এটি ছিল একটি আত্দঘাতী বিমান হামলা। অস্ট্রেলিয়ার দক্ষিণাঞ্চলের অ্যালিস স্প্রিরিঞ্জ বিমানবন্দরের এ হামলাটি চালান কনিলান এয়ারওয়েজের সাবেক বহিষ্কৃত কর্মকর্তা। ১৯৭০ এর দশকে তিনি যুক্তরাজ্য থেকে অস্ট্রেলিয়ায় দেশান্তর হন। কিন্তু তার অস্ট্রেলিয়ায় আগমন শুভ হয়নি। এ কারণে ইংল্যান্ডে ফিরে যেতে ১৯৭৪ সালে তিনি একটি কোয়ান্টাস টিকিট জাল করেন। তবে তার প্রতারণাটি ধরা পড়ে যাওয়ায় আর বাড়ি ফেরা হয়নি। এরপর ১৯৭৫ সালে তিনি একটি বাণিজ্যিক পাইলটের লাইসেন্স লাভ করতে সক্ষম হন। পরের বছরের জানুয়ারিতে কনিলানের বিমান চালানো শুরু করেন। কিন্তু বিমান কর্তৃপক্ষ তার টিকিট জালিয়াতির বিষয়টি জানতে পেরে তাকে চাকরিচ্যুত করে। এরপর উইন্ডহামের অর্ড এয়ার চার্টারে যোগদান করেন। কিন্তু সেখানেও তার চাকরি চলে যায়। তিনি ধারণা করেন, কনিলান বিমান কর্তৃপক্ষের প্রধান রজার্স কনিলান টিকিট জালিয়াতির বিষয়টি অর্ড এয়ার চার্টার কর্তৃপক্ষকে অবহিত করায় তাকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এরপর তিনি সেখান থেকে কুইন্সল্যান্ডের মাউন্ট ঈসায় চলে যান এবং মাউন্ট ঈসা ইয়ারো নামে একটি ক্লাবের সঙ্গে যুক্ত হন। সেই ক্লাবের এক সদস্যকে তিনি বলেছিলেন, ঈশ্বরের কল্যাণে যদি আমি একটি চাকরি না পাই তাহলে আমি এমন কিছু করব যাতে সারা বিশ্ব আমাকে চিনে। পরবর্তীতে তিনি আর কোনো চাকরি জোগাড় করতে না পেরে কথা অনুযায়ী কাজটি সেরে ফেলেন। এ জন্য প্রথমে তিনি উইন্ডহামে ফিরে যান এবং সেখানকার বিসক্রাফট ব্যারন নামে দুই ইঞ্জিনচালিত একটি বিমান ছিনতাই করেন। ছিনতাইকৃত ওই বিমানটি নিয়ে তিনি কনিলান বিমান কমপ্লেক্সে আঘাত হানেন। আঘাত হানার আগে তিনি রেডিওতে একটি বার্তা পাঠান। বার্তাটি ছিল এরকম, এভাবে বেঁচে থাকার চেয়ে সম্মানের সঙ্গে মারা যাওয়াই ভালো।