বুধবার, ৮ জুলাই, ২০১৫ ০০:০০ টা

মায়ের মৃত্যু সব বদলে দেয়

মায়ের মৃত্যু পার্থর পরিবারের ঘটনাগুলো বদলে দেয়। সাজানো-গোছানো একটি সুন্দর পরিবারের কপালে গ্রহণ লাগে এই একটি মৃত্যুর পর থেকে। পার্থর মায়ের মৃত্যুর পরেই ধীরে ধীরে গুটিয়ে গিয়েছিল পরিবারটি। বাইরের জগতের সঙ্গে সব সম্পর্কও ছিন্ন করে দিয়েছিলেন শেঙ্পিয়র সরণির দে পরিবার। এমনকি নিজেদের মধ্যেও তেমন কথাবার্তা বলতেন না তারা। বাড়িতেও কোনও রান্না হতো না। শুধু মাঝে মধ্যে বাইরে থেকে খাবার আসত সেটুকুই। ৩ নম্বর রবিনসন লেনের বাড়ি থেকে অরবিন্দবাবুর একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার করে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, তাতে লেখা রয়েছে 'আমি নিজের ইচ্ছায় পৃথিবী ছেড়ে চলে যাচ্ছি'। উদ্ধার করা হয় পার্থর একটি ডায়েরিও। তা থেকেই পার্থর মানসিক অবসাদের প্রমাণ স্পষ্ট বলে পুলিশ জানিয়েছে। মায়ের মৃত্যুর পরই ঘরের ভিতরে চিত্র পাল্টে যায়। বোনের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়েন পার্থ। এটা পিতা অরবিন্দু অনেকভাবে বাধা দিলেও কাজে আসেনি। দেবযানী ও পার্থ নিজেদের কর্মক্ষেত্র থেকে ইস্তফা দিয়ে ঘরেই কার্যত স্বেচ্ছা বন্দিত্ব গ্রহণ করেন। গত বছর পোষ্য কুকুর দুটি মারা যাওয়ার পর থেকে ঘর থেকে বের হওয়া একেবারেই ছেড়ে দেন তারা। কুকুর দুটি মারা যাওয়ার পর অনশনে মারা যান দেবযানী। বোনকে সৎকার না করে কঙ্কালের সঙ্গে বসবাস করা কোনোভাইে মেনে নিতে পারেননি বাবা অরবিন্দু। শেষ পর্যন্ত তিনিও আত্মহনন করেন বলেই ধারণা করা হচ্ছে।

 

সর্বশেষ খবর