শিরোনাম
শনিবার, ১ আগস্ট, ২০১৫ ০০:০০ টা

সেমাজ বুকার

ছোট্টবেলা থেকেই ভিডিও গেম খেলতে খুব পছন্দ করত ছেলেটা। ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে এক মনে খেলে যেত ভিডিও গেম। আর সেটা আর কোনো খেলা নয়। গাড়ির খেলা। জোরসে গাড়ি চালানো, অন্যের গাড়ি ছিনতাই করে পালিয়ে যাওয়া- এ সবই ছিল ছেলেটার নিত্যদিনের কাজ। তবে সে সবটাই টিভি পর্দায়। কিন্তু খুব বেশিদিন আর টিভি পর্দার ভিতরে থাকল না সেটা। সেদিন হুট করে বাইরে বেরিয়ে সত্যি সত্যিই একটা গাড়ি ছিনতাই করে পালাল সে। ছেলেটির নাম সেমিজ বুকার। ২০০৭ সালে নয় বছর বয়সী বুকার তখন ওয়াশিংটনে থাকত। একদিন এই ছোট্ট মানুষটার খুব ইচ্ছা করল টেক্সাসে থাকা তার দাদাকে দেখতে। কিন্তু ইচ্ছা করলেই তো হবে না। করতে হবে সেই মতো কাজও। নাহলে ইচ্ছা পূরণ হবে কি করে? যেই ভাবা সেই কাজ! বেরিয়ে গেল বুকার বাড়ি থেকে আর একটা গাড়ি চুরি করে ফেলল। তারপর সেই গাড়িতে ছুটে যেতে লাগল দাদার কাছে। তবে একটু বেশিই হয়তো তাড়ায় ছিল বুকার। খুব সহজেই তাই তার অতিরিক্ত দ্রুত চলা গাড়িটা নজরে পড়ে গেল এক পুলিশ অফিসারের। ধাওয়া করলেন তিনি গাড়িটাকে। আটক হলো বুকার। তবে শিশু বলে সেবার ছেড়ে দেওয়া হলো তাকে। একটা চেষ্টা বিফল হলো। কিন্তু তাতে কি? হার না মেনে পরদিনই আবার চেষ্টা চালাল সে। বাড়ি থেকে বেরিয়ে একটা বাসে উঠে পড়ল। তারপর ভুয়া নাম দিয়ে একটা প্লেনের টিকিট বাগিয়ে চড়ে বসল প্লেনে। ডালাসে তাকে ধরল সেবার পুলিশ। ফের বাড়িতে পৌঁছল বুকার। তবে এটাও কিন্তু শেষ নয়। পুলিশের সঙ্গে ২০১০ সালে ১৩ বছর বয়সে আবার দেখা হয়েছিল বুকারের। তবে এবার পালানোর জন্য নয়, এক খেলনা চুরির দায়ে।

 

সর্বশেষ খবর