শনিবার, ১ আগস্ট, ২০১৫ ০০:০০ টা

বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিন

বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিন

নানা গুণে গুণান্বিত আমেরিকার স্বাধীনতা এনে দেওয়া মানুষ বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিন ছোটবেলা থেকেই ভাই জেমসের কাছে কাজ শিখতে শুরু করেন। সেখানেই ছবি অাঁকার সব কৌশল রপ্ত করে নেন তিনি। পরে জেমস একটা খবরের কাগজ প্রতিষ্ঠা করলে সেখানে যোগ দেন বেনও। খুব ইচ্ছা ছিল তার নিজের লেখা ছাপার হরফে কাগজের ওপরে দেখার। কিন্তু তার লেখা সেখানের জন্য কোনোবারেই মনোনীত হয়নি। ফলে একটা সময় ছদ্মনামে লিখতে শুরু করেন তিনি আর বেশ জনপ্রিয়তাও পান। তবে এতসবের ভিতরে খানিকটা তার ব্যঙ্গাত্দক লেখা আর ভাই জেমসের কাজকর্মের জন্য একটা সময় জেমসকে জেলে চলে যেতে হয়। সে সময় জেমসের আটকের বিরুদ্ধে ব্যঙ্গাত্দক কিছু চিঠি পত্রিকায় লেখেন তিনি আর তারপরই সব কাজকর্ম ছেড়ে পালিয়ে আসেন অন্য দেশে। ১৭ বছর বয়সেই ঘর থেকে পালিয়ে ফিলাডেলফিয়ায় চলে আসেন বেঞ্জামিন। নতুন শহরে নতুন করে শুরু করেন নিজের জীবন। জীবিকা নির্বাহের জন্য এসময় ছাপাখানায় কাজ করতে শুরু করেন তিনি। কিন্তু অনেক পরিশ্রমের পরও মনটা ফাঁকা রয়ে যেত বেনের। কোনো কাজেই যেন সন্তুষ্টি মিলত না। কিছু মাস বাদেই পেনসিলভেনিয়ার গভর্নর স্যার উইলিয়াম কেইথের আশ্বাসে নতুন করে ফিলাডেলফিয়ায় খবরের কাগজ প্রকাশ করার স্বপ্ন নিয়ে যন্ত্রপাতি কিনতে লন্ডনে যাওয়ার পরিকল্পনা করেন বেন। তবে সেসব পরিকল্পনার কোনোটাই শেষ অব্দি সফল হয়নি। লন্ডনের স্মিথফিল্ড এলাকার চার্চ অব সেইন্ট ব্রথমেলোউ দ্য গ্রেটের কাছেই একটি ছাপাখানায় কাজ করা শুরু করেন বেন। আর কিছুদিন পর ফিলাডেলফিয়ায় ফিরে এসে কাজ করতে শুরু করেন নতুন মালিকের জন্য। সেখান থেকেই ধীরে ধীরে বেন হয়ে ওঠেন পরবর্তী সময়ের বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিন। খবরের কাগজ প্রতিষ্ঠা, গুপ্ত সংঘ প্রতিষ্ঠা, পাঠাগারসহ নানারকম বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারের মাধ্যমে নিজেকে ইতিহাসের ঘরে জায়গা করে দেন একদা ঘর ছেড়ে আসা বেন।

 

সর্বশেষ খবর