বৃহস্পতিবার, ২৮ মে, ২০১৫ ০০:০০ টা

চাকরির বদলে পতিতালয়ে

হাসপাতালে চাকরির কথা বলে কাতারে নিয়ে বাংলাদেশের বেশ কিছু নারীকে বিক্রি করা হয়েছে পতিতালয়ে। হাসপাতাল আদলের অন্ধকার কুঠুরিতে তাদের চলছে বন্দী জীবন। সেখানে বিভিন্ন দেশের পর্যটকের মনোরঞ্জন করাসহ দুর্বিষহ জীবনে আটকে পড়েছে কয়েকশ বাংলাদেশি নারী। তাদের উদ্ধারের ব্যাপারে বাংলাদেশ দূতাবাসের কোনো উদ্যোগ নেই বলে অভিযোগ রয়েছে। নারী পাচারকারী চক্রের কাছ থেকে কৌশলে ফিরে আসা এক নারী সবকিছু ফাঁস করে দালাল চক্রের বিরুদ্ধে মামলা করে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শুধু কাতার নয়, মধ্যপ্রাচ্যের দেশে দেশে কয়েকশ পতিতালয়ে সর্বোচ্চ সংখ্যক বাংলাদেশি তরুণী-যুবতীদের ব্যবহার করা হচ্ছে। দুবাইয়ে কয়েকশ পতিতালয়, হোটেল-রেস্তোরাঁ, পানশালা, ফ্ল্যাটসমূহে নারীবাণিজ্য ব্যাপকভাবে সচল রয়েছে। বাংলাদেশি নারীদের পাসপোর্ট আটকে রেখে তাদের পতিতালয়ে ঘৃণ্য কাজে লিপ্ত থাকতে বাধ্য করা হচ্ছে। দুবাইয়ের পত্রিকায় প্রকাশিত একাধিক প্রতিবেদন সূত্রে জানা গেছে, শুধু দুবাইতেই অন্তত ৩০ হাজার বাংলাদেশি নারী ইচ্ছা-অনিচ্ছায় দেহবাণিজ্যে সম্পৃক্ত রয়েছে। এসব কর্মকাণ্ডে দেশের ভাবমূর্তি যেমন ক্ষুণ্ন হচ্ছে, তেমনি পাচার হওয়া নারীদের অবর্ণনীয় ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে বছরের পর বছর ধরে।

এদিকে উচ্চ বেতনে চাকরির প্রলোভন দিয়ে অবৈধভাবে বিদেশে পাচার করা হচ্ছে দেশের জনশক্তি। বাংলাদেশি অনেক শ্রমিক আদম ব্যবসায়ীদের মিথ্যা আশ্বাসে বিদেশ গিয়ে প্রতারিত হচ্ছেন। বিদেশে নারী শ্রমিকদের যৌন হয়রানি, অতিরিক্ত সময় কাজ করতে বাধ্য করা, অনিয়মিত বেতন প্রদান ও পাশবিক নির্যাতন করারও এন্তার অভিযোগ রয়েছে। অসহায় অনেক শ্রমিক দেশে ফিরে ন্যায়বিচার চেয়ে থানায় মামলা করছেন। মামলা করলেও পুলিশের তদন্ত প্রতিবেদন দিতে দীর্ঘ সময় লাগছে। দীর্ঘসূত্রতার নানা কারণে ন্যায়বিচার থেকেও বঞ্চিত হচ্ছেন তারা। ফলে এক সময় মামলায় আগ্রহ হারিয়ে দীর্ঘশ্বাস ফেলেন ভুক্তভোগীরা।

সর্বশেষ খবর