বৃহস্পতিবার, ২৮ মে, ২০১৫ ০০:০০ টা

জনশক্তি রপ্তানি কমছে ক্রমেই

জনশক্তি রপ্তানি কমছে ক্রমেই

জনশক্তি রফতানি ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) তথ্যানুযায়ী, ২০০৯ সাল থেকে দেশে জনশক্তি রফতানিতে ধস শুরু হয়। ২০০৮ সালে বাংলাদেশ থেকে যেখানে জনশক্তি রফতানি হয় ৮ লাখ ৭৫ হাজার ৫৫ জন, সেখানে ২০০৯ সালে কমে দাঁড়ায় ৪ লাখ ৭৫ হাজার ২৭৮ জনে। সর্বশেষ ২০১৪ সালে সবমিলিয়ে ৪ লাখ ২৫ হাজার ৬৮৪ জন। আর চলতি বছরের ১৭ মে পর্যন্ত দেশ থেকে এক লাখ ৫৩ হাজার ৬৬১ জন বিদেশে গেছে। সম্প্রতি সৌদি আরবের শ্রমবাজার উন্মুক্ত হলেও প্রথমদিকে তারা শুধু নারীকর্মী নিতেই আগ্রহ প্রকাশ করেছে। দেশে যে হারে বেকারত্ব রয়েছে সে তুলনায় অভ্যন্তরীণ কর্মসংস্থান যেমন বাড়ছে না, তেমনি বিদেশি শ্রমবাজারও গত কয়েক বছর ধরে সম্প্রসারিত হচ্ছে না। সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও মালয়েশিয়ার মতো বাংলাদেশের বড় বিদেশি শ্রমবাজার ২০০৯ সাল থেকেই এক প্রকার বন্ধ। প্রায় চার বছর বন্ধ থাকার পর ২০১৩ সাল থেকে সরকারিভাবে মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানো শুরু হলেও এ হার অতি নগণ্য। মালয়েশিয়ায় যেতে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের ডাটাবেজে ১৪ লাখ মানুষ রেজিস্ট্রেশন করলেও গত দুই বছরের বেশি সময়ে জি টু জি পদ্ধতিতে মালয়েশিয়ায় গেছে মাত্র সাড়ে ৭ হাজারের মতো লোক। যদিও ওই সময় প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছিলেন, জি টু জি পদ্ধতিতে এক লাখ কর্মী মালয়েশিয়ায় যাবে। বাকি লাখ লাখ মানুষ মালয়েশিয়া বা অন্য কোনো দেশে যাওয়ার জন্য দীর্ঘদিন ধরে উদগ্রীব হয়ে আছেন। কিন্তু বৈধপথে বিদেশে যাওয়ার সুযোগ তৈরি না হওয়ায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সাগরপথে বিদেশে যাওয়ার হার সাম্প্রতিক সময়ে অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে। বিশেষ করে ট্রলার-নৌকায় চড়ে যারা বঙ্গোপসাগর পাড়ি দিচ্ছেন বা থাইল্যান্ডের জঙ্গল ও ইন্দোনেশিয়া-মালয়েশিয়ার উপকূলে যাদের ভাসতে দেখা যাচ্ছে, তারা মূলত মালয়েশিয়ার উদ্দেশেই দেশ ছেড়েছেন।

 

সর্বশেষ খবর