বুধবার, ১ এপ্রিল, ২০১৫ ০০:০০ টা
ইজিপ্ট এয়ার ফ্লাইট ৯৯০ বোয়িং-৭৬৭

ভয়েস রেকর্ডারে শোনা গেল, আমার সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়েছি

ভয়েস রেকর্ডারে শোনা গেল, আমার সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়েছি

১৯৯৯ সালের ৩১ অক্টোবর ২০৭ জন যাত্রী নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেস বিমানবন্দর থেকে মিসরের কায়রো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের উদ্দেশে যাত্রা করে ইজিপ্ট এয়ার ফ্লাইট-৯৯০ বোয়িং-৭৬৭। বিমানটি উড্ডয়নের অল্প সময়ের মধ্যে আটল্যান্টিক মহাসাগরে বিধ্বস্ত হয়। এ দুর্ঘটনায় বিমানে থাকা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ১০০ পর্যটক মারা যান। এ ঘটনার পর মিসর সরকার মিলিটারি অফিসার নিহতের খবর প্রকাশ না করার জন্য সেন্সর আরোপ করেন। যাই হোক ভয়াবহ এ দুর্ঘটনার তদন্তের প্রয়োজন অনুভব করেন মিসরীয় সরকার। এ উদ্দেশ্যে দুর্ঘটনাটি আন্তর্জাতিক সীমারেখায় হওয়ায় ইন্টারন্যাশনাল সিভিল অ্যাভিয়েশন অরগানাইজেশনের অনুমতি নিয়ে তদন্ত শুরু করে ইজিপ্টশিয়ান সিভিল অ্যাভিয়েশন অথরিটি (ইসিএএ)। কিন্তু সংস্থাটির কিছু সীমাবদ্ধতার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ট্রান্সপোর্টেশন সেফটি বোর্ডের (এনটিএসবি) কাছে তদন্তভার হস্তান্তর করা হয়। ঘটনার দুই সপ্তাহ পর এনটিএসবি তাদের তদন্ত প্রতিবেদনে বলেন, ঘটনা যতটা না দুর্ঘটনা তার থেকে বেশি ইচ্ছাকৃত। মিসরীয় কর্তৃপক্ষ এ তদন্ত প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করে নিজেরা তদন্ত শুরু করে। অন্যদিকে এনটিএসবি কর্তৃপক্ষও তাদের তদন্ত অব্যাহত রাখে। পরবর্তী সময়ে এনটিএসবি জানায়, দ্য রিলিফ ফার্স্ট অফিসার জামিল আল বয়াতি ইচ্ছাকৃতভাবে এ দুর্ঘটনা ঘটান। কিন্তু ইসিএএ তাদের তদন্ত প্রতিবেদনে বলে, ইচ্ছাকৃত নয় বিমান উড্ডয়নের পর নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতির যান্ত্রিক ক্রটির কারণে দুর্ঘটনাটি ঘটে। কিন্তু পরবর্তীতে ব্ল্যাক বক্সে পাওয়া তথ্য অধিকতর বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, বিমান উড্ডয়নের ২০ মিনিটের মাথায় বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। এ কাজে বিমানের পাইলট ইচ্ছা করেই বিমানটিকে আটলান্টিক মহাসাগরে বিধ্বস্ত করেন। এমনকি বিধ্বস্ত করার আগে তিনি একটি ঘোষণাও দেন। সেটা ছিল ঠিক এরকম, 'আমি আমার সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়েছি। আমি আমার বিশ্বাস স্রষ্টার ওপর সোপর্দ করলাম।'

 

সর্বশেষ খবর