মঙ্গলবার, ২৮ জুলাই, ২০১৫ ০০:০০ টা
ফেসবুক প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জুকারবার্গ

জিরো থেকে হিরো

রণক ইকরাম

জিরো থেকে হিরো

পৃথিবীতে রূপকথার গল্পকে হার মানানো বাস্তবতা খুব বেশি নেই। আবার সমগ্র বিশ্ব কাঁপিয়ে দেওয়া বেশকিছু মানুষের গল্প কিন্তু রূপকথার চেয়ে কম নয়। এমন মানুষের উত্থান কিংবা জীবনের চলতি গল্পগুলো বার বারই আমাদের সামনে উঠে আসে। এদেরই একজন ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জুকারবার্গ। পৃথিবীর শীর্ষ ধনী হওয়ার পথে যিনি এগিয়ে গেছেন অনেক দূর। তার প্রতিষ্ঠা করা ফেসবুক এখন পৃথিবীর শীর্ষ সামাজিক নেটওয়ার্ক সাইট। ২০১০ সালে ফেসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৫০ কোটি ছাড়িয়ে গেছে। বোঝাই যাচ্ছে কতটা জনপ্রিয় এ সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট। সমগ্র বিশ্বকে একই নেটওয়ার্কের আওতায় এনে একজনের সঙ্গে আরেকজনের সামাজিক মেলবন্ধন তৈরির ধারণা থেকে ২০০৪ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি ফেসবুক প্রতিষ্ঠা করেন মার্ক এলিয়ট জুকারবার্গ। পরের গল্প সত্যি বিস্ময়কর। ১০ বছরে সাফল্যের প্রায় সব দিগন্ত ছুঁয়ে জুকারবার্গ এবং তার ফেসবুক এখন জীবন্ত ইতিহাস! সে ইতিহাসের নানা দিক নিয়েই আজকের আয়োজন।

মা সাইকোলজিস্ট, বাবা ডেন্টিস্ট

পারিবারিক বলয় হিসাব করলে তার ডাক্তার হওয়ার কথা। ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক এলিয়ট জুকারবার্গের মা ক্যারেন একজন সাইকোলজিস্ট। আর বাবা এডওয়ার্ড একজন ডেন্টিস্ট। তাদের সন্তান এখন বিশ্বসেরা উদ্যাক্তা। জুকারবার্গের জন্ম ১৯৮৪ সালের ১৪ মে নিউইয়র্কের হোয়াইট প্লেইন এলাকায়। জুকারবার্গ ছিলেন তার চার ভাই-বোনের মধ্যে সবার বড়। তার ছোট তিন বোন রয়েছে।

১২ বছর বয়স থেকেই প্রোগ্রামার

জুকারবার্গ যে জীবনে ভিন্ন কিছু করে দেখাবেন সেটা কিন্তু বোঝা গিয়েছিল তার শৈশবেই। যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে কম বয়সী বিলিয়নিয়ার জুকারবার্গের বয়স যখন মাত্র ১২ তখনই একটা কম্পিউটার প্রোগ্রাম তৈরি করে ফেলেছিলেন তিনি। অথচ এই বয়সী বাচ্চাদের কম্পিউটার গেম কিংবা পড়ালেখার প্রথম ধাপ নিয়ে ব্যস্ত থাকার কথা। কিন্তু জুকারবার্গ যে ইতিহাস গড়ার জন্যই জন্মেছিলেন। আটারি বেসিক ব্যবহার করে দারুণ কাজের একটা কম্পিউটার প্রোগ্রাম তৈরি করে ফেলল বালক জুকারবার্গ। তার সেই প্রোগ্রামটি কাজে লাগালেন বাবা এডওয়ার্ড। এডওয়ার্ড তার হাসপাতালে জাকনেট হিসেবে ব্যবহার করতেন এ প্রোগ্রামটিতে। ডাক্তার এডওয়ার্ডের চেম্বারে নতুন রোগী এলে অভ্যর্থনাকারী জাকনেট ব্যবহার করে তাকে সেই তথ্য জানাতে পারত। এর কিছুদিন পরই বন্ধুদের জন্য বানিয়ে ফেলেন কম্পিউটার গেম। পাশাপাশি জুকারবার্গ শৈশবেই আর্ডসেলি হাইস্কুলে গ্রিক এবং ল্যাটিন ভাষায় পারদর্শী হয়ে ওঠেন। এরপর তিনি ফিলিপস এঙ্টার একাডেমি থেকে বিজ্ঞান এবং ক্লাসিক্যাল শিক্ষায় পুরস্কৃত হন। খেলাধুলাতেও ভালো নামডাক ছিল তার। সেই সঙ্গে কলেজে তিনি মহাকাব্যিক কবিতার লাইন থেকে আবৃত্তি করার জন্যও পরিচিত ছিলেন। তবে তার সব পরিচয় ছাপিয়ে গেছে কম্পিউটার প্রোগ্রামার পরিচয়ের কাছে।

