মঙ্গলবার, ২৬ মে, ২০১৫ ০০:০০ টা

অস্তিত্ব সংকটে ছোট যমুনা

অস্তিত্ব সংকটে ছোট যমুনা

স্থানীয় প্রভাবশালীদের দখল আর দূষণের কারণে নওগাঁর ছোট যমুনা নদী দিনে দিনে অস্থিত্ব হারিয়ে ফেলছে। একসময় এ নদী বন্দর হিসেবে ব্যবহার করা হতো। নওগাঁর ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য এ নদীর অবদান ছিল অপরিসীম। নদীর দুই তীরে অবৈধ বিল্ডিং আর স্থাপনা নির্মাণ চলছে প্রতিযোগিতা করে। ফলে একসময়ের খরস্রোতা এ নদী সংকুচিত হয়ে সরু খালে পরিণত হয়েছে। এতে সামান্য বৃষ্টিতে শহর প্লাবিত হয়ে পড়ে। এদিকে নদীর তীরে গড়ে ওঠা ধানের চাতালের বিষাক্ত বর্জ্য আর ছাই ফেলে নদী দূষণ করার কারণে এ নদীতে মিলছে না মাছসহ কোনো জলজপ্রাণী। শহরের মধ্য দিয়ে বয়ে চলা এ নদীর উৎসমুখ ধামইরহাট উপজেলার ঘুপসির বিল হয়ে মিশেছে ত্রিমোহনী মোহনা হয়ে আত্রাই নদীতে। গত ১০-১২ বছর আগেও বড় বড় পালতোলা নৌকা দিয়ে পণ্য আনা-নেওয়ার কাজ চলত নদীর বুক চিরে। পরিবহন খরচ কম আর সহজে বহন করা যেত বলে ব্যবসায়ীরা এ নদীপথকে বেছে নিয়েছিলেন।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, গত ৭-৮ বছর থেকে নদী দখলের প্রতিযোগিতা শুরু হয়। নদী দখলের এ মহোৎসব চলছে শহরের সুলতানপুর, কালিতলা, উকিলপাড়া, সুপারিপট্টি, ডাবপট্টি, বিজিবি ক্যাম্প হয়ে বাইপাসে গিয়ে ঠেকেছে। নদীর দখল চলছে উভয় তীরে প্রায় ১০ কিলোমিটারজুড়ে। তবে হাল সময়ে সুলতানপুর সুপারিপট্টি এবং লিটন ব্রিজ সংলগ্ন ভবনগুলো অনেকটা নদীর মধ্যে গড়ে তোলা হয়েছে। সুরম্য অট্টালিকার আদলে শহরের সুলতানপুর চালের আড়ত গড়ে তোলা হয়েছে কোনো নিয়ম-নীতি না মেনে। এ ছাড়া পার-নওগাঁ লিটন ব্রিজের কোলঘেঁষে নদীর সীমানায় নির্মাণ করা হয়েছে অনেক বিল্ডিং। প্রভাবশালীদের দখল-দূষণের প্রতিযোগিতার ফলে পুরোপুরি নাব্য হারিয়ে ফেলেছে এ নদী। এখন নদীতে বছরে ৩ থেকে ৪ মাস পানি থাকে। সে পানিতে ফেলা হচ্ছে দিন-রাত চাতালের বর্জ্য। এসব কারণে নদীটি মাছশূন্য হয়ে পড়েছে।

বাবুল আখতার রানা, নওগাঁ

 

সর্বশেষ খবর