মঙ্গলবার, ৩১ মার্চ, ২০১৫ ০০:০০ টা

ওটাবেঙ্গা কাহিনী

ওটাবেঙ্গা কাহিনী

এটি খুবই বিখ্যাত একটি ছবি। ১৯০৬ সালে নিউইয়র্ক সিটি-তে কঙ্গোর পিগমি জাতিকে প্রদর্শন করা হচ্ছে। যাকে একটি শিম্পাঞ্জি অথবা বানরজাতীয় প্রাণী কোলে নিয়ে থাকতে বাধ্য করা হয়েছে। এই পিগমি মানুষটির নাম ওটাবেঙ্গা।

মানব চিড়িয়াখানায় বহু প্রজাতির অনেক মানুষ প্রদর্শিত হয়েছে। তবে এর মধ্যে পিগমি প্রজাতির বেঁটে কালো কদাকার চেহারার ওটাবেঙ্গা সবচেয়ে বেশি আলোচনার জন্ম দিয়েছিল। ১৮৮৩ মালে জন্ম নেওয়া ওটাবেঙ্গার মৃত্যু হয় ১৯১৬ সালের ২০ মার্চ। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত অনেক প্রদর্শনীতে সেরা আকর্ষণ হিসেবে সাদা মানুষের সামনে তুলে ধরা হয়েছিল ওটাবেঙ্গাকে।

ওটাবেঙ্গাকে প্রথম সবার সামনে তুলে ধরা হয় ১৯০৪ সালে। সেবার মিসৌরির সেন্ট লুইস-এ একটি জাতিগত লুইসিয়ানা রপ্তানি প্রদর্শনীতে ওটাবেঙ্গাকে প্রদর্শন করা হয়। এরপর ১৯০৬ সালে ব্রোংস জু-এর বিতর্কিত মানব চিড়িয়াখানায় তাকে প্রদর্শন করা হয়। বেঙ্গা মূলত একজন আফ্রিকান দাস ছিলেন। স্যামুয়েল ফিলিপ নামের একজন অভিযাত্রী তাকে মুক্ত করেন। ফিলিপ বিভিন্ন প্রদর্শনীর জন্য আফ্রিকান মানুষ সরবরাহের কাজ করতেন। বেঙ্গা ফিলিপের সঙ্গে আমেরিকা ভ্রমণ করেন। এর বাইরেও বেঙ্গা একাধিক এঙ্পোতে অংশ নেন। তবে সবচেয়ে বেশি বিতর্কের জন্ম হয় যখন বেঙ্গাকে ব্রোংস জু-তে প্রদর্শন করা হয়। সেখানে বেঙ্গাকে উন্মুক্ত ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। এ ছাড়া বানরের মতো লাফালাফি করতে বাধ্য করা হয়েছিল। বেঙ্গাকে বানরের খাঁচায় রেখে প্রদর্শন করা হয়। সবার সামনে উপস্থাপনের আগে বেঙ্গার কোলে বানর বা হনুমান প্রজাতির বাচ্চাকে তুলে দেওয়া হয়েছিল, যা পৃথিবীতে আলোড়ন তুলেছিল। এসব এঙ্পোর বাইরে বেঙ্গা শেষ জীবনে আমেরিকার ভার্জিনিয়াতে বসবাস করেছেন।

 

সর্বশেষ খবর