রবিবার, ২ আগস্ট, ২০১৫ ০০:০০ টা

আকাশ গুহায় প্যাট এথান্স

আকাশ গুহায় প্যাট এথান্স

প্যাট এথান্স। একজন পর্বতারোহী। তিনি মুসট্যাংগ অভিযান থেকে ফিরে এসে বলেছিলেন, এটা ছিল তার জীবনের সবচেয়ে স্মরণীয়, কঠিন এবং দুর্দান্ত অভিজ্ঞতা। তাকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, গুহাগুলোতে ওঠার সহজ পথ কী হতে পারে। তিনি বলেছিলেন, আপনি পাখি হয়ে যান, পাখি হওয়া ছাড়া সব গুহায় যাওয়া আপনার আমার পক্ষে সম্ভব নয়। এই অভিযান চলাকালে এথেন্স এবং তার দল মুসট্যাংগে আরও গভীরে অন্য কিছু গুহার সন্ধান পান। কিন্তু গুহাগুলো এত দুর্গম স্থানে ছিল যে, সেখানে পৌঁছানো তাদের জন্য প্রায় দুঃসাধ্য ছিল। একে তো বিপজ্জনক পাহাড়ি খাড়া ঢাল তার ওপর সেটার নিচ দিয়ে বয়ে চলছে তীব্র স্রোতের কালী গান্দাকি নদী। অনেক কষ্টে এবং ঝুঁকি নিয়ে সেই গুহাগুলোয় প্রবেশ করে তাদের চোখ ছানাবড়া হয়ে যায়। সারি সারি অনেক গুহার মাঝে একটি গুহায় তারা খুঁজে পান প্রায় ২৬ ফুট লম্বা একটি প্রাচীন ম্যুরাল, ৪২টি দুর্লভ বৌদ্ধ সাধুদের ছবি এবং প্রায় ৮ হাজারটি ক্যালিগ্রাফিক পাণ্ডুলিপি। এই ক্যালিগ্রাফিগুলো প্রায় ৬০০ থেকে ৭০০ বছরের পুরানো। প্রাচীন ভাষায় লিখিত এই পাণ্ডুলিপিগুলোর এখন পর্যন্ত যে মানে উদ্ধার করা গেছে তাতে মূলত জীবন দর্শন, অহিংসার বাণী, ধ্যান, বৌদ্ধধর্মের আধ্যাত্দিকতা এবং উপাসনার কথাই উঠে এসেছে এবং উল্লেখ করা হয়েছে এক শান্তিময় জগতের কথা। ১৯৩০ সালে জনৈক ব্রিটিশ লেখক জেমস হিলটন লস্ট হরাইজন নামক একটা কল্পকাহিনী লিখেন। সেখানে তিনি পৃথিবীতে এক কল্পিত স্বর্গ উপত্যাকার কথা উল্লেখ করেছিলেন যার নাম দিয়েছিলেন সাঙ্গরি-লা। তার গল্পের সেই সাঙ্গরি-লার অবস্থান এই পৃথিবীতে অনেকটা লোকচক্ষুর আড়ালে প্রাকৃতিকভাবে লুকানো। মনে প্রশ্ন্ন জাগতে পারে, এই মুসট্যাংগই কি সেই লুকায়িত সাঙ্গরি-লার বাস্তব রূপ?

 

 

সর্বশেষ খবর