বুধবার, ২৯ জুলাই, ২০১৫ ০০:০০ টা

\\\'আমার কাজ ছিল সেই ছুড়ে দেওয়া কাগজের বান্ডিল সারা শহরে ফেরি করা...\\\'

\\\'আমার কাজ ছিল সেই ছুড়ে  দেওয়া কাগজের বান্ডিল সারা শহরে ফেরি করা...\\\'

ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল কালাম ভারতের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা 'ভারতরত্ন' ছাড়াও 'পদ্মভূষণ' ও 'পদ্মবিভূষণ' খেতাবে ভূষিত। তার লেখনীতে ফুটে উঠেছে তার শৈশবের গল্প। কতটা বন্ধুর পথ পেরিয়ে তিনি এই অনন্য উচ্চতায় এসেছেন তা রূপকথাকেও হার মানায়। দরিদ্র ঘরে জন্ম নেওয়া এই মানুষটিকে শৈশবে অভাবের তাড়নায় নানা ধরনের কাজ করতে হয়েছে। বাবা ছিলেন নৌকার মাঝি। তার আয়ে সংসার চলত না। বাধ্য হয়ে পড়াশোনার পাশাপাশি খবরের কাগজ বিলি করার কাজ নেন তিনি। তার সেই দিনগুলোর কথা স্মরণ করে লিখেছেন- আমি প্রতিদিন ভোর ৪টায় ঘুম থেকে উঠে অঙ্ক শিক্ষকের কাছে যেতাম। বছরে মাত্র পাঁচজন ছাত্রকে তিনি বিনা পারিশ্রমিকে পড়াতেন। আমার মা আশিয়াম্মা ঘুম থেকে উঠতেন আমারও আগে। তিনি আমাকে গোসল করিয়ে, তৈরি করে তারপর পড়তে পাঠাতেন। পড়া শেষে সাড়ে ৫টার দিকে বাড়ি ফিরতাম। তারপর তিন কিলোমিটার দূরের রেলস্টেশনে যেতাম খবরের কাগজ আনতে। যুদ্ধের সময় বলে স্টেশনে ট্রেন থামত না, চলন্ত ট্রেন থেকে খবরের কাগজের বান্ডিল ছুড়ে ফেলা হতো প্লাটফর্মে। আমার কাজ ছিল সেই ছুড়ে দেওয়া কাগজের বান্ডিল সারা শহরে ফেরি করা, সবার আগে গ্রাহকের হাতে কাগজ পেঁৗছে দেওয়া।

কাগজ বিক্রি শেষে সকাল ৮টায় ঘরে ফিরলে মা নাস্তা খেতে দিতেন। অন্যদের চেয়ে একটু বেশিই দিতেন, কারণ আমি একই সঙ্গে পড়া আর কাজ করতাম। সন্ধ্যাবেলা স্কুল শেষ করে আবার শহরে যেতাম লোকজনের কাছ থেকে বকেয়া আদায় করতে। সেই বয়সে আমার দিন কাটত শহরময় হেঁটে, দৌড়ে আর পড়াশোনা করে।

 

সর্বশেষ খবর