শনিবার, ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ ০০:০০ টা

আইফোনের রাজত্ব

আইফোনের রাজত্ব

আইফোন। মোবাইল ফোন জগতে বিপ্লব ঘটানো এক প্রযুক্তি নিয়ে আসে এটি। বিশেষ করে প্রযুক্তিবিদদের কাছে এর আলাদা গুরুত্ব রয়েছে। সারা বিশ্বে আইফোনের বাজার ছড়িয়ে আছে। ব্যবহারকারীদের কাছেও এটি জনপ্রিয় হয়ে ওঠে প্রথম সংস্করণের পর থেকেই। অ্যাপল ইনকর্পোরেটের সর্বাধুনিক ইন্টারনেট ও মাল্টিমিডিয়া সংযুক্ত এক ধরনের স্মার্টফোন এটি। অ্যাপলের সাবেক সিইও স্টিভ জবস প্রথম আইফোন অবমুক্ত করেন ২০০৭ সালের ৯ জানুয়ারি। তখন আইফোনের আইওএস ব্যবহারকারীদের মধ্যে আলোড়ন তুলতে সক্ষম হয়। আইফোনের বিশেষত্ব হচ্ছে, এটিকে ভিডিও ক্যামেরা হিসেবে ব্যবহারের পাশাপাশি ক্যামেরা ফোন, বহনযোগ্য মিডিয়া প্লেয়ার, ইন্টারনেট মাধ্যম, ভিজুয়াল ভয়েস মেইল ক্লাইন্টসহ ওয়াইফাই ও থ্রিজি কানেকটর হিসেবে ব্যবহার করা যায়। আইফোনের পর্দাটি মাল্টি টাচস্ক্রিন ধরনের হয়ে থাকে। যেখানে একটি ভার্চুয়াল কিবোর্ড সুবিধা পাওয়া যায়। অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যারগুলো আইফোনের জন্য অ্যাপলের বিশেষ অ্যাপ স্টোর থেকে ডাউনলোডের সুবিধা আছে। এসব অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে আইফোনকে খেলাধুলা, জিপিএস নেভিগেশন, টেলিভিশন, চলচ্চিত্র দেখার কাজে সহজেই ব্যবহার করা যায়। আইফোন শুধু মোবাইল ফোন নয়, এটি একটি পূর্ণ মাল্টিমিডিয়া ডিভাইস হিসেবে জনপ্রিয়। আইফোন নির্মাণের জন্য অ্যাপল ইনকর্পোরেশন ২০০৫ সাল থেকে কাজ শুরু করে। এ সময় স্টিভ জবস অ্যাপলের ইঞ্জিনিয়ারদের টাচস্ক্রিন প্রযুক্তির মোবাইল ডিভাইস তৈরির দিকে মনোযোগী হতে নির্দেশ দেন। ৩০ মাসের চুক্তিতে অ্যাপল টেলিকম কোম্পানি এটিঅ্যান্ডটির সঙ্গে যৌথভাবে আইফোন নির্মাণ করে। স্টিভ জবস ২০০৭ সালের ৯ জানুয়ারি সানফ্রান্সিসকোতে প্রথম আইফোন অবমুক্ত করেন। আইফোনের দ্বিতীয় প্রজন্ম আইফোন ৩জি ১১ জুলাই ২০০৮ সালে অবমুক্ত হয়। তৃতীয় প্রজন্মের আইফোন ৩জিএস বাজারে অবমুক্ত করার ঘোষণা দেয় ৮ জুন ২০০৯ তারিখে। আইফোনের সর্বশেষ সংস্করণ আইফোন সিক্স এখন বাজারে রয়েছে। এটি অবমুক্ত হওয়ার পর প্রথম ৩ দিনেই এক কোটি মোবাইল সেট বিক্রি হয়ে যায়। দেশে দেশে আইফোন কেনার জন্য ক্রেতাদের লাইন ধরে দাঁড়িয়ে থাকার চিত্র জানান দেয় বর্তমান মোবাইল বাজারে আইফোনের জনপ্রিয়তা কতটুকু।

 

 

সর্বশেষ খবর