শিরোনাম
শনিবার, ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ ০০:০০ টা

যেভাবে আজকের মোবাইল

যেভাবে আজকের মোবাইল

১৯২১

মোবাইল প্রযুক্তির অনবদ্য আবিষ্কারের বছর। শিকাগো পুলিশ এএম ব্যান্ড রেডিওর মাধ্যমে একটি তরঙ্গ প্রেরণের পরীক্ষা করে। তখন থেকেই আজকের মোবাইলের স্বপ্ন বাস্তবে নামিয়ে আনার পথ দেখে। সময়ের বিবর্তনে যা উন্নততর হয়েছে।

১৯৪০

বার্তা পাঠানোর প্রযুক্তির বেশ কিছুটা আধুনিকায়ন ঘটে। যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী রেডিও সিগনাল পাঠানোর কাজে লাগায় এই প্রযুক্তিকে। যুদ্ধে ঘোড়ার পিঠে বহন করে এই তরঙ্গ প্রেরণের মাধ্যমে মোবাইল যোগাযোগ করা হয়।

১৯৪২

মটরোলা প্রথম নিয়ে আসে পাঁচ পাউন্ড ওজনের একটি 'হ্যান্ডি টকি'। যন্ত্রটি যুদ্ধে ব্যবহৃত হয়, এটাই প্রথম কোনো মোবাইল সেট, যা খালি হাতে বহন সম্ভব হয়। তবে এটি দিয়ে মাত্র এক মাইল দূরত্বের মধ্যে কথা বলা যেত।

১৯৫৬

মোবাইলে বাণিজ্যিক রূপ দেখা যায়। যুক্তরাজ্যের পোস্টমাস্টার জেনারেল রেগিনল্যান্ড ব্লেবিনসকে এই মোবাইল ব্যবহার করতে দেখা যাচ্ছে। প্রথম গাড়িতে সংযুক্ত টেলিফোনের মাধ্যমে কথোপকথনের সূচনা। তবে এ যন্ত্রটি আকারে অনেক বড় ছিল।

১৯৭২

এর আগে গাড়িতে সংযুক্ত রেডিও তরঙ্গ প্রেরণের মাধ্যমে মোবাইলে কথোপকথন সম্ভব হলেও এবার নিজের সঙ্গে বহনযোগ্য ইউনিট নেওয়া সম্ভব হয়। ছবিতে লন্ডনে ছোট ব্যাগের মতো এই ইউনিটটি কাঁধে নিয়ে এক মডেল।

১৯৭৩

আজকের দিনের মোবাইলের প্রথম মডেল। ব্যক্তিগত ব্যবহার্য এই মডেলের মোবাইলের প্রটোটাইপ দেখা মেলে এ বছর। মার্টিন কুপার মোবাইল জগতের এই অনবদ্য স্বপ্নকে বাস্তবে মানুষের হাতে এনে দেন। পরে ১৯৮৩ সালে এটি বাজারে আসে।

১৯৯২

'কমুনিকেটর ডিভাইস' আইবিএম মোবাইল দুনিয়ায় প্রথম টাচস্ক্রিন বা স্পর্শে সক্রিয় প্রযুক্তির সঙ্গে মানুষকে দেখা করিয়ে দেয়। আইবিএম সাইমন পার্সোনাল থেকে মোবাইল কল করা ছাড়াও ইমেইল, ফ্যাঙ্ এবং মেসেজ পাঠানো সম্ভব হয়।

১৯৯৭

সময়ের চেয়ে একধাপ এগিয়ে থাকা মোবাইল প্রযুক্তির সনি্নবেশ ঘটে এ বছর। প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ফিলিপসের প্রথম ডিজটাল স্মার্টফোন হিসেবে দেখা হয়। যন্ত্রটিকে ডাকা হতো 'দ্য সাইনের্জি' নামে। তারবিহীন এই মোবাইলে ইন্টারনেট, ই-মেইল, ফ্যাঙ্ সুবিধা ছিল।

১৯৯৯

নোকিয়া বাজারে নিয়ে আসে ৩২১০ ও ৭১১০ মডেলের দুটি মোবাইল। ৩২১০ দিয়ে প্রথম ছবি মেসেজ 'হ্যাপি বার্থডে' পাঠানো সম্ভব হয়। এ ছাড়া ৭১১০ মডেলটি দিয়ে দুনিয়া পরিচিত হয় WAP এর সঙ্গে। আধুনিক মোবাইলের অন্যতম অনুষঙ্গ এতে যোগ হওয়ায় মোবাইল ইন্টারনেটের বৈপ্লবিক প্রযুক্তি মোবাইলের ভবিষ্যতে নতুন মাত্রা যোগ করে।

২০০০

এ বছরই প্রথম ক্যামেরা মোবাইল (জি-ফোন) দেখা যায়। একই বছর হাইটেক মোবাইল আসে বাজারে। প্যানাসোনিক আলাদা হাতে নিয়ে ব্যবহার-উপযোগী মোবাইল ও একটি গেমিং ডিভাইসের একটি উচ্চ প্রযুক্তি নিয়ে আসে।

২০০৭

মোবাইল দুনিয়ায় তোলপাড় করে অ্যাপলের থ্রিজি সংবলিত আইফোন। প্রযুক্তিবিদ স্টিভ জবসের আইফোনের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য দিক ছিল আগামী প্রজন্মের ইন্টারনেট সুবিধার এই মোবাইল সেবা। মোবাইলে যুগান্তকারী এই প্রযুক্তি সেবা বিশেষভাবে আলোচিত হয়।

২০১৫

অত্যাধুনিক মোবাইল হিসেবে এখন পর্যন্ত আইফোন সিক্স সর্বশেষ সংস্করণ। তবে অচিরেই যোগ হচ্ছে সর্বাধুনিক প্রযুক্তির সনি এঙ্পেরিয়া জেড-৪, স্যামসাং এস-৬, এইচসি ওয়ান এম-৯, এলজি জি ফ্ল্যাঙ্-২ সহ বেশ কয়েকটি মোবাইল।

 

 

সর্বশেষ খবর