সফটওয়্যার বিক্রির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান

১২ বছর বয়সে জাকনেট জুকারবার্গ হৈচৈ ফেলে দেন। কম্পিউটারের প্রতি ছেলের এমন আসক্তি দেখে তার বাবা এডওয়ার্ড ডেভিড নিউম্যান নামের একজনকে মার্ক এর কম্পিউটারের গৃহশিক্ষক নিযুক্ত করেন। জুকারবার্গ যখন হাইস্কুলের ছাত্র তখন তিনি একটি গান শোনার জন্য প্যান্ডোরা নামে একটি সংগীত সফটওয়ার তৈরি করেন যা Sznapse এর প্রথম সংস্করণ। এই সফটওয়্যারটি দারুণ সাড়া ফেলে দেয়। বিল গেটসের মাইক্রোসফটসহ আরও অনেক প্রতিষ্ঠান এটি কেনার ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করে। কিন্তু মার্ক জুকারবার্গ সেই প্রস্তাব রীতিমতো উড়িয়ে দেন। তিনি নিজেই নিজের সফটওয়্যার নিয়ে কাজ করতে থাকেন। সেই সঙ্গে ১৯৯৮ থেকে ২০০০ পর্যন্ত উচ্চমাধমিকে পড়াশোনা করেন।

হার্ভার্ড এবং হ্যাকার জুকারবার্গ

২০০২ সালের দিকে শুরু হয় জুকারবার্গের নতুন জীবন। সে বছর তিনি এবং তার বন্ধুরা যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। এখানে উন্মোচিত হয় প্রোগ্রামার জুকারবার্গের আরও কিছু উদ্যাগ। সফটওয়্যার নিয়ে কাজ করার জন্য জুকারবার্গ হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে 'গো টু ক্যাম্পাস সফটওয়্যার' তৈরি করে খ্যাতি অর্জন করেন। এ ছাড়াও প্রায় একই সময়ে 'কোর্স ম্যাচ' নামের আরও একটি সফটওয়্যার তৈরি করেন তিনি। এর সাহায্যে ছাত্রছাত্রীরা তাদের কোর্সের ভিত্তিতে ক্লাস নির্বাচন করতে পারত।

তবে হার্ভার্ডে থাকাকালে জুকারবার্গ কেবল সফটওয়্যার তৈরি করেই খ্যাতি অর্জন করেন তা নয়। হ্যাকার হিসেবেও নিজের নাম ছড়িয়ে দেন তিনি। ঘটনা ২০০৩ সালের। সে বছর ২৮ অক্টোবর মার্ক জুকারবার্গ 'ফেসম্যাশ ডট কম' নামে একটি সাইট প্রতিষ্ঠা করে। এই ফেসম্যাশ সাইটের কাজ কিন্তু ভালো কিছু ছিল না। এ সাইটে দুটি ছবি পাশাপাশি রাখা হতো। এ দুই ছবি থেকে ভিজিটররা কে 'হট' আর কে 'হট না/নট' সেটি তুলনা করত। হার্ভার্ড কলেজের ডাটাবেজ হ্যাক করে স্টুডেন্টদের ছবি নিয়ে তা ফেসম্যাশে ব্যবহার করে ভিজিটরদের 'হট' অথবা 'নট' বের করার সুযোগ দেন। প্রথম দিকে মাত্র ৪ ঘণ্টায় ৪৫০ ভিজিটর ২২০০০ ছবিতে অন লাইন এর মাধ্যমে ভোট দেন। পরে কলেজের ছাত্ররা এ সাইট বন্ধ করতে তাকে বাধ্য করে।

