শনিবার, ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ ০০:০০ টা

মোবাইল ফোনের বিবর্তন

তানভীর আহমেদ

মোবাইল ফোনের বিবর্তন

যোগাযোগ ব্যবস্থায় এখন মোবাইলের গুরুত্ব অনেক। সারা বিশ্বে মানুষের হাতে হাতে পেঁৗছে গেছে মোবাইল সেবা। চাইলেই মোবাইলের মাধ্যমে হাজার হাজার মাইল দূরের মানুষের সঙ্গে কথা বলতে পারেন যে কেউ। মোবাইল ছাড়া আমাদের দৈনন্দিন জীবন ভাবাই যায় না। মোবাইলে ইন্টারনেট প্রযুক্তি যোগ হওয়ার পর থেকে দৃশ্যপট পাল্টে গেছে। তথ্য-প্রযুক্তির এই যুগে তাই মোবাইলের বিশেষ অপরিহার্যতা রয়েছে। এখন মোবাইল দিয়ে শুধু কথা বলা যায় না বরং এতে যোগ হয়েছে সর্বশেষ প্রযুক্তির সব আবিষ্কার। ক্যামেরা যোগ হওয়ায় ছবি তোলা, ভিডিও করা ও সেটা আদান-প্রদান সম্ভব হচ্ছে। স্মার্টফোন বাজারে আসার পর থেকে মোবাইলকে 'মাল্টিমিডিয়া' হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। এখন একটি মোবাইল একটি মিনি কম্পিউটারের মতো সব কাজই করতে পারে। কিন্তু মোবাইলের এই উৎকর্ষের পেছনে রয়েছে দীর্ঘ গবেষণা ও গবেষকদের অক্লান্ত শ্রমের ইতিহাস। শুরুর দিকে যে যন্ত্রের মাধ্যমে কথা আদান-প্রদান করা সম্ভব হয়, তা আলাদা একটি শক্তিসম্ভার সমেত বয়ে নিয়ে বেড়াতে হতো। গাড়িতে রেডিও ট্রান্সমিশনের সফলতার পর 'কার টেলিফোন'-এর দেখা পাওয়া যায়। ১৯৪২ সালের দিকে হাতে বহন উপযোগী মোবাইল তৈরি সম্ভব হলেও সেটি 'প্রাইভেট মোবাইল' ছিল না। নেটওয়ার্কিংয়ের মাধ্যমে মোবাইল ট্রান্সমিশনের অধ্যায়টি মোবাইল জগতে গুরুত্বপূর্ণ। তবে ১৯৭৩ সালের পর থেকে আজকের দিনের মোবাইলের পথ চলায় গতি যোগ হয়। এরপর এসেছে মেসেজিং, ছবি প্রেরণ, ই-মেইল, মোবাইল ইন্টারনেট, ক্যামেরা মোবাইল, ফ্লিপ ফোন, টাচস্ক্রিন সেবা। সে ধারা এখনো অব্যাহত রয়েছে। যত সামনের দিকে আমরা যাচ্ছি তত আধুনিক মোবাইল প্রযুক্তি আমাদের হাতে আসছে। সামনের দিনে মোবাইলকে আরও উচ্চ প্রযুক্তিসমৃদ্ধ, দীর্ঘস্থায়ী ও ব্যবহারবান্ধব করার দিকেই চলছি আমরা।

 

সর্বশেষ খবর