বুধবার, ৫ আগস্ট, ২০১৫ ০০:০০ টা

মেক্সিকাে-সুইডেন সবখানেই জনপ্রিয়

মেক্সিকাে-সুইডেন সবখানেই জনপ্রিয়

শান্তি রেস্টুরেন্টে পরিবেশন হয় বাংলাদেশি খাবার

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশি রেস্টুরেন্ট গড়ে উঠেছে। এই রেস্টুরেন্টগুলোতে বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী খাবার পরিবেশন করা হয়ে থাকে। বাংলাদেশি মালিকানায় গড়ে ওঠা এ রেস্টুরেন্টগুলো শুধু প্রবাসী বাংলাদেশিদের মন জয় করেনি বরং বিভিন্ন দেশের মানুষের কাছে পৌঁছে দিয়েছে বাংলাদেশি খাবারের স্বাদ। বাংলাদেশি রেস্টুরেন্টগুলোর দিকে তাই বাইরের দেশের মানুষের আগ্রহ গড়ে উঠেছে। দক্ষিণ কোরিয়ার ইনচিয়নে তেমনই একটি বাংলাদেশি রেস্টুরেন্ট রয়েছে। ইনচিয়নে প্রতিষ্ঠিত হোটেল ব্যবসায়ীর একজন বাংলাদেশি। ইনচিয়নের আনসান শহরের প্রাণকেন্দ্রে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান 'সুইট হাউস অ্যান্ড রেস্টুরেন্ট'। শহরে এটিই একমাত্র বাঙালি রেস্টুরেন্ট। এখানে তাদের হোটেল যেমন গোটা বাঙালি সমাজে ব্যাপক পরিচিত, তেমনি খাবারও বেশ প্রশংসিত। বাংলাদেশের এমন কিছু নেই যা তারা রান্না করেন না। শিঙ্গাড়া, পুরি, চা, পোলাও, শাকসবজি, খিচুড়ি, মাছ, মাংস, রুটি, ভাজি এ রকম প্রায় সব খাবারই। তৈরি করে থাকেন মিষ্টিও। খাবারের মান স্থানীয়দের মতোই। ছয়টি মিষ্টির একটি প্যাকেট দক্ষিণ কোরিয়ার টাকায় চার হাজার টাকা। বাংলাদেশের নাগরিকরা সময় পেলে এখানে খেতে আসেন। সপ্তাহের প্রায় প্রতিদিনই কমবেশি বাংলাদেশির আগমন ঘটে তার রেস্টুরেন্টে। তবে সবচেয়ে বেশি এসে থাকেন সাপ্তাহিক ছুটির দিনে। খাবারের পাশাপাশি চলে আড্ডাও। তার হোটেলে বাঙালি খাবারের স্বাদ নিতে রাজধানী সিউল থেকেও অনেকে চলে আসেন এখানে খেতে। এ ছাড়া জন্মদিনসহ আরও নানা ঘরোয়া অনুষ্ঠান হয়ে থাকে। এ ছাড়া রেস্টুরেন্ট রয়েছে মেক্সিকােতে। ১২ কোটি জনসংখ্যা অধ্যুষিত গোল্ড-সিলভার-পেট্রোলিয়াম-গ্যাস সমৃদ্ধ দেশ মেক্সিকােতে বাংলাদেশিদের বসবাস। টাঙ্গাইলের আজাদ হোসাইন ও আতিক হোসাইন সহোদর আজ মেক্সিকাে সিটিতে প্রতিষ্ঠিতি বাংলাদেশি ব্যবসায়ী। 'তাজমহল' ও 'কাজা এলেফান্তে' নামে দুটি রেস্টুরেন্টের মালিক তারা। তবে সুইডেনে বাংলাদেশি খাবারের জনপ্রিয়তার পেছনে নাহিদ হাসান নামে একজন উদ্যোক্তার কথা উল্লেখ করা যায়। ২০০০ সালে তিনি স্টকহোমে চালু করেন তার নিজের প্রথম রেস্টুরেন্ট 'শান্তি ক্লাসিক'। এরপর তার রেস্টুরেন্টে বেগুন ভাজা, ডাল, মাছ-পোলাও এবং শর্ষে-ইলিশের মতো মনোমুঙ্কর পদগুলো যোগ হয়।

 

সর্বশেষ খবর