বুধবার, ৫ আগস্ট, ২০১৫ ০০:০০ টা

এশিয়ান খাবারের স্বাদে কই রেস্টুরেন্ট

এশিয়ান খাবারের স্বাদে কই রেস্টুরেন্ট

দৃষ্টিনন্দন ইন্টেরিয়র মন কেড়ে নেয়

কই রেস্টুরেন্ট। লস অ্যাঞ্জেলেস থেকে আবুধাবি পর্যন্ত এই রেস্টুরেন্টের সুনাম ছড়িয়ে আছে। মূলত জাপানিজ সুশি আপ্যায়নের জন্য প্রসিদ্ধ হলেও এ রেস্টুরেন্টে মিলবে এশিয়ান মেন্যু। আন্তর্জাতিক মানের এ রেস্টুরেন্টে মাস্টারমাইন্ড বলে খ্যাতি রয়েছে এক বাংলাদেশির। তার নাম নিক হক। একজন সফল বিনিয়োগকারী ও উদ্যোক্তা হিসেবে নিজেকে তুলে নিয়েছেন অন্য উচ্চতায়। কই রেস্টুরেন্টে এশিয়ান খাবারের দেখা মেলার পেছনে তার অবদান আলোচিত। এ রেস্টুরেন্টের বিখ্যাত খাবারের কথা বলতে গেলে প্রথমেই আসবে 'কই ক্রিসপি রাইস' এবং 'স্পাইসি টুনা'। মাছ ও ভাতের এই সম্মিলন বাঙালিয়ানার কথাই প্রথমে মনে করিয়ে দেয়। খাবারে এশিয়ান স্বাদই এ রেস্টুরেন্টের আলাদা ট্রেন্ড হয়ে দাঁড়িয়েছে। এখানে মাছ-ভাত খেতে ছুটে আসেন বিভিন্ন দেশের মানুষ। তবে এই রেস্টুরেন্ট ভিন্ন বৈচিত্রপূর্ণ স্বাদের খাবারে লম্বা তালিকা নিয়ে বসে আছে। অতিথিদের পছন্দের খাবার এখানে পাওয়া যাবে না- এমনটি হতে পারে না। ভাজা মাছ ছাড়াও এখানে আলুপুরি, টোবান ইয়াকি, ইচিমির সঙ্গে চিলিয়ান সি বেস ও কই রেস্টুরেন্টের নিজস্ব সেফের অনবদ্য সুশি তো রয়েছেই। খাবারে এ বৈচিত্র্যের কারণে কই রেস্টুরেন্টের খ্যাতি লস অ্যাঞ্জেলেস পেরিয়ে পৌঁছে গেছে লাস ভেগাস, নিউইয়র্ক, ব্যাংকক ও আবুধাবি পর্যন্ত। এই রেস্টুরেন্টটি শুধু স্বাস্থ্যসম্মত এশিয়ান খাবার পরিবেশনেই অতিথিদের মন জয় করেনি, এর সঙ্গে যোগ হয়েছে রেস্টুরেন্টের দৃষ্টিনন্দন ইন্টেরিয়র ও ছিমছাম খাবার পরিবেশ। রেস্টুরেন্টের আসবাব ও পরিচ্ছেদের আভিজাত্যের ছোঁয়া রয়েছে। যে ইন্টেরিয়র ডিজাইন অনুযায়ী এই রেস্টুরেন্ট সাজানো হয়েছে তাকে বলা হয় 'জেন ইন্সপায়ার্ড'। এখানের ডাইনিং পরিবেশ বিশেষভাবে সমাদৃত। চাইলে প্রিয়জনকে নিয়ে 'ক্যান্ডেল লাইট ডিনার' সারতে পারবেন। হলিউডের যশ-খ্যাতির সঙ্গে মিল রেখে এখানকার পরিবেশ উন্নত ও পরিমার্জিত রাখা হয়েছে। কই রেস্টুরেন্ট মুখর থাকে সমাজের বিভিন্ন পেশার বিশিষ্টজনদের পদচারণায়। কই রেস্টুরেন্টের আজকের এ অবস্থান নিক হকের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ স্বপ্নের বাস্তবায়ন বলা চলে। খাবারের উঁচু মান, আরামদায়ক খাবার পরিবেশ ও দৃষ্টিনন্দন ইন্টেরিয়রের সম্মিলন খেতে আসা অতিথিদের মুগ্ধ করে। যে কারণে কই রেস্টুরেন্ট এখন অতিথিদের কাছে সমাদৃত। সাধারণ ভোজনরসিকদের মন জয় করার অভিজ্ঞতার পাশাপাশি কই রেস্টুরেন্টের রয়েছে আন্তর্জাতিক মানের বিভিন্ন ডাইনিং পরিবেশনের অভিজ্ঞতা। মূল রেস্টুরেন্টটি ছাড়াও রেস্টুরেন্টের লাউঞ্জ অঞ্চলও উল্লেখযোগ্য। এখানে খাবার শেষে সময় কাটানোর পাশাপাশি দরকারি কাজও শেষ করে নিতে পারেন। এসব কারণে কই রেস্টুরেন্ট বিভিন্ন সময় দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিভিন্ন পুরস্কার লাভ করেছে।

 

সর্বশেষ খবর