দ্য ফেসবুক ডট কম

২০০৩ সালের দিকে ফেসম্যাশ তৈরি করে সমালোচিত হলেও এর সাড়া কিন্তু ভালো ছিল। বন্ধুদের নিয়ে তাই নতুন পরিকল্পনা শুরু করলেন মার্ক। ২০০৪ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি হার্ভার্ডে বন্ধুদের সঙ্গে মিলে প্রতিষ্ঠা করেন সামাজিক যোগাযোগ ওয়েবসাইট 'দ্য ফেসবুক ডট কম', যা 'ফেসম্যাশ ডট কম'-এর পরিবর্তিত রূপ। প্রথম দিকে এর মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা নতুন নতুন বন্ধু অ্যাড করা, মেসেজ পাঠানো এবং তাদের ব্যক্তিগত তথ্যাবলি আপডেট করা ও তথ্য আদান-প্রদান করতে পারত। সেই সঙ্গে একজন ব্যবহারকারী শহর, কর্মস্থল, বিদ্যালয় এবং অঞ্চলভিত্তিক নেটওয়ার্কেও যুক্ত হতে পারত। মার্ক জুকারবার্গ হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালে তার রুমমেট এবং কম্পিউটার বিজ্ঞান বিষয়ের ছাত্র এডওয়ার্ড সেভারিন, ডাস্টিন মস্কোভিৎস এবং ক্রিস হিউজেসের যৌথ প্রচেষ্টায় ফেসবুক নির্মাণ করেন। ওয়েবসাইটটির সদস্য প্রাথমিকভাবে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল। তবে পরে তা বোস্টন শহরের অন্যান্য কলেজ, আইভি লিগ ও স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত সম্প্রসারিত হয়। আরও পরে এটি সব বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ, হাইস্কুল এবং ১৩ বছর বা ততোধিক বয়সীদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়।

শুরুতেই বিতর্ক

'দ্য ফেসবুক ডট কম' যাত্রা শুরু করার মাত্র ছয় দিনের মাথায় জুকারবার্গের সহযোগী বন্ধুরা তার বিরুদ্ধে আইডিয়া চুরির অভিযোগ এনেছিলেন। তখন বিষয়টি নিয়ে অনেক আলোচনা হলেও পরে এ নিয়ে আর তেমন কোনো সমস্যা হয়নি। পরে ২০০৪ সালের সেপ্টেম্বরে এসে জুকারবার্গের সেই তিন বন্ধু ক্যামেরুন, টেলর ও ডিভিয়া এ নিয়ে মামলা করে বসেন। তারও অনেক পরে অবশ্য ক্ষতিপূরণ দেয়ার মাধ্যমে বিষয়টির নিষ্পত্তি হয়।

এবার ক্যালিফোর্নিয়ায়

হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে জুকারবার্গ ও তার বন্ধুরা ভালোই আলো ছড়াতে সমর্থ হয়েছিলেন। হার্ভার্ডে ফেসবুকের সাফল্য জুকারবার্গ ও তার বন্ধুদের উৎসাহ কয়েক গুণ বাড়িয়ে দেয়। তখন তারা হার্ভার্ড ছেড়ে ক্যালিফোর্নিয়ার সিলিকন ভ্যালিতে অফিস নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। সিলিকন ভ্যালি হচ্ছে পৃথিবী খ্যাত আইটি কোম্পানিগুলোর কেন্দ্রবিন্দু। শুধু মাইক্রোসফট এবং অ্যামাজন ছাড়া অন্যান্য প্রতিষ্ঠান যেমন- গুগল, ইন্টেল, এইচপি, ওরাকলের মতো প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রধান কার্যালয় এখানেই অবস্থিত। তাই মার্ক ও তার বন্ধুরা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরের সিমেস্টার ড্রপ দিয়ে সেখানে পাড়ি জমাতে চেয়েছিলেন। কোম্পানির দ্রুত বিকাশেও স্থানটি অনেক বেশি সহায়ক। কারণ বিশ্বখ্যাত সব প্রযুক্তিবিদের সহায়তা তখন তাদের প্রয়োজন ছিল।

