বৃহস্পতিবার, ২ জুলাই, ২০১৫ ০০:০০ টা
মেরি প্রিন্স

দাসপ্রথা বিরোধী সংগ্রামী দাসী

দাসপ্রথা বিরোধী সংগ্রামী দাসী

দাস হিসেবেই ১৭৮৮ সালে বারমুডাতে জন্মগ্রহণ করেন মেরি। আর তার কিছুদিন পরেই চলে যান অ্যান্টিগুয়া। ছেলেবেলার সময়টাতে তখনকার মালিকের হাতে প্রচণ্ড রকমের নির্যাতনের শিকার হন মেরি। ১৮২৬ সালে ডেনিয়েল জেমস নামের এক সাবেক দাসকে বিয়ে করেন তিনি। জেমস শহরে ছুতোরের কাজ করতেন। তার জন্য বিয়ে করাটা কোনো ব্যাপার ছিল না। কিন্তু মনিবের অনুমতি ছাড়া বিয়ে করায় প্রচণ্ড নির্যাতন নেমে আসে মেরির ওপর। দুই বছর পর মেরির মনিবেরা ইংল্যান্ডে চলে যাওয়ার সময় মেরিকেও সঙ্গে নিয়ে যান। আর বাইরে যাওয়ার পরপরই নিজের স্বাধীনতার জন্য কাজ করা শুরু করেন তিনি। এমনকি আইনসভাতেও চলে যান তিনি নিজের দাবি নিয়ে। তখনকার সময়ে নারী দাস হিসেবে মেরিই প্রথম এই পদক্ষেপ নেন।

পরবর্তীতে মেরি পালাতে সক্ষম হলেও বারবাডোসে স্বামীর কাছে আর যেতে পারেননি। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত দাসপ্রথার বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেছেন তিনি। মৃত্যুর পর প্রথম কালো চামড়ার নারী হিসেবে দাসপ্রথা বিরোধী সংস্থা তার জীবনী প্রকাশ করে। তার এই জীবনী কেবল দাসদেরকেই জাগিয়ে তোলে না, টলিয়ে দেয় অনেক মানুষকেও। যারা ততদিন পর্যন্ত দাসদের কষ্টকে খুব একটা আমলই দেয়নি।

 

সর্বশেষ খবর