বুধবার, ২৯ জুলাই, ২০১৫ ০০:০০ টা

ভারতের \\\'মিসাইল ম্যান\\\'

ভারতের \\\'মিসাইল ম্যান\\\'

যুদ্ধে ব্যবহৃত ক্ষেপণাস্ত্রের উন্নয়নে অগ্রণী ভূমিকা পালনের জন্য এ পি জে আবদুল কালামকে ভারতের মিসাইল ম্যান বলে ডাকা হয়ে থাকে। তিনি ভারতের সমরাস্ত্রে ক্ষেপণাস্ত্রের অন্তর্ভুক্তিকরণ ও উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন। তিনি পদার্থবিদ্যা ও বিমান প্রযুক্তিবিদ্যা নিয়ে পড়াশোনা করেছিলেন। এরপর চল্লিশ বছর তিনি প্রধানত রক্ষা অনুসন্ধান ও বিকাশ সংগঠন (ডিআরডিও) ও ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থায় (ইসরো) বিজ্ঞানী ও বিজ্ঞান প্রশাসক হিসেবে কাজ করেন। ভারতের অসামরিক মহাকাশ কর্মসূচি ও সামরিক সুসংহত নিয়ন্ত্রিত ক্ষেপণাস্ত্র উন্নয়ন কর্মসূচির সঙ্গে তিনি অঙ্গাঙ্গীভাবে যুক্ত ছিলেন। ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও মহাকাশযানবাহী রকেট উন্নয়নের কাজে তার অবদানের জন্য তাকে 'ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র মানব' বা 'মিশাইল ম্যান অব ইন্ডিয়া' বলা হয়। ১৯৯৮ সালে পোখরান-২ পরমাণু বোমা পরীক্ষায় তিনি প্রধান সাংগঠনিক, প্রযুক্তিগত ও রাজনৈতিক ভূমিকা পালন করেন। এটি ছিল ১৯৭৪ সালে স্মাইলিং বুদ্ধ নামে পরিচিত প্রথম পরমাণু বোমা পরীক্ষার পর দ্বিতীয় পরমাণু বোমা পরীক্ষা। এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত ছিল পোখরান-২। ভারতের পোখরানে ১৯৯৮ সালের ১১ মে তিনটি ও ১৩ মে দুটিসহ মোট পাঁচটি পারমাণবিক পরীক্ষার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এই পরীক্ষা করা হয়েছিল যখন ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)-এর সরকার ছিল ও প্রধানমন্ত্রী হিসেবে অটল বিহারি বাজপেয়ী ছিলেন। এর আগে মে ১৮, ১৯৭৪ সালে পোখরানে ভারতের মধ্যে প্রথম পারমাণবিক পরীক্ষা বিস্ফোরণকে স্মাইলিং বুদ্ধ নামে অবহিত করা হয়। সেই পারমাণবিক পরীক্ষাটি ছিল জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী পাঁচ সদস্যের বাইরে একটি জাতির দ্বারা এবং বিদেশি সাহায্য অথবা সহায়তা ব্যতীত প্রথম পারমাণবিক পরীক্ষায়। এভাবেই ব্যালাস্টিক মিসাইল যোগ হওয়াতে ভারত অনন্য উচ্চতায় চলে আসে তার সহায়তায়। ব্যালাস্টিক মিসাইল প্রথম ধাক্কায় উঁচুতে ওঠে আকাশপানে। তার পর দীর্ঘ পথ পাড়ি দেয় পৃথিবীর আবহমণ্ডল থেকে বেশি উচ্চতায়। ক্ষেপণাস্ত্র চলে পৃথিবীর মাধ্যকর্ষণ শক্তিতে। অনেকটা দূরত্ব অতিক্রম করার পর তা নেমে আসে পৃথিবীর দিকে।

 

সর্বশেষ খবর