জুকারবার্গ তার মনোরোগ চিকিৎসক মা মিসেস ক্যারেলকে ফেসবুক সম্পর্কে সব খুলে বললেন। মাকে তিনি বোঝাতে সমর্থ হলেন যে, পরের সিমেস্টারে আবার হার্ভার্ড ফিরে আসবেন। কিন্তু কে জানত তার আর হার্ভার্ডে ফেরা হবে না! হার্ভার্ডের সফল অগ্রযাত্রা ক্যালিফোর্নিয়ায় যেন নতুন প্রাণ পেল। খুব দ্রুত বাড়তে লাগল ফেসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা। ক্যালিফোর্নিয়ায় কাজের চাপ আর ব্যবহারকারীদের চাহিদা মেটাতে জুকারবার্গকে প্রতিদিন ১৬ ঘণ্টা অফিস করতে হতো। তখনকার সময়টাকে ফেসবুকের বিকাশ পর্ব বলা চলে।

দ্য ফেসবুক থেকে ফেসবুক

২০০৪ সালে যাত্রা শুরু করা দ্য ফেসবুক অল্প সময়ের মধ্যেই দারুণ জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। ২০০৪ সালের মধ্যেই মার্কিন কলেজ ও স্কুলগুলোয় দ্য ফেসবুক দ্রুত বিস্তার লাভ করে। সে বছর আগস্টে জুকারবার্গ 'দ্য ফেসবুক ডট কম' নাম পাল্টে শুধু 'ফেসবুক ডট কম' রাখেন। বছর শেষে ফেসবুকের ব্যবহারকারীর সংখ্যা দাঁড়ায় ৫৫ লাখ। ২০০৬ সালের প্রথম দিকে মার্কিন অফিস এবং পরে সর্বসাধারণের জন্য ফেসবুক উন্মুক্ত করা হয়। কৌশলগত কারণে মাইক্রোসফট তখন তাদের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করে। বছর শেষে ফেসবুকের ব্যবহারকারীর সংখ্যা দাঁড়ায় ১ কোটি ২০ লাখে। তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ছাড়া অন্য কোনো দেশে ফেসবুক তখনো একটি অপরিচিত নাম। ২০০৭ সালে ক্রমান্বয়ে বাড়তে থাকে ফেসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা। সে বছর ফেব্রুয়ারিতে ভার্চুয়াল গিফট চালু করেন জুকারবার্গ। ২০০৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে বিশ্বের বেশকিছু দেশে সর্বপ্রথম ফেসবুক ব্যবহার শুরু হয়। প্রথমে কানাডা ও ব্রিটেন এবং পরে ফ্রান্স ও স্পেন। এপ্রিলে ফেসবুক চ্যাট চালু হয়। বছরের মাঝামাঝিতে ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১০ কোটি ছাড়িয়ে যায়। ২০০৯ সাল থেকে জুকারবার্গের ফেসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা শুধু বাড়তেই থাকে। বর্তমানে এই সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইটের ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১০০ কোটি!

ইন এ রিলেশনশিপ টু ম্যারেড

 

মার্ক জুকারবার্গের বিয়েটাকে বিস্ময়কর বলা যেতেই পারে। কারণ পৃথিবীর কোটি মানুষের আগ্রহের কেন্দ্রে থাকা জুকারবার্গ এমন হুট করে বিয়ে করে বসবেন কেউ ভাবেননি। মার্ক জুকারবার্গ ২০১২ সালের ১৯ মে তার প্রেমিকা প্রিসিলা চ্যানকে বিয়ে করেন। যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া রাজ্যের পালো আলতোয় জুকারবার্গের নিজ বাসভবনে বিয়ের অনুষ্ঠানটি হয়। সবচেয়ে মজার ব্যাপার হচ্ছে, বিয়ের অনুষ্ঠানে উপস্থিত আমন্ত্রিতরা বিয়ের কথা জানতেন না। তারা ভেবেছিলেন চ্যানের গ্র্যাজুয়েশন উদ্যাপনের জন্যই এ অনুষ্ঠান। কিন্তু এ অনুষ্ঠানেই নিজের নকশা করা রুবি পাথরের একটি আংটি কনে চ্যানকে পরিয়ে দেন জুকারবার্গ। বিয়ের নয় বছর আগে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় চ্যানের সঙ্গে পরিচয় হয় জুকারবার্গের। এ পরিচয় থেকেই প্রণয়। এই দীর্ঘ নয় বছরের প্রণয়ে সব সময়ই একসঙ্গে থেকেছেন তারা। এর আগে এ জুটির ব্যক্তিগত সম্পর্কের তথ্য ফাঁস করেছিলেন মাইক্রোসফট প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস। ২০১১ সালের জুনে প্রিসিলা চ্যান ও মার্ক জুকারবার্গ এনগেইজড এবং আগামী বছর তারা বিয়ে করবেন বলে জানিয়েছিলেন বিল গেটস। জুকারবার্গ ও তার বান্ধবী প্রিসিলা চ্যান অবশ্য বিয়ের আগে থেকেই এক বাড়িতে থাকতেন। তাদের ফেসবুক রিলেশনশিপ স্ট্যাটাসে লেখা ছিল 'ইন অ্যা রিলেশনশিপ'। বিয়ের পরে তা পাল্টে লেখা হয় 'ম্যারেড'।

বিশ্বসেরা সিইও

'এখন যৌবন যার যুদ্ধে যাওয়ার শ্রেষ্ঠ সময় তার'। শৈশবের শুরু হওয়া নেশাটাকে যৌবনের যুদ্ধ বানিয়ে শতভাগ সাফল্য অর্জন করেছেন জুকারবার্গ। তিনি প্রমাণ করেছেন মেধা ও চেষ্টা থাকলে কাউকে আটকে রাখা যায় না। ফেসবুকের প্রধান নির্বাহী পরিচালক সিইও মার্ক জুকারবার্গ বিশ্বের অন্যতম তরুণ উদ্যোক্তাদের একজন। অসংখ্য অর্জনের এই মানুষটি ২০১৩ সালে পৃথিবীর সেরা সিইও নির্বাচিত হয়েছেন। গবেষণা প্রতিষ্ঠান গ্ল্যাসডোরের এ নির্বাচন প্রক্রিয়ায় পুরো ১২ মাসের সব ধরনের কর্মকাণ্ডকে বিবেচনায় নিয়ে কর্মীদের গোপন জরিপ নেওয়া হয়। বিশ্বের অনলাইনভিত্তিক প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে নিয়ে আর্থিকভাবে সফল করা অনেকাংশই সিইও পদের ওপর নির্ভর করে। যোগ্য নেতৃত্বের বিচারে এবং কর্মীদের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয়তার কারণেই বিশ্বের সেরা সিইও নির্বাচিত হয়েছেন মার্ক জুকারবার্গ। নিজের অফিসের কর্মীদের ৯৯ ভাগ জনপ্রিয়তার ভিত্তিতে জুকারবার্গ এই শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেছেন।

টার্গেট ৫০০ কোটি

ফেসবুকের ব্যবহারকারীর সংখ্যা বর্তমানে ১০০ কোটি। পরবর্তী পরিকল্পনা হিসেবে ফেসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৫০০ কোটিতে নিয়ে যাওয়ার কথা ভাবছেন এর প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জুকারবার্গ। ২০২০ সালের মধ্যে ফেসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৫০০ কোটিতে নিয়ে যেতে পারবেন বলে তিনি আশা করছেন।

 

সর্বশেষ খবর