শনিবার, ১ আগস্ট, ২০১৫ ০০:০০ টা

লিটল ম্যাকগাইভার

লিটল ম্যাকগাইভার

ছোটবেলায় নিজের মতো আলাদা একটা গোপন জায়গা রাখতে পারার ইচ্ছা কার ছিল না? সবাই সবসময় চায় নিজের মতো করে থাকতে। সে বড় হোক কিংবা ছোট। আর এ গোপন জায়গা রাখা আর নিজের মতো করে থাকা- এ দুটোকে এক করেই আমাদের এ ছোট্ট ম্যাকগাইভার বানিয়েছিল তার পরিকল্পনা। ১৯৮২ সালে দ্য মিলওয়েক জার্নাল ও দ্য টেলিগ্রাফ হেরাল্ডের পাতায় ছাপা হওয়া নাম না প্রকাশ করতে আগ্রহী এ ছেলেটির বাবা ১৯৮০ সালে পুলিশের কাছে আভিযোগ করেন তার ১৩ বছর বয়সী ছেলেকে পাওয়া যাচ্ছে না। পুলিশ অনেক খোঁজে লোকটার ছেলেকে। কিন্তু কোনো হদিস মেলে না তার। এর ঠিক দুই বছর পরের কথা। কানেক্টিকাটের নিউ হ্যাভেনের ক্রাউন কোর্ট অ্যাপার্টমেন্ট কমপ্লেক্সে বাসিন্দাদের অভিযোগে ছুটে যায় পুলিশ সেখানে। আভিযোগ ছিল তিনটি। প্রথমত, এক ছিঁচকে চোরকে প্রায়ই দেখা যায় তাদের এখানে। দ্বিতীয়ত, তাদের এলিভেটর অদ্ভুতরকমের আচরণ করছে অনেকদিন ধরে। আর শেষ অভিযোগ ছিল খাবারের গন্ধের। হট ডগের গন্ধে নাকি প্রায়ই ডুবে থাকে তাদের অ্যাপার্টমেন্ট। কিন্তু কেন? আর এ কেন'র উত্তর খুঁজতে গিয়েই পুলিশ খুঁজে পায় দুই বছর আগে হারিয়ে যাওয়া সেই ছেলেটিকে। তাও আর কোথাও নয়, এলিভেটরের যাতায়াত পথের পাশে নিজের মতো করে সাজানো এক গোপন ঘরে। একে একে পাওয়া যায় সব প্রশ্নের উত্তর। দুই বছর আগে ঘর থেকে পালিয়ে নিজের মতো করে থাকার কোনো জায়গা না পেয়ে এলিভেটরে জায়গা নেয় ছোট এ ম্যাকগাইভার। রাতের বেলা লুকিয়ে লুকিয়ে চলাফেরা করত বলে ওখানকার বাসিন্দারা ছিঁচকে চোর ভেবে বসেছিল ছেলেটাকে। অথচ নিজের আলাদা আর গোপন ঘরে বেশ আরামেই ছিল সে। কি ছিল না সেখানে? বিছানা, রেডিও, স্টিরিও, আলো- সবকিছুই পরিপাটিভাবে সাজানো ছিল সেখানে। আরও ছিল বৈদ্যুতিক চুলা। যেখান থেকে ভেসে আসা খাবারের গন্ধই ভাবিয়ে তুলেছিল সবাইকে। আর এতসব বিদ্যুতের জোগাড় ম্যাকগাইভার করত জরুরি বৈদ্যুতিক ব্যবস্থা থেকে।

 

সর্বশেষ খবর