শনিবার, ১ আগস্ট, ২০১৫ ০০:০০ টা

বারবারা ম্যাকভে

বারবারা ম্যাকভে

বারবারার বাবা তখন ব্রিটিশ বিমান বাহিনীতে কাজ করছিলেন। বাল্টিমোরে নিজের বাসায় বসে প্রায়ই একটা ভাবনা উঁকি দিয়ে যেত ১৭ বছরের মেয়েটার মাথায়, কেমন হয় যদি ইংল্যান্ডে চলে যাওয়া যায়? ইংল্যান্ডের ছেলেগুলোকেও বেশ ভালো লাগতে শুরু করেছিল তখন কিশোরী বারবারার। তাছাড়া দেখা করার ব্যাপারটাতো আছেই। কাউকে কিছু না বলে তাই একদিন বাসা থেকে বেরিয়ে পড়ল সে। কিন্তু বেরোলেই তো হয় না। ইংল্যান্ড পর্যন্ত যেতে কারও না কারও সাহায্য লাগবে তার। কিন্তু কার? সেসময়ই একটা ব্রিটিশ ডুবোজাহাজ ওয়ালরাস বাল্টিমোর হয়ে ফের ব্রিটেনে ফেরত যাচ্ছিল। যেই ভাবা সেই কাজ। সোজা সেখানে উঠে লুকিয়ে পড়ল বারবারা।

তবে ১৬০০ টনের ডুবোজাহাজটিতে খানিক বাদেই কার্বন মনোঙ্াইডের জন্য দুর্বল লাগতে লাগল তার। লুকোনো জায়গা থেকে এক ঘণ্টা পর তাই বেরিয়ে পড়ল সে।

আর সামনে পড়ে গেল জাহাজের মানুষগুলোর। তারা আর খানিক বাদেই বারবারার লুকোনো জায়গাটিতে পানি দিয়ে ভরিয়ে দিতে যাচ্ছিল। আরও কিছুক্ষণ বারবারা সেখানে থাকলে কি হতো ভেবে শিউরে ওঠে পুরো জাহাজের মানুষগুলো। তাড়াতাড়ি বারবারাকে সুস্থ করে তোলে তারা আর নিজেদের জাহাজের নাক ফের ঘুরিয়ে দেয় বাল্টিমোরের দিকে। প্রথমে ভাবা হয়েছিল মেয়েটাকে সাঁতরে পার হতে বলা হবে পুরো জায়গাটা। কিন্তু বারবারার শরীরের অবস্থা দেখে পরিকল্পনাটি বাতিল করে দেওয়া হয়। বাল্টিমোরে নিয়ে গিয়ে নামিয়ে দেওয়া হয় তাকে। এতদূর পর্যন্ত এত কষ্ট সহ্য করে টিকে থাকার পরেও আবার ঠিক নিজের ঘরেই ফিরে যেতে হয় বারবারাকে।

 

সর্বশেষ খবর