চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া মেয়র প্রার্থীদের শিক্ষাগত যোগ্যতার নাজুক দশা ফুটে উঠেছে হলফনামায়। এ নিয়ে চট্টগ্রামের সুশীল সমাজে চরম হতাশা বিরাজ করছে। আসন্ন এ নির্বাচনে মেয়র পদে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া ১২ প্রার্থীর মধ্যে তিনজন অনার্স-সমমানের বা তার চেয়ে বেশি শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পন্ন, ছয়জন এইচএসসি, দুজন এসএসসি এবং একজন স্বাক্ষরজ্ঞান সম্পন্ন প্রার্থী রয়েছেন। মেয়র পদে মনোনয়নপত্রের হলফনামায় এসব তথ্য উল্লেখ রয়েছে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর আনোয়ারুল আজিম আরিফ বলেন, মেয়র প্রার্থীদের শিক্ষাগত যোগ্যতার অবশ্যই একটা মাপকাঠি থাকা দরকার। কম শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পন্ন ব্যক্তি কীভাবে ৫০ লাখের অধিক লোকের নগরীর মেয়র প্রার্থী হওয়ার কথা চিন্তা করে তা আমার মাথায় আসে না। মেয়র পদের প্রার্থীদের শিক্ষাগত যোগ্যতা গ্র্যাজুয়েট করার দাবি জানাচ্ছি সরকারের কাছে। পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদ চট্টগ্রাম সভাপতি প্রফেসর একিউএম সিরাজুল ইসলাম বলেন, শুধু ব্যক্তি মানষের জন্য নয়, সেবা ও উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে একাডেমিক শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই স্বল্পশিক্ষিতরা প্রশাসনের কর্তাদের সঙ্গে প্রয়োজনীয় যুক্তি তথ্য দিয়ে কাজ করতে অক্ষম হন। তাই মেয়রের মতো গুরুত্বপূর্ণ পদে শিক্ষার বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।' হলফনামায় পর্যালোচনা করে দেখা যায়, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও আওয়ামী লীগ সমর্থিত মেয়র প্রার্থী আ জ ম নাছির হলফনামায় শিক্ষাগত যোগ্যতা লিখেছেন বিএ, সদ্য সাবেক হওয়া মেয়র ও বিএনপি সমর্থিত মেয়র প্রার্থী মোহাম্মদ মনজুর আলম শিক্ষাগত যোগ্যতা লিখেছেন এসএসসি, জাতীয় পার্টি সমর্থিত মেয়র প্রার্থী সোলায়মান আলম শেঠ শিক্ষাগত যোগ্যতা এইচএসসি, ইসলামী ফ্রন্ট প্রার্থী এম এ মতিনের শিক্ষাগত যোগ্যতা বিএ অনার্স ও কামিল হাদিস, ইসলামী আন্দোলন প্রার্থী মো. ওয়ারেজ হোসেন ভূইয়া আলিম, ইসলামিক ফ্রন্ট প্রার্থী হোসাইন মুজিবুল হক স্বাক্ষরজ্ঞান সম্পন্ন, বিএনএফ প্রার্থী আরিফ মঈনুদ্দীন এমএ, স্বতন্ত্র প্রার্থী সাইফুদ্দিন আহমেদ রবিন আইএ, মোহাম্মদ আলাউদ্দিন এইচএসসি, সৈয়দ সাজ্জাদ জোহা এইচএসসি, আবুল কালাম আজাদ এসএসসি এবং মো. শফিউল আলম এইচএসসি পাস বলে হলফনামায় উল্লেখ করেছেন।