিন্দা করবেন না, উল্টোরথ, সিনেমা জগৎ, প্রসাদ, রূপমঞ্চ, এসবও। সিনেমা, গান আর গল্পের বই এবং কবিতা। আমার খুব প্রিয় হয়ে উঠেছিল। নতুন সাহিত্য, চতুরঙ্গ- এসব পত্রিকার পুস্তক সমালোচনা বিভাগটি আমাকে কবিতা বুঝতে বেশি সাহায্য করেছিল। ছন্দমিল শুধু নয়, ঔচিত্যবোধ, সংযম, এসব বিষয়ে আর ফর্ম ও কনটেন্ট- এসব বিষয়ে বেশ আগ্রহী হয়ে উঠেছিলাম। পদ্যে ব্যবহৃত ক্রিয়াপদের মিলগুলো তখন আমার বিরক্তি বাড়াতে সাহায্য করতে শুরু করেছে। কারও লেখায় তব মম এসব দেখলে শুধু যে বিজ্ঞের হাসিই হাসতাম, তা নয়, কবিতাটিই আর পড়া হতো না। বরিশালের সদর রোডেই সব বইয়ের দোকান। বলতে ভালো লাগছে, ওই সময় বেশ কবিতার বই বিক্রি হতো, নইলে বিক্রেতারাইবা কেন কবিতার বই রাখবেন। মনে আছে তরুণ লাইব্রেরির দেলোয়ার ভাই চোখ টিপে 'প্রথমা'র দিকে ইশারা করছেন, আর একেবারে শেষের দিকে, 'আরে মেয়া শামসুর রাহমানের বইটা এখনো চোখে পড়ল না।' ঢাকায় আসার পর জানালা সামান্য খুলে গেল, বোধ হয়, দুয়ারের খিলটাও। বন্ধুবান্ধবরা লিখছেন, আমি পড়ছি বুদ্ধদেব বসুর অনুবাদ, আর তারা পড়ছেন, পেঙ্গুইন প্রকাশিত মূল বই এবং ইংরেজি অনুবাদ। সপ্তসিন্ধু দশদিগন্ত, নরকে এক ঋতু, শার্ল বোদলেয়ারের কবিতা। সায়ীদ ভাই (আব্দুল্লাহ আবু সায়ীদ) শোনান বিট জেনারেশনের কবিতার কথা, কলকাতার হাংরি জেনারেশনের কথা, আমরাও চুকচুক করে ভালো না লাগলেও বিয়ার খেতে শুরু করেছি। বন্ধু ইকবাল বলতেন, ঘোড়ার মুত। সহপাঠী আব্দুল মান্নান সৈয়দের কবিতা পড়ে ওর মুখের দিকে তাকিয়ে থাকি বিস্ময়ে শ্রদ্ধায়। মনে মনে বলি, শাবাশ-অশোক সৈয়দ। সহপাঠী ইমরুল চৌধুরীর কবিতা পড়ে চমকে উঠি। আমাদের সিনিয়র মনজুরে মওলা, হায়াৎ মামুদ এদের লেখা পড়ি; কালবেলা, সপ্তক এসব ঢাকায় ছাপা। রফিক আজাদ এলেন টাঙ্গাইল থেকে। আলাপ হয় সিকদার আমিনুল হকের সঙ্গে, মাহবুবুল আলম জিনুর সঙ্গে, প্রশান্ত ঘোষাল এক ক্লাস জুনিয়র- এদেরই কল্যাণে প্রথমে 'বক্তব্য' আর 'স্বাক্ষর' বেরোয়।

এতদিন কবিতা পড়তাম। কবিতা সম্ভোগ করতাম, কবিতাকে আদর করতাম। রফিক আজাদের পীড়াপীড়িতে কবিতামতো কিছু লিখতে বাধ্য হলাম, যদিও আজাদ সুলতান ভাইয়ের তাগিদে 'ইতিহাসের আরেক নায়ক' নামে কবিতামতো একটা কিছু লিখে ফেলেছিলাম 'সংবাদের'র সাহিত্য পাতায় নয়, সম্পাদকীয় পৃষ্ঠায়। লেখাটা ছাপা হয়েছিল রণেশদার, রণেশ দাশগুপ্তের কল্যাণে। যারা ছন্দে লিখতেন তাদের আড়ালে-আবডালে ব্যঙ্গ করতাম, অথচ রফিক আজাদ, আখতারুজ্জামান ইলিয়াস- এরা তো বিশুদ্ধ ছন্দেই লিখেছিলেন, স্বাক্ষরের কবিতা... মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী, আহ,. এমন মাটির মানুষকে কেউ মারতে পারে? ছন্দ পড়াতেন মন দিয়ে। কান পেতে তার কথা শুনি। তারই পরামর্শে জোরে জোরে উচ্চারণ করে কবিতা পড়তে শুরু করি, রুমমেটরা, প্রথম প্রথম চটতেন, পরে ফরমাশ করতেন এ কবিতাটি শোনান না। বন্ধুবান্ধবদের কাছে, ছোট দুটি বোনের কাছে চিঠি লিখি ছন্দে, কখনো স্বরবৃত্তে, কখনো মাত্রাবৃত্তে। বিষ্ণু দে, সুভাষ মুখোপাধ্যায়কে তখন অসাধারণ মনে হতো। সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত, গোলাম মোস্তফার ছন্দবোধ দেখে তাজ্জব হয়েছিলাম। আল মাহমুদের 'লোক-লোকান্তর' আমরাই কপোতাক্ষ থেকে বের করি। সে তো আরেক বৃত্তান্ত। এক সময় খুব তাস পেটাতাম, এখনো সময় এবং সুযোগ পেলেই বায়ান্ন পাতার বইটি খোলার জন্য হুমড়ি খেয়ে পড়ি। সে সময়, কোন পত্রিকায় মনে নেই, আল মাহমুদের 'ব্রে' কবিতাটি পড়ি, মুগ্ধতা শব্দটি কি যথেষ্ট। কবি হেলাল হাফিজের অজর, অমর পঙক্তি, 'দুইটি জোকার নষ্ট হওয়ার কষ্ট ভীষণ' প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা যাদের আছে, কেবল তারাই বুঝবেন, চিরকুমারদের। বাসার ঘরের কথা বলে লাভ আছে?

'স্বাক্ষরে' প্রশান্ত ঘোষাল ভাবা যায়? চার দশকের অধিক কাল ধরে তিনি কিছুই লিখলেন না, স্বাক্ষরের শেষ সংখ্যায় সম্পাদক রণজিৎ পাল চৌধুরী তো লিটল ম্যাগ ছাড়া লিখলেনই না, অশোক সেনগুপ্ত ধরে বেঁধে তাকে দিয়ে দুয়েকটি প্রবন্ধ লিখিয়ে নিয়েছেন, এজন্য তাকে ধন্যবাদ। তো, প্রশান্ত যে নিবন্ধটি লিখেছিলেন, সেখানে শামসুর রাহমান, আল মাহমুদ, শহীদ কাদরীর উল্লেখ ছিল। শামসুর রাহমানকে দেখেছিলাম অনেক পরে, কিন্তু আল মাহমুদ আল শহীদ কাদরীর সঙ্গে যোগাযোগ ঘটে গেল। মোহাম্মদ আখতার, রফিক আজাদ, সহপাঠী হেলাল উদ্দীন আহমদের বন্ধু ছিলেন। আল মাহমুদ তো বটেই। আমরা দশ টাকা, পাঁচ টাকা চাঁদা দিয়ে আল মাহমুদের 'লোক লোকান্তর', কবি আবদুস সাত্তারের আরবি কবিতার অনুবাদ (প্রকাশক হিসেবে আমার নাম ছাপা হয়েছিল। আমি শপথ করে বলছি, আমি এর বিন্দু বিসর্গও জানতাম না। সে সময় আমাদের বন্ধুপ্রীতি ছিল দৃষ্টান্ত হিসেবে উপস্থাপন করার মতো। নিয়ামত হোসেন রেস্টুরেন্টে নার্গিসের পোস্টারের দিকে দৃষ্টি ফিরিয়ে পাতে মুরগির টুকরো ঢেলে দিলেন ভাবতে গেলে চোখে পানি এসে যায়, আহ কতদিন ওকে দেখি না।) আমার চোখের সামনে বিরাট এক ভুবন- আলাদা বিশ্ব, যৌনতা আছে, কামপ্রেম আছে। তার পরও মধ্যপ্রাচ্যের কবিতায় আরও কিছু ছিল, যা আমি ইউরোপীয় কবিতায় পাইনি। সপ্তসিন্ধু দশদিগন্তের সম্পাদক শঙ্খ ঘোষ, অলোকরঞ্জন দাশগুপ্ত-সময় কাঁপানো কবি। কই সেই সংকলনে খলিল জিবরান কেন, কোনো আরবি কবিতাই তো ছিল না। আধুনিক কবিতা কি শুধু পশ্চিমের? সংশয় আর খটকা বেড়েই চলে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া কলেজে কাজ পেয়ে চলে গেলাম নিউমার্কেটের বইয়ের দোকান হাতছানি দেয়, আর কলেজ লাইব্রেরির বই, টাউন ক্লাবের বই (পাবলিক লাইব্রেরি হয়েছিল আরও পরে- প্রতিষ্ঠাতা সদস্যদের ফাইলের মধ্যে ফাইলে বোধহয় আমার নামটি এখনো আছে), চণ্ডীপদ চক্রবর্তীর মধ্যপাড়ার বাসায়, চাখানায় আমার ঘরে আড্ডা চলে, মাশুক চৌধুরী, মাহবুবুল করিম, প্রথমদিকে ছিলেন আহমদ ছফা। তিতাস সাহিত্য পরিষদ গড়ে উঠল, মোহাম্মদ মুসা (আর মাহমুদের আত্দকথায় এই নামটি অনিবার্যভাবেই বারবার আসবে), কৃষক সমিতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছিলাম, কলেজ শিক্ষক, সমিতির সাহিত্য সংস্কৃতি সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করার জন্য ঢাকায় আসি, নাজে সিনেমা দেখার জন্য, রেক্সে, বিউটি বোর্ডিং আড্ডায় আসি, দুই বোন ঢাকায়, উঠি ঢাকা হলে রফিক আজাদের সঙ্গে কী অন্য কারও রুমে ঘুমাই-কখনো আলুবাজার অক্ষয় দাশ লেনে আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের ওখানে।

একদিকে পাক-ভারত যুদ্ধ, তারপর ছয় দফা আর তারই মধ্যে ক্যান্সার আক্রান্ত পিতার মৃত্যু, কুমিল্লায় আবার আড্ডার নতুন জায়গা হয়ে গেল। শক্তি ঔষধালয়ের ভানুর ওখানে সুভাষ পাল, ত্রিদিব রায়, অধ্যাপক মোমিনুল হক (বিজ্ঞানের অধ্যাপক কিন্তু ভারি সুন্দর ইংরেজি বলতেন), সহপাঠী অধ্যাপক বদরুল হাসান, সেলিনা বানু, শাহজাহান ভাই, সুখেন চক্রবর্তী, পরিমল রায়, গড়ে উঠেছে আরেক ভুবন। নজরুল কুমিল্লায় গেলে কলকাতার ওরকম টান থাকার পরেও আঠার মতো কেন লেগে থাকতেন, টের পাচ্ছিলাম ওস্তাদ আয়েত আলী খাঁ তখনো কুমিল্লা আলো করেছিলেন। শচীন দেব বর্মণ, হিমাংশু দত্ত, অজয় ভট্টাচার্য, সঞ্জয় ভট্টাচার্য, আর মাঝে মধ্যে ধূমকেতুর মতো আসা 'ঝাঁকড়া চুলের বাবরি দোলানো সৃষ্টি সুখের উল্লাসে কাঁপা মহান পুরুষটি, সেই কুমিল্লার জন্য প্রাচীন প্রবীণেরা যদি আফসোস করেন, কিছুই বলার নেই। ট্রানজিস্টার এসেছিল ষাটের গোড়ায়, এবার রেকর্ড প্লেয়ার আর টেপরেকর্ডার। কুমিল্লায় অরুণ রায়ের ছিল দেবব্রত বিশ্বাসের এক বিশাল ভাণ্ডার, আর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ড. হরিপদ দেবের বাসায়, নীভাদির ওখানে চিঁড়া ভাজার সঙ্গে দরাজ কণ্ঠ, সে কি ভাই যায় রে ভোলা? কবিতার লতানো শেকড়-বাকড়, এরই মধ্যে ঢুকে পড়ছিল, টেরই পাইনি।

 

 

সর্বশেষ